ETV Bharat / state

দফতরে ছুটে যাওয়ার দিন শেষ, এক ক্লিকেই মিলবে পঞ্চায়েতের সব শংসাপত্র - PANCHAYAT CERTIFICATES ONLINE

দফতরে ছুটে যাওয়ার দিন শেষ ৷ এবার এক ক্লিকেই হাতে আসবে পঞ্চায়েতের সমস্ত শংসাপত্র ৷ মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে নদিয়া।

PANCHAYAT CERTIFICATES ONLINE
এক ক্লিকেই হাতে পঞ্চায়েতের শংসাপত্র (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 27, 2024, 10:05 PM IST

নদিয়া, 27 ডিসেম্বর: দফতরে ছুটে যাওয়ার দিন শেষ ৷ এবার এক ক্লিকেই হাতে আসবে পঞ্চায়েতের সমস্ত শংসাপত্র ৷ বাসিন্দা সার্টিফিকেট কিংবা ইনকাম সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য এবার থেকে আর পঞ্চায়েত দফতরে ছুটে যেতে হবে না। ঘরে বসে মোবাইলে ক্লিক করলেই মিলবে সার্টিফিকেট। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে শুক্রবার থেকেই শুরু হচ্ছে পরিষেবা।

মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে নদিয়া। মূলত এতদিন পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দাদের যদি কখনও বাসিন্দা সার্টিফিকেট কিংবা ইনকাম সার্টিফিকেট প্রয়োজন হত তাহলে ছুটে যেতে হত স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের কাছে ৷ অথবা যেতে হয় স্থানীয় পঞ্চায়েত দফতরে। মূলত গ্রাম বাংলার বেশিরভাগ মানুষ দিনমজুর ৷ সেক্ষেত্রে কাজে ছুটি নিয়ে তাদের ছুটে যেতে হয় পঞ্চায়েত দফতরে ।

এক ক্লিকেই হাতে পঞ্চায়েতের শংসাপত্র (ইটিভি ভারত)

পঞ্চায়েতে গেলেই যে সার্টিফিকেট মিলবে তার নিশ্চয়তা থাকে না। তার কারণ যিনি সার্টিফিকেট লেখেন অথবা প্রদান করেন তিনি যদি কোনও কারণে পঞ্চায়েতে হাজির না থাকেন সেক্ষেত্রে ফের পরের দিন আবার যেতে হবে। একদিকে যেমন সময়ের ব্যয় হয়, অন্যদিকে কাজ বন্ধ রাখার কারণে আর্থিক দিকেও ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় মানুষকে।

মূলত সেই কথা মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে পঞ্চায়েত দফতরের তরফে অনলাইন সার্টিফিকেটের কথা ঘোষণা করা হয়। এদিন থেকেই কার্যকরী হওয়ার কথা সেই পরিষেবার। জানা গিয়েছে, এর জন্য একটি পোর্টাল চালু করা হয়েছে। সেই পোর্টালে গিয়ে নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করলেই মিলবে এই সার্টিফিকেট।

পাশাপাশি সার্টিফিকেট পাওয়ার ক্ষেত্রে যাতে কোনও অসুবিধা না হয় এবং একজনের সার্টিফিকেট যাতে অন্যজন না পায় সেই কারণে পোর্টালের প্রথমেই আবেদনকারীর মোবাইল নম্বর দিতে হবে। সেই মোবাইলে একটি ওটিপি যাবে। ওই ওটিপির মাধ্যমে আবেদনকারী তার সার্টিফিকেট হাতে পাবেন। এই পরিষেবা চালু হওয়ার কারণে সাধারণভাবে খুশি এলাকাবাসী। তাঁরা জানান এতে এক রকম হয়রানি থেকেও মুক্তি পাবে তারা। অন্যদিকে, তাদের কাজ বন্ধ রেখে পঞ্চায়েতে ছুটে যেতে হবে না।

এই বিষয়ে এক পঞ্চায়েত প্রধান জানান, এই পরিষেবা চালু হওয়ার কারণে অনেকটাই চাপ কমবে জনপ্রতিনিধি তথা পঞ্চায়েত কর্মীদের ৷ পাশাপাশি অনেকটাই সুবিধা হবে এলাকাবাসীর। সেই কারণে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা রাজ্য সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। যদিও মুখ্যমন্ত্রী তথা সরকারের এই উদ্যোগ খুব মানুষের সাহায্যে আসবে তা স্বীকার করতে চাইছেন না বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নৃপেন মণ্ডল বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগ নিয়েছেন ঠিকই কিন্তু এতে দুর্নীতি অনেকটাই বেড়ে যাবে। এর আগেও বিভিন্ন অনলাইনে প্রতারণার কথা আমরা দেখে এসেছি। অনলাইনে সার্টিফিকেট পাওয়ার পরিষেবা চালু হলে টাকার বিনিময়ে সার্টিফিকেট প্রদান করার সম্ভাবনা বাড়বে।"

