নন্দীগ্রাম, 25 ফেব্রুয়ারি: রাতে বিজেপির পার্টি অফিস পোড়ানোকে কেন্দ্র করে আবার রাজনৈতিক উত্তেজনা নন্দীগ্রামে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে নন্দীগ্রাম থানার আমেদাবাদ এলাকায়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র এই নন্দীগ্রাম। এই নন্দীগ্রাম এলাকায় শনিবার রাতের অন্ধকারে বিজেপির পার্টি অফিসে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের দিকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক শিবির।
রাতের অন্ধকারে গেরুয়া শিবিরের কার্যালয় পোড়ানোকে কেন্দ্র করে আবার নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিল। অভিযোগ রাতের অন্ধকারে বিজেপির কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় তৃণমূল। আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি-সহ দলের ব্যানার-ফেস্টুন। এছাড়াও পুড়ে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা-সহ রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ছবিও। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবার নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে এলাকায়।
গতকাল রাতে নন্দীগ্রামের আমদাবাদের 189 নম্বর বুথে বিজেপি নেতা মেঘনাথ পাল-সহ দলের নেতা-কর্মীরা একটি মিটিং করছিলেন। রাতে মিটিং করে ফিরে আসার পর তাঁরা দেখেন আগুনে কার্যালয়টি পুড়ে গিয়েছে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই পরিকল্পিতভাবে অগ্নিসংযোগ করেছে বলে দাবি বিজেপির। তাদের আরও দাবি, লোকসভা ভোটের আগে এলাকা দখল করবার জন্য তৃণমূল এভাবে হামলা শুরু করেছে।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। নন্দীগ্রাম 2 নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি সুনীলবরণ জানা বলেন, "বিজেপির দুই গোষ্ঠী। একটি মেঘনাথ পালোর। অন্যটি প্রলয় পালের। এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে কোন্দোলের জেরে এই ধরণের ঘটনা ঘটেছে। অকারণে তৃণমূলের দিকে মিথ্যা অভিযোগের আঙুল তোলা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল সঙ্গে কোনওভাবে জড়িত নয়।"
অপরদিকে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক মেঘনাথ পাল বলেন, "রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাদের পার্টি অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে। আর আমার সঙ্গে প্রলয় পালের মধুর সম্পর্ক রয়েছে। আমরা একই রাজনৈতিক দল করি। এটা তৃণমূলের কাজ।" আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নন্দীগ্রামে আবার নতুন করে লোকসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে । তবে এখন পর্যন্ত নন্দীগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।
আরও পড়ুন
পুড়ে ছাই 60টিরও বেশি ঝুপড়ি, বিভীষিকা আনন্দপুরের বস্তি
সন্দেশখালির সংকীর্তণে সুজিত-পার্থ, 'ইজ্জত নিয়ে টানাটানির সময় কোথায় ছিলেন ?', প্রশ্ন মহিলাদের