ETV Bharat / state

মৃত্যু নিশ্চিত করতে শ্বাসরোধ করা হয় চিকিৎসকের, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের - Female Doctor Mysterious Death

Body of Female PGT Doctor Mysteriously Found: মহিলা চিকিৎসকের ঠোঁটে গভীর ক্ষত ৷ প্রায় অর্ধনগ্ন অবস্থায় মেঝেতে পড়ে দেহ ৷ ধস্তাধস্তির চিহ্ন স্পষ্ট ৷ জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলাদাভাবে এই বিষয়ে কথা বলেছেন কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েলের সঙ্গে।

FEMALE DOCTOR MYSTERIOUS DEATH
প্রতীকী ছবি (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 10, 2024, 8:06 AM IST

কলকাতা, 10 অগস্ট: আরজি কর হাসপাতালে উদ্ধার হওয়া ট্রেনি মহিলা পড়ুয়া মৃত্য়ুতে টালা থানায় খুনের মামলা রুজু করল পুলিশ ৷ দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এবার স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা শিট গঠন হয়েছে । এই শিটের মাথায় রয়েছেন কলকাতা পুলিশের একজন অতিরিক্ত নগরপাল পদের আধিকারিক। আছেন লালবাজারের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দারাও।

দেহ দেখে এবং পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তদন্তকারীদের প্রাথমিকভাবে অনুমান, ওই পড়ুয়া মহিলা চিকিৎসকের সঙ্গে প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে নির্যাতন চালানো হয়েছিল। দেহের পূর্ণাঙ্গ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হবে। পাশাপাশি শনিবার ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা দুপুরের মধ্যেই তাদের একটি প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেবে লালবাজারে। সেখান থেকেও একটি ধারণা পাবেন তদন্তকারীরা।

জানা গিয়েছে, শুক্রবারই আরজি কর হাসপাতালের বেশ কয়েকজন চিকিৎসক’কে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হয়। শনিবারও তাদের এবং আরও বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে লালবাজার সূত্রের খবর। এই ঘটনা ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, ওই মহিলা পড়ুয়া-চিকিৎসক কিভাবে রাত দু’টোর পর খাওয়া শেষ করে উপরে নির্জন জায়গায় গেলেন ? তাঁকে কি যেতে বলা হয়েছিল ? মহিলা চিকিৎসকের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা । তাঁর সঙ্গে কারা কারা কথা বলতে এবং শেষ ফোনে কার সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল সেই বিষয়টি ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েলকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন যে দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে। পাশাপাশি ওই পড়ুয়া চিকিৎসকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব প্রকারের আশ্বাস তিনি দিয়েছেন পরিবারকে।

শুক্রবার, সকালে আরজি কর হাসপাতালে চারতলা থেকে এক মহিলা পড়ুয়া চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায়। দেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। শুক্রবার লালবাজারে আসে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট । ময়নাতদন্তে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে ওই তরুণীর গলার হাড় ভাঙ্গা ছিল। ধস্তাধস্তির প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। ভোর তিনটে থেকে চারটের মধ্যে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। গলায় রক্তের দাগ মিলেছে। পাশাপাশি তাঁর যৌনাঙ্গে ক্ষতর চিহ্ন মিলেছে। তদন্তকারীরা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত যে ওই মহিলা পড়ুয়া চিকিৎসকের মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাঁর গলা টিপে ধরা হয়েছিল।

কলকাতা, 10 অগস্ট: আরজি কর হাসপাতালে উদ্ধার হওয়া ট্রেনি মহিলা পড়ুয়া মৃত্য়ুতে টালা থানায় খুনের মামলা রুজু করল পুলিশ ৷ দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এবার স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা শিট গঠন হয়েছে । এই শিটের মাথায় রয়েছেন কলকাতা পুলিশের একজন অতিরিক্ত নগরপাল পদের আধিকারিক। আছেন লালবাজারের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দারাও।

দেহ দেখে এবং পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তদন্তকারীদের প্রাথমিকভাবে অনুমান, ওই পড়ুয়া মহিলা চিকিৎসকের সঙ্গে প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে নির্যাতন চালানো হয়েছিল। দেহের পূর্ণাঙ্গ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হবে। পাশাপাশি শনিবার ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা দুপুরের মধ্যেই তাদের একটি প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেবে লালবাজারে। সেখান থেকেও একটি ধারণা পাবেন তদন্তকারীরা।

জানা গিয়েছে, শুক্রবারই আরজি কর হাসপাতালের বেশ কয়েকজন চিকিৎসক’কে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হয়। শনিবারও তাদের এবং আরও বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে লালবাজার সূত্রের খবর। এই ঘটনা ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, ওই মহিলা পড়ুয়া-চিকিৎসক কিভাবে রাত দু’টোর পর খাওয়া শেষ করে উপরে নির্জন জায়গায় গেলেন ? তাঁকে কি যেতে বলা হয়েছিল ? মহিলা চিকিৎসকের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা । তাঁর সঙ্গে কারা কারা কথা বলতে এবং শেষ ফোনে কার সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল সেই বিষয়টি ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েলকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন যে দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে। পাশাপাশি ওই পড়ুয়া চিকিৎসকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব প্রকারের আশ্বাস তিনি দিয়েছেন পরিবারকে।

শুক্রবার, সকালে আরজি কর হাসপাতালে চারতলা থেকে এক মহিলা পড়ুয়া চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায়। দেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। শুক্রবার লালবাজারে আসে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট । ময়নাতদন্তে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে ওই তরুণীর গলার হাড় ভাঙ্গা ছিল। ধস্তাধস্তির প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। ভোর তিনটে থেকে চারটের মধ্যে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। গলায় রক্তের দাগ মিলেছে। পাশাপাশি তাঁর যৌনাঙ্গে ক্ষতর চিহ্ন মিলেছে। তদন্তকারীরা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত যে ওই মহিলা পড়ুয়া চিকিৎসকের মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাঁর গলা টিপে ধরা হয়েছিল।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.