কলকাতা, 14 জানুয়ারি: গঙ্গাসাগর মেলা শেষ হওয়ার পরের দিন অর্থাৎ 16 জানুয়ারি নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে ৷ কিন্তু নবান্ন অভিযান বন্ধের দাবি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের অনুমতি চেয়ে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ।
কোনও অনামী সংগঠন নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে ৷ সেই অভিযান বন্ধ করতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার আবেদন জানানো হয়।
মামলায় বক্তব্য, 16 জানুয়ারি নবান্ন অভিযানের জন্য রাস্তাঘাটে জ্যাম হতে পারে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। কারণ এদিন গঙ্গাসাগর থেকে তীর্থযাত্রীরা ফিরবেন ৷ ফলে নবান্ন অভিযান বন্ধ করতে আদালতের নির্দেশ জারির দাবি তোলা হয়েছে ৷ এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতির অবশ্য মন্তব্য, "গঙ্গাসাগর তো ডায়মন্ড হারবারের ৷ নবান্ন তো অন্যদিকে। আর এর আগেও তো পুলিশ নবান্ন অভিযান সামলেছে ।"
যদিও মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী বৃহস্পতিবার শুনানি। আগামী 16 জানুয়ারি 'নবান্ন চলো' এই পোস্টার সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে কোন সংগঠন কী দাবিতে এই অভিমানের ডাক দিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। যেখানে 16 তারিখ দুপুর 1টায় ওয়েলিংটন স্কোয়ারে জমায়েতের কথা বলা হয়েছে। সেখান থেকে মিছিল যাবে রাজ্য প্রশাসনের সদর দফতর নবান্নের দিকে।
আইনজীবীর বক্তব্য, এর আগে আরজি করের ঘটনায় ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল কলকাতা, হাওড়ার বিভিন্ন অংশ। প্রতিরোধে লাঠিচার্জ করা হয়। আন্দোলনকারী ও পুলিশ দু'পক্ষই আক্রন্ত হয়েছিল। ইটের ঘায়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন পুলিশ কর্মীরা। ওয়েলিংটন-সহ অন্যান্য জায়গায় ফের জমায়েত করে নবান্ন অভিমান করা হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
যদিও প্রধান বিচারপতি এদিন জানান, ডায়ামন্ড হারবার রোড আর নবান্ন দুটো আলাদা দিক। ফলে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। পুলিশ আগের বার ভালোমত সামলেছে।