শিলিগুড়ি, 22 ফেব্রুয়ারি: অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশিদের অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করানো চক্রের মূল পান্ডা। আর তাকে ধরতে পেরে কিছুটা স্বস্তিতে পুলিশ মহল । পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম বিপুল অধিকারী। সে হলদিবাড়ির মানিকগঞ্জের বাসিন্দা। ধৃতকে শনিবার জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়। বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করে তিনদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, গত 23 জানুয়ারি ফুলবাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় দুই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে। শিলিগুড়ি শহর সংলগ্ন ফুলবাড়ির আমাইদিঘি থেকে ওই দু'জনকে গ্রেফতার করে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ। যার মধ্যে একজনের নাম আতাউর রহমান।
আতাউর বাংলাদেশের ঠাকুরগঞ্জ জেলার মাধবপুরের বাসিন্দা। অপরজন আতাউরের আত্মীয় ফিরদৌস আলম। ফেরদৌসের বাড়ি উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জে। ধৃত দুই জনের কাছ থেকে উদ্ধার হয় হাইড্রোলিক কাটার-সহ একাধিক তার কাটার সরঞ্জাম। ওই দু'জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিপুল অধিকারীর নাম উঠে আসে। কিন্তু অভিযানের আগেই সেখান থেকেই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যায় বিপুল অধিকারী। এরপর ধৃতদের পুলিশি রিমান্ডে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে খোঁজ শুরু হয় বিপুল অধিকারীর।
দীর্ঘ প্রায় একমাস তল্লাশির পর অবশেষে শুক্রবার রাতে জলপাইগুড়ি থেকে বিপুল অধিকারীকে গ্রেফতার করে এনজেপি থানার পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, বিপুল অধিকারী 40 থেকে 60 হাজার টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশিদের ভারতে ঢুকতে সাহায্য করত। ওই দু'জন ছাড়াও বেশ কয়েকজনকে ভারতে ঢুকতে সাহায্য করেছে। ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তের যেসব জায়গায় কাঁটাতার নেই সেইসব জায়গাগুলিকেই অনুপ্রবেশের জন্য ব্যবহার করত বিপুল।
ধৃতকে রিমান্ডে নিয়ে তাদের উদ্দেশ্যে খোঁজ শুরু করবে পুলিশ বলে জানা গিয়েছে। এবিষয়ে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি রাকেশ সিং বলেন, "ধৃত ব্যক্তি টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশিদের ভারতে অনুপ্রবেশে সাহায্য করত। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"