কলকাতা, 25 জানুয়ারি: নমো নবমতদাতা সম্মেলন দেখাতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়ল বিজেপি ৷ খুলে নেওয়া হল জায়েন্ট স্ক্রিনগুলি ৷ উত্তর কলকাতা-সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় এই ছবি দেখা গেল বৃহস্পতিবার ৷ একদিকে যখন পুলিশের বিরুদ্ধে নবমতদাতা অনুষ্ঠান দেখাতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি । পালটা পুলিশের দাবি, এই অনুষ্ঠান করার অনুমতি নেই ৷ তাই খুলে নেওয়া হয়েছে জায়ান্ট স্ক্রিনগুলি ।
শহরের অন্যান্য জায়গার পাশাপাশি এদিন শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনের সামনেও নবমতদাতা অনুষ্ঠান দেখানোর প্রস্তুতি চলছিল ৷ সেখানেও বাধা দেয় পুলিশ । এলইডি স্ক্রিন খুলে নেওয়া হয় পুলিশের তরফে । এরপরেই শ্যামবাজারে বিজেপির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ দেখানো হয় । আজকের এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামী 27 জানুয়ারি অর্থাৎ শনিবার প্রতিটা মণ্ডলে পথ অবরোধ ও মিছিলের ডাক দিয়েছেন উত্তর কলকাতার বিজেপির সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষ ।
ঠিক একইভবে অন্যদিকে এন্টালিতে নমো নবমতদাতা সম্মেলন মঞ্চ বাঁধার কাজ চলছিল ৷ সেসময় পুলিশের তরফে এলইডি স্ক্রিন খুলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে । উত্তর কলকাতার বিজেপি কার্যকর্তা সুরাজ কুমার সিংহ বলেন, "কলেজ স্কোয়ার বা লেবুতলা মাঠের ভেতরে বা বাইরে কোথাও অনুষ্ঠান দেখাতে দিল না পুলিশ প্রশাসন । যদিও উত্তর কলকাতা যুবমোর্চা শাখার পক্ষ থেকে তিন দিন আগেই যে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে এই অনুষ্ঠান দেখানো হবে, সেগুলির বিস্তারিত তথ্য দিয়ে স্থানীয় পুলিশদের মেল পাঠানো হয়েছিল । কিন্তু সেই মেলের কোনও উত্তর আসেনি । আজ যথারীতি অনুষ্ঠান করার জন্য মঞ্চ বাঁধার সময় পুলিশের তরফে অনুমতি নেই সেই অভিযোগে বাধা মেলে ।" অন্যান্য জায়গায় অনেক ঝামেলার পরে অনুষ্ঠান পুনরায় শুরু করা গেলেও লেবুতলা পার্কে অনুষ্ঠান শেষ পর্যন্ত করা যায়নি বলেও জানান তিনি ।
বিজেপি কার্যকর্তা আরও জানান, কাশীপুর ও জোড়াসাঁকোয় সভা করার জন্য পরপর দু'টি স্থান পরিবর্তন করতে হয়েছে ৷ এন্টালিতেও সমস্যা করে পুলিশ ৷ তবে অবশেষে সেখানে অনুষ্ঠান হয় ৷ পুলিশের তরফে শ্যামপুকুর এলাকাতেও বাধা দেওযা হয় বলে অভিযোগ ৷ শেষমেশ অনেক বাধা কাটিয়ে সেখানেও অনুষ্ঠান করা গিয়েছে ৷ এছাড়াও মানিকতলা এবং বেলেঘাটায়ও নমো নবমতদাতা সম্মেলন দেখানো নিয়ে অল্পবিস্তর সমস্যা হয় । তবে চৌরঙ্গি লেবুতলা পার্কে কোনোভাবে অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হয়নি । শুধু শহরেই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় একই ছবি ৷ এই অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে বাধা পেতে হচ্ছে যুব মোর্চার কর্মীদের বলে অভিযোগ ।
এই বিষয় বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা বলেন, "এর থেকেই স্পষ্ট যে রাজ্যে গণতন্ত্র বলে আর কিছুই নেই । এখানে একটা স্বেচ্ছাতন্ত্র স্বৈরতন্ত্র চলছে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত স্বৈরাচারী নেত্রী ভারতে আর কোথাও নেই । তাই বিজেপি এই রাজ্যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারকে এক নম্বর ইস্যু রেখে কাজ করছে । এইভাবে পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে এরা পার পাবে না । ইন্দিরা গান্ধিও জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন । অনেক দমন-পীড়ন করেছিলেন । বহু মানুষকে জেলে পাঠিয়ে ছিলেন । কিন্তু শেষ উদ্ধার হয়নি । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই রাস্তায় হাঁটছেন । অতএব সেই রাস্তায় ধ্বংস ছাড়া সৃষ্টি কোথাও নেই ।"
আরও পড়ুন: