কৃষ্ণগঞ্জ, 9 জানুয়ারি: নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জে আবারও গ্রেফতার বাংলাদেশের নাগরিক। বৃহস্পতিবার সকালে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ 32 বছর বয়সি পারভিন বেগম নামে এক বাংলাদেশি মহিলাকে গ্রেফতার করে। ধৃতকে জেরা করে জানা গিয়েছে, তিনি একা ছিলেন না। তাঁরা মোট 7 জন ছিলেন। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
তদন্ততকারীদের তিনি জানিয়েছেন, 8 মাস আগে উত্তর 24 পরগনার বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে আসেন। এরপর মুম্বইয়ে কাজ করতে যান। সেখানকার কবরখানা এলাকায় পরিচারিকার কাজ করতেন ৷ মুম্বই এবং তার আশপাশের এলাকায় পুলিশের ধরপাকড় হচ্ছে আর সেই ভয়ে পশ্চিমবঙ্গে পালিয়ে এসেছেন তিনি ৷ পুলিশ ওই মহিলার কাছ থেকে 3টি মোবাইল, 2টি নতুন ঘড়ি, একটি ক্যামেরা, আধার কার্ড, প্যান কার্ড ও কিছু ভারতীয় টাকা উদ্ধার করে।
সূত্রের খবর, গ্রেফতার হওয়ার পর পারভিন পুলিশকে জানান, এদেশে গ্রেফতার হতে পারেন সেই ভয়ে কোনও অসৎ উপায়ে বাংলাদেশে ফেরত যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তার আগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বাড়ি বাংলাদেশের নড়াইল জেলার, কালিয়া থানার কেরলিয়া গ্রামে ৷ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর বৈধ কাগজপত্র না-থাকায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ ওই মহিলাকে কৃষ্ণনগর জেলা আদালতে পাঠায়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তাঁরা মোট 7 জন ছিল। বাকিরা পালিয়ে গেলেও ওই মহিলা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান।
ইতিমধ্যেই সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান, সম্ভবত গেদে সীমান্ত দিয়ে লুকিয়ে বাংলাদেশে যাওয়াই তাঁদের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল। এর আগে গতকাল অবৈধভাবে ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্ত পারাপারের অভিযোগে 7 বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করে বিএসএফ জওয়ানরা ৷ পাশাপাশি, দু'জন ভারতীয় দালালকেও গ্রেফতার করা হয় ৷