ঘাটাল, 22 ফেব্রুয়ারি: সরকারি দফতরের মিটার থেকে বিদ্যুৎ চুরি করে কৃষি জমিতে সেচের জলের ব্যবহারের অভিযোগ ৷ তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য ৷ এমনকী, তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে বর্তমান পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন বিজেপির নেতা ৷ ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে ঘাটাল ব্লকের মনোহরপুর 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপমহল এলাকায় ৷
অভিযোগ, মনোহরপুর 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান জয়দেব দোলই গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশন দফতরের অফিসের মিটার থেকে বিদ্যুৎ চুরি করে পাম্প চালিয়ে মাঝে মধ্যেই এলাকার কৃষকদের কৃষি জমিতে জল দিচ্ছেন । রাতের অন্ধকারে পাম্প চালিয়ে জল দেওয়ার সময় তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতেরই বিজেপির এক পঞ্চায়েত সদস্য পিন্টু দোলই । পুরো বিষয়টি তিনি মোবাইলে ভিডিও রেকর্ডিং করেন ৷ পরে সেই ভিডিও-সহ লিখিত অভিযোগ জানান গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের কাছে ।
ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মৌসুমী ঘাঁটি ক্যামেরার সামনে কিছু না বললেও পরে তিনি জানিয়েছেন, এই বিদ্যুৎ নেওয়ার বিষয়ে প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান তাঁকে কিছু জানাননি । তবে লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন বিরোধীদের তরফে । তিনি আরও জানান, এই বিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতে দ্রুত একটি সাধারণ সভা ডাকা হবে ৷ সেখানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে । অন্যদিকে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা জয়দেব দোলই বলেন, "বিষয়টি গ্রাম পঞ্চায়েতে জানিয়ে অনুমতি নিয়েই করেছি ।"
এই বিষয়ে ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তথা তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক বিকাশ কর বলেন, "তিন বারের পঞ্চায়েত প্রধান ছিলেন জয়দেব বাবু । তাঁর মানুষের জন্য কাজ করার নেশা রয়েছে । তিনি কৃষকদের স্বার্থে তাঁদের চাষের জন্যই বিদ্যুৎ নিয়ে সেচের জল দিয়েছেন ।"
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই পাল্টা তৃণমূলকে খোঁচা দিয়েছেন ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট । তিনি বলেন, "ওঁদের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান স্বীকার করছেন কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি বিদ্যুতের জন্য ৷ আবার তাদেরই পঞ্চায়েত সমিতির-সহ সভাপতি সাফাই দিচ্ছেন জনগণের স্বার্থে বিদ্যুৎ চুরি করেছেন তাঁদের প্রাক্তন প্রধান । এদের কাজটাই চোরের পাশে দাঁড়ানো এবং চুরি করা । যদি সদিচ্ছা থাকে তাহলে ওদের প্রাক্তন প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দেখাক ।"