নদিয়া, 27 ডিসেম্বর: দফতরে ছুটে যাওয়ার দিন শেষ ৷ এবার এক ক্লিকেই হাতে আসবে পঞ্চায়েতের সমস্ত শংসাপত্র ৷ বাসিন্দা সার্টিফিকেট কিংবা ইনকাম সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য এবার থেকে আর পঞ্চায়েত দফতরে ছুটে যেতে হবে না। ঘরে বসে মোবাইলে ক্লিক করলেই মিলবে সার্টিফিকেট। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে শুক্রবার থেকেই শুরু হচ্ছে পরিষেবা।

মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে নদিয়া। মূলত এতদিন পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দাদের যদি কখনও বাসিন্দা সার্টিফিকেট কিংবা ইনকাম সার্টিফিকেট প্রয়োজন হত তাহলে ছুটে যেতে হত স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের কাছে ৷ অথবা যেতে হয় স্থানীয় পঞ্চায়েত দফতরে। মূলত গ্রাম বাংলার বেশিরভাগ মানুষ দিনমজুর ৷ সেক্ষেত্রে কাজে ছুটি নিয়ে তাদের ছুটে যেতে হয় পঞ্চায়েত দফতরে ।

এক ক্লিকেই হাতে পঞ্চায়েতের শংসাপত্র (ইটিভি ভারত)

পঞ্চায়েতে গেলেই যে সার্টিফিকেট মিলবে তার নিশ্চয়তা থাকে না। তার কারণ যিনি সার্টিফিকেট লেখেন অথবা প্রদান করেন তিনি যদি কোনও কারণে পঞ্চায়েতে হাজির না থাকেন সেক্ষেত্রে ফের পরের দিন আবার যেতে হবে। একদিকে যেমন সময়ের ব্যয় হয়, অন্যদিকে কাজ বন্ধ রাখার কারণে আর্থিক দিকেও ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় মানুষকে।

মূলত সেই কথা মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে পঞ্চায়েত দফতরের তরফে অনলাইন সার্টিফিকেটের কথা ঘোষণা করা হয়। এদিন থেকেই কার্যকরী হওয়ার কথা সেই পরিষেবার। জানা গিয়েছে, এর জন্য একটি পোর্টাল চালু করা হয়েছে। সেই পোর্টালে গিয়ে নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করলেই মিলবে এই সার্টিফিকেট।

পাশাপাশি সার্টিফিকেট পাওয়ার ক্ষেত্রে যাতে কোনও অসুবিধা না হয় এবং একজনের সার্টিফিকেট যাতে অন্যজন না পায় সেই কারণে পোর্টালের প্রথমেই আবেদনকারীর মোবাইল নম্বর দিতে হবে। সেই মোবাইলে একটি ওটিপি যাবে। ওই ওটিপির মাধ্যমে আবেদনকারী তার সার্টিফিকেট হাতে পাবেন। এই পরিষেবা চালু হওয়ার কারণে সাধারণভাবে খুশি এলাকাবাসী। তাঁরা জানান এতে এক রকম হয়রানি থেকেও মুক্তি পাবে তারা। অন্যদিকে, তাদের কাজ বন্ধ রেখে পঞ্চায়েতে ছুটে যেতে হবে না।

এই বিষয়ে এক পঞ্চায়েত প্রধান জানান, এই পরিষেবা চালু হওয়ার কারণে অনেকটাই চাপ কমবে জনপ্রতিনিধি তথা পঞ্চায়েত কর্মীদের ৷ পাশাপাশি অনেকটাই সুবিধা হবে এলাকাবাসীর। সেই কারণে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা রাজ্য সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। যদিও মুখ্যমন্ত্রী তথা সরকারের এই উদ্যোগ খুব মানুষের সাহায্যে আসবে তা স্বীকার করতে চাইছেন না বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নৃপেন মণ্ডল বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগ নিয়েছেন ঠিকই কিন্তু এতে দুর্নীতি অনেকটাই বেড়ে যাবে। এর আগেও বিভিন্ন অনলাইনে প্রতারণার কথা আমরা দেখে এসেছি। অনলাইনে সার্টিফিকেট পাওয়ার পরিষেবা চালু হলে টাকার বিনিময়ে সার্টিফিকেট প্রদান করার সম্ভাবনা বাড়বে।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.