নারায়ণগড়, 21 জানুয়ারি: জনসংযোগ কর্মসূচির করতে পশ্চিম মেদিনীপুরের শেষ প্রান্ত নারায়ণগড় বিধানসভায় পৌঁছলেন জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদেরী এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের এসপি ধৃতিমান সরকার ৷ সরকারি অফিসে না বসে তাঁরা গাছতলায় সাধারণ মানুষের মাঝে বসলেন ৷ শুনলেন এলাকার মানুষের সব সমস্যার কথা ৷ কেউ বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছে না, কারও বিধবা ভাতা আটকে রয়েছে, কেউ বা কন্যাশ্রী এখনও পায়নি, কারও কারও শংসাপত্র হয়নি ৷ পাশাপাশি বেহাল রাস্তা, বেআইনি কাজকর্মের কথাও শোনেন তাঁরা ৷ এই কর্মসূচির শেষে এলাকার মানুষের হাতে কয়েকটি শংসাপত্র তুলে দেন তিনি ৷
এদিন জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদেরী বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এসসি, এসটি ও সংখ্যালঘু এলাকায় মানুষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে ও সমস্যা শুনতে এই কর্মসূচি। খুব তাড়াতাড়ি সমস্যাগুলি সমাধান হয়ে যাবে ৷ এদিন তিনি বিডিওকে এলাকায় জাতিগত শংসাপত্র প্রদানের জন্য বিশেষ ক্যাম্প, মেডিক্যাল ক্যাম্প করা ও দ্রুত স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রদানের কড়া নির্দেশ দিয়ে যান ৷" তিনি আরও বলেন, "এই ক্যাম্প সবার জন্য, এসসি, এসটি, জেনারেল, সবাই আসতে পারেন ৷"
শনিবার 20টি সরকারি পরিষেবার কথা তুলে ধরতে এই জনসংযোগ কর্মসূচি করলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার ৷ সঙ্গে ছিল স্থানীয়দের অভাব-অভিযোগের কথাও ৷ শনিবার নারায়ণগড় ব্লকের মেট্যাল জনকল্যাণ নিহারবালা শিক্ষা সদন চত্বরে বসে এই কর্মসূচি করেন প্রশাসনের দুই আধিকারিক ৷
বিদ্যালয় চত্বরে থাকা বটগাছের নীচে চাতালে বসে জনসংযোগ সারতে দেখা যায় জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদেরী ও পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকারকে ৷ এই এলাকায় লোধা সম্প্রদায়ের বসবাস ৷ তাই এই সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলেন আধিকারিকরা ৷ জানা যায়, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের নম্বর থাকলেও কার্ড নেই, নেই জাতিগত শংসাপত্র ৷ ফলে তাঁরা সেই সব সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ৷ এর সঙ্গে এলাকার কয়েকটি বেহাল রাস্তা সংস্কারের কথাও জানায় স্থানীয়রা ৷
এদিকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তা বেহাল ৷ সেই অভিযোগও পেয়েছে প্রশাসন ৷ এদিন হাতের কাছে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের পেয়ে এলাকার মানুষ তাঁদের ঘিরে ধরেন ৷
আরও পড়ুন: