মালদা, 16 জানুয়ারি: এ কি মশা মারতে কামান দাগা ? নাকি স্রেফ লোক দেখানো ? কালিয়াচকের খুন-কাণ্ডে মূল অভিযুক্তর সন্ধানে ওড়ানো হল ড্রোন ৷ এই নিয়ে বৃহস্পতিবার শোরগোল পড়ে যায় মালদার কালিয়াচকের বালুয়াচরা এলাকায় ৷
প্রায় চার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে উড়েও ড্রোন মূল অভিযুক্ত জাকির শেখের কোনও সন্ধান পায়নি ৷ পুলিশের দাবি, জাকিরের সন্ধানে তল্লাশি জারি রয়েছে ৷ যেকোনও উপায়ে তার খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা চলছে ৷
এদিন যেখানে ড্রোন উড়িয়ে জাকিরের খোঁজ নেওয়া হয়েছে, সেই জায়গাটি সালেপুর মোমিনপাড়ার ঘটনাস্থল থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে ৷ বুধবার পুলিশ কুকুর ঘটনাস্থল থেকে এই জায়গায় এসেই থমকে যায় ৷ পুলিশের একটি সূত্র বলছে, জাকির জালালপুরের বালুয়াচরা এলাকাতেই কোথাও লুকিয়ে রয়েছে ৷ কারণ, ঘটনার পরেই তার সন্ধানে চারদিকে জাল পাতা হয়েছিল ৷ তাকে কোথাও দেখা যায়নি ৷ তাই সে যে কালিয়াচকেই কোথাও না কোথাও রয়েছে, সেব্যাপারে মোটামুটি নিশ্চিত পুলিশ ৷
এদিকে, ঘটনার 48 ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও একমাত্র মহম্মদ আমির হামজা ছাড়া আর কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ ৷ ঘটনাস্থলের ভিডিয়ো ক্লিপ খতিয়ে দেখে তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা কয়েকজনকে চিহ্নিত করতে পারলেও এলাকায় তাদের দেখা নেই ৷
স্থানীয়দের একাংশের অনুমান, এই ঘটনায় অভিযুক্তদের অনেকে বাংলাদেশেও আত্মগোপন করতে পারে ৷ কারণ, বালুয়াচরা থেকে কিলোমিটার দুয়েক দূরেই ইন্দো-বাংলা সীমান্ত ৷ যেহেতু অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই দীর্ঘদিন ধরেই অপরাধ-জগতের সঙ্গে যুক্ত ও চোরাপাচারে অভ্যস্ত, তাই বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের সঙ্গে তাদের নিশ্চিত যোগাযোগ রয়েছে ৷ তাই সীমান্তের ফাঁকফোঁকর দিয়ে প্রতিবেশী দেশে গা ঢাকা দেওয়া তাদের কাছে জলভাত ৷
কালিয়াচক থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত চলছে ৷ মূল অভিযুক্ত জাকির শেখের সন্ধানে চারদিকে তল্লাশি চালানো হচ্ছে ৷ ড্রোন উড়িয়েও তার খোঁজ চলছে ৷ আশা করা যায়, খুব তাড়াতাড়ি তার সন্ধান পাওয়া যাবে ৷ এই ঘটনায় ধৃত হামজাকে দফায় দফায় জেরা চলছে ৷ এতে কিছু নতুন তথ্য বেরিয়ে এসেছে ৷ সেসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