কলকাতা, 11 এপ্রিল: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ । আর তার মধ্যে অন্যতম পয়লা বৈশাখ, বাঙালির নববর্ষ । গুটি গুটি পায়ে 1431 সনের পথে বাংলা ক্যালেন্ডার । বাঙালির পার্বণ মানেই খাওয়াদাওয়া । এই বিশেষ দিনে বাঙালি যেন একটু বেশিই বাঙালি হয়ে যায় । এ দিন তার চাইনিজ, মোঘলাই, কন্টিনেন্টাল মুখে রোচে না । তার চাই সাদা ভাত বা পোলাও, ভাজাভুজি, ডাল, চিংড়ির মালাইকারি, সর্ষে ইলিস, কচি পাঁঠার ঝোল বা সর্ষে মুরগি, চাটনি, পাপড়, মিষ্টি, পায়েস । তা সে বাড়িতে তৈরি করা রান্না হোক বা কোনও রেস্তোরাঁয় গিয়ে কবজি ডুবিয়ে খাওয়া - বাঙালি এ দিন রসিয়ে খাবেই খাবে । উত্তর কলকাতার হাতিবাগানের নাম করা রেস্তোরাঁ 'ভূতের রাজা দিল বর'-এ গিয়ে সেখানকার নববর্ষের খাদ্যতালিকার খোঁজ নিল ইটিভি ভারত । দেখে নিন, এ বারের নববর্ষে পেটপুরে সপিরাবের খেতে এটাকেই আপনার ডেস্টিনেশন করবেন কি না ৷
হাতিবাগানে নতুন শাখা নিয়ে হাজির 'ভূতের রাজা দিল বর'। সেখানে বৈশাখী থালিতে রয়েছে নানা স্বাদের পদ । যে কোনও অতিথির জন্য রয়েছে আম পোড়ার সরবত । আর থালিতে আছে ফিশ ফ্রাই, লুচি, আলুরদম, গাছ পাঁঠার ডালনা, মাছের মাথা দিয়ে সোনা মুগের ডাল, পাঁচ রকমের ভাজা, চিংড়ি মাছের মালাইকারি, ভেটকির পাতুরি, চিংড়ির মালাইকারি, পদ্মা পাড়ের ভাপা ইলিশ, কালো পোড়া পাঁঠার মাংস, খেজুর আমসত্ত্বর চাটনি, রসগোল্লা, পায়েস ।
কাঁসার থালা, বাটিতে পরিবেশন করা হবে সুস্বাদু সব খাবার । প্রবেশের মুখেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন সত্যজিৎ রায় । আর প্রবেশ দ্বারে ভূতের রাজা । ভিতরে গেলে হীরক রাজার দরবার, শুণ্ডির রাজার দরবারে বসে আপনি খেতে পারবেন । আছে হরিতকী আর আমলকী বন । সেখানেও বসে খেতে পারবেন অতিথিরা । 1969 সালে মুক্তি পায় সত্যজিৎ রায় পরিচালিত 'গুপী গাইন বাঘা বাইন'৷ সেই ছবির নানা মুহূর্তই থিম হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে এই রেস্তোরাঁয় ৷ সেই অনবদ্য সৃষ্টির দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েই পরের পর শাখা বিস্তার করেছে 'ভূতের রাজা দিল বর', রেস্তোরাঁর তরফে জানিয়েছেন শ্রীকান্ত মণ্ডল ।
পয়লা বৈশাখে এমন কেতাদুরস্ত বাঙালি খাবারের আয়োজনে মাততে সামান্য কিছুটা গ্যাঁটের কড়ি খরচ করতে হবে ৷ দু'জনের জন্য তৈরি প্লেটের ন্যূনতম খরচ 1699 থেকে ৷ তাতে কী ! বচ্ছরের দিন তো আর রোজ আসে না...৷
আরও পড়ুন: