ব্যান্ডেল, 3 সেপ্টেম্বর: 'ক্লাউড কিচেন' চালিয়েও আরজি কর কাণ্ডের স্বতন্ত্র প্রতিবাদ সুচিস্মিতার। তিলোত্তমার সুবিচার চেয়ে দেশ-বিদেশের সমস্ত মানুষ গর্জে উঠেছে। শত কাজের মধ্যে সেই প্রতিবাদ থেকে নিজেকে আলাদা করতে পারেননি ব্যান্ডেলের সুচিস্মিতা ভট্টাচার্য। তিনি 6 বছর ধরে স্বনির্ভর হওয়ার তাগিদে লোকের বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দিতেন। গত তিন বছর ধরে অনলাইনে 'ক্লাউড কিচেন' চালাচ্ছেন তিনি।
সাধারণ মহিলারা যেমন রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছে। তিনি সেই পথে না-হেঁটে ব্যবসার মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তিনি জাস্টিস চেয়ে খাবারের রশিদ ছাপিয়েছেন। তাতে লেখা, "উই ওয়ান্ট জাস্টিস', ফর আরজি কর কেস।" এই রশিদ ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে বলেই তাঁর ধারণা। তাঁর মতে, "সকলের মধ্যে প্রতিবাদের ঝড় না-উঠলে সুবিচার পাবে না নির্যাতিতা ৷" আর এই প্রতিবাদে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই।
ব্যান্ডেলের নারায়ণপুর কলোনির বাসিন্দা সুচিস্মিতা । দীর্ঘদিন ধরে খাবারের হোম ডেলিভারির কাজ করছেন। গত তিন বছর ধরে অনলাইনের মাধ্যমে খাবার সরবরাহ করে আসছেন। খাবারের চাহিদা বাড়ায় স্বামী বেসরকারি কাজ ছেড়ে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। তাঁদের একটি সন্তানও আছে।নিজেকে স্বনির্ভর করতে সংসারের আর্থিক হাল ফেরাতেই এই খাবারের হোম ডেলিভারি তৈরির চিন্তাভাবনা। সংসার ও ব্যবসার চাপে সকলের মতো তিনি রাজ পথে হাঁটতে পারেনি তো কী হয়েছে? তিনি প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তাঁর মতো করে। তিনি সমাজের কাছে প্রশ্ন তুলেছেন, পশ্চিম বাংলায় কি মহিলারা সুরক্ষিত? মহিলা চিকিৎসকরা কি সুরক্ষিত? সেখানে আরও লেখা, সরব হন আপনিও, বিচার চায় নির্যাতিতার ৷
সুচিস্মিতা বলেন, "যে কোনও ভাবেই প্রতিবাদ করা যেতে পারে। আমি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকায় মিছিলে সবার সঙ্গে হাঁটতে পারছি না। তবে আমারও প্রতিবাদ থেমে থাকেনি। জুনিয়ার ডাক্তাররা দিনের পর দিন রাস্তায় বসে রয়েছেন বিচারের দাবিতে। তাঁদের পাশে গিয়ে আন্দোলনে যোগ দেওয়া আমার ইচ্ছা ছিল কিন্তু আমি যেহেতু ব্যবসা করি তাই তাঁদের পাশে বা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করার সম্ভব হয়নি। আমিও একজন মহিলা তাই নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের আমিও দাবি জানাই।"