হরিহরপাড়া (মুর্শিদাবাদ), 18 অক্টোবর: এ যেন ঠিক কেঁচো খুঁড়তে কেউটে ! তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগে এক কংগ্রেস নেতাকে গ্রেফতার করতে গিয়ে উদ্ধার হল জাল নোট ৷
খুনের অভিযোগে তো তাঁকে গ্রেফতার করা হলই ৷ পাশাপাশি শুরু হল জাল নোটের মামলা ৷ পুলিশ এখন খতিয়ে দেখছে যে জুলফিকার আলি ওরফে ভুট্টু নামের এই কংগ্রেস নেতা জাল নোট পাচার চক্রের সঙ্গেও জড়িত কি না !
ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার ৷ সেখানকার মিয়ারবাগান কাশিমনগর এলাকা থেকে ভুট্টুকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ বৃহস্পতিবার বিকেলে যখন তাঁকে ধরা হয়, সেই সময় তাঁর কাছ থেকে 40টি পাঁচশো টাকার নোট ৷ পরে পুলিশ দেখে যে ওই নোটগুলি জাল ৷
যে তৃণমূল নেতাকে খুনের অভিযোগে ভুট্টুকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁর নাম সনাতন ঘোষ ৷ গত 9 জুন তাঁকে খুন করা হয় ৷ সেই খুনের ঘটনাতেই নাম জড়িয়েছিল ভুট্টুর ৷ বৃহস্পতিবার বিকেলে সেই মামলাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ৷ কিন্তু তাঁর কাছ থেকে জাল নোট পাওয়া যাওয়ায়, পুলিশ সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে ৷
মুর্শিদাবাদ বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন জেলা ৷ তাই এই জেলা থেকে প্রায়ই জাল নোট পাচার চক্রের সক্রিয়তার অভিযোগ পাওয়া যায় ৷ ভুট্টুও তেমন কোনও চক্রের সঙ্গে জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ আদালতে পেশের পর আপাতত তাঁকে হেফাজতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা ৷ এবার পুলিশ তাঁকে জেরা করে এই নিয়ে বিস্তারিত তথ্য বের করতে চাইছে ৷
ভুট্টু হরিহরপাড়ার নাজিরপুর গ্রামের বাসিন্দা ৷ তিনি সেখানকার চোঁয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতির ৷ তাঁর নাম খুনের ঘটনা ও জাল নোট পাচারের সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে ৷ এই নিয়ে অবশ্য তৃণমূলের কারও প্রতিক্রিয়া মেলেনি ৷
তবে কংগ্রেসের হরিহরপাড়া ব্লকের সভাপতি জাহাঙ্গির শাহ বলেন, ‘‘পুলিশি তদন্তের বিষয় ৷ পুলিশ তদন্ত করে ন্যায়-অন্যায় বিচার করবে ৷ উনি প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি৷ কংগ্রেস কর্মী হিসেবে বহু মানুষ রাজনীতিতে জড়িত থাকে ৷ কিন্তু মানুষ কোনও ভুল করলে তা বিচারের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় ৷ আশা করব পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করবে ৷ দোষীদের রেয়াত করার কথা কংগ্রেস বলে না ৷ আইনের উপর কংগ্রেসের আস্থা আছে ৷’’