ব্যারাকপুর, 24 ডিসেম্বর: বচসা ও কথা কাটাকাটির জেরে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের একটি বারে গুলি চলল ৷ এক কর্মচারীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে মালিকের বিরুদ্ধে ৷ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বারের কর্মচারী শৈবাল ঘোষ ওরফে সানুকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ৷ ঘটনা ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে শিবদাসপুর থানা এলাকায় ৷
পুলিশ অভিযুক্ত বার মালিক তন্ময় ঘোষ ওরফে সোনু-কে গ্রেফতার করেছে ৷ বচসার জেরে এই ঘটনা নাকি এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ শিবদাসপুর থানার অন্তর্গত কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের পাশেই রয়েছে সোনু হোটেল কাম বার ৷ তারই বর্তমান মালিক তন্ময় ঘোষ ওরফে সোনু ৷
সূত্রের খবর, সোমবার গভীর রাতে ক্রেতাদের ভিড় ছিল বারে। তা সামাল দিচ্ছিলেন কাঁচরাপাড়ার বাসিন্দা বারের কর্মী শৈবাল ঘোষ ৷ কোনও কারণে আচমকা বার মালিক তন্ময়ের সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি শুরু হয় । ক্রমে তা বিরাট আকার নেয় ৷ এরপর হঠাৎই তন্ময় পকেট থেকে রিলভবার বের করে শৈবালকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে দেন বলে অভিযোগ ৷ গুলি গিয়ে লাগে ওই কর্মচারীর পায়ে ৷ রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি ৷ ভিড়ে ঠাসা বারের মধ্যে আচমকা গুলির শব্দে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় ক্রেতাদের মধ্যে ৷ তীব্র আতঙ্ক ছড়ায় সেখানে ৷
খবর পেয়ে শিবদাসপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই কর্মীকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় ৷ পরে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে সেখান থেকে স্থানান্তরিত করে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ৷ আপাতত তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন ৷
এদিকে, এই শুটআউটের ঘটনায় রাজনৈতিক রং লেগেছে ৷ অভিযুক্ত বার মালিককে বিজেপি কর্মী বলে দাবি করেছেন নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক সনৎ দে ৷ তিনি বলেন, "যে ছেলেটি গুলি চালিয়েছে সে সবসময় মদ্যপ থাকে ৷ এর আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে ৷ রবিবার শ্যামনগরে বিজেপির উদ্যোগে একটি বনভোজনে তন্ময় নামে ওই ছেলেটির সঙ্গে দিলীপ ঘোষের বাকবিতণ্ডা হয়েছিল ৷ সেটা অবশ্য ওদের দলের ব্যাপার ৷ তারপর সেখান থেকে ফিরে এসে যে কী হল গুলি চালিয়ে দিল ৷"
বিধায়কের মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছে গেরুয়া শিবিরও ৷ এই বিষয়ে বিজেপি নেতা আবিষ্কার ভট্টাচার্য বলেন, "বিধায়ক কি নিজে ওই বনভোজনে উপস্থিত ছিলেন ? নাকি উনি লোক পাঠিয়েছিলেন ? তা না হলে উনি জানলেন কী করে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে কার গণ্ডগোল হয়েছে ? আসলে এসব দায় এড়ানোর চেষ্টা !"