কালিম্পং, 17 জানুয়ারি: আগেও চেষ্টা হয়েছিল ৷ তখনও প্রশাসনের সতর্কতায় বানচাল হয়েছিল ছক ৷ নতুন বছরে ফের চোরাপথে সিকিমের মদ বাংলায় পাচারের চেষ্টা বানচাল করল আবগারি দফতর ৷ অভিযোগ, কালিম্পংয়ের একটি গ্রাম থেকে এক হাজার লিটার সিকিমের মদ বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৷
মূলত, বিপুল পরিমাণ কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য অবৈধভাবে পাহাড়ের প্রত্যন্ত গ্রামের রাস্তাগুলিকে ব্যবহার করছে পাচারকারীরা ৷ তবে, তারা তাতে সফল হতে পারেনি ৷ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, কালিম্পং জেলার গরুবাথান ব্লকের ঘন্টিদাঁড়ার সামাবেয়ং চা বাগান এলাকায় অভিযান চালায় আবগারি দফতর ৷ সেই অভিযানে, সব মিলিয়ে 122 কার্টুন মদ অর্থাৎ, প্রায় এক হাজার লিটার মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷ যার আনুমানিক বাজারমূল্য 16 লক্ষ 30 হাজার টাকা ৷
তবে, আবগারি দফতর ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই পাচারকারীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায় ৷ আবগারি দফতরের আধিকারিকদের হাতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি এসেছে বলেও সূত্রে খবর ৷
প্রাথমিক তদন্তে আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, এই বিপুল পরিমাণ অবৈধ মদ সিকিম থেকে পাহাড়ের পথে বাংলার বিভিন্ন জেলায় পাচারের পরিকল্পনা ছিল ৷ সিকিমের মাল্লিতে থাকা আবগারি দফতরের চেকপোস্টকে ফাঁকি দিয়ে রেহনোক হয়ে, কাগে তারপর কোলাখাম দিয়ে সামাবেয়ং চা-বাগান এলাকায় এনে মজুত করা হয়েছিল মদের কার্টুনগুলি ৷ সেখান থেকে ফের পাহাড়ি পথে সমতলে পৌঁছনোর পরিকল্পনা ছিল পাচারকারীদের ৷
এই বিষয়ে আবগারি দফতরের বিশেষ কমিশনার সুজিত দাস বলেন, "এর আগেও সিকিম থেকে অবৈধভাবে মদ পাচারের পরিকল্পনা আমরা ভেস্তে দিতে পেরেছিলাম ৷ এবারও অভিযান চালিয়ে সিকিম থেকে অবৈধভাবে এনে মদ পাচারের ছক আমরা বানচাল করেছি ৷ ঘটনায় কারা জড়িত রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷"
তিনি জানান, "সিকিমে যেহেতু মদের উপর কর কম লাগু করা হয়, আর বাংলায় সম্প্রতি মদের দাম বেড়েছে, সেই কারণে সিকিম থেকে মদ পাহাড় হয়ে রাজ্যে প্রবেশের প্রবণতা বেড়েছে ৷ যে কারণে গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে ৷ প্রত্যেক জেলার আধিকারিকদের নিজেদের নেটওয়ার্ক আরও বেশি সক্রিয় করতে বলা হয়েছে ৷"
প্রসঙ্গত, গত বছর 25 সেপ্টেম্বর একইভাবে সিকিম থেকে অবৈধভাবে মদ পাচারের পরিকল্পনা করেছিল পাচারকারীরা ৷ ঘুম, মানেভঞ্জন হয়ে বাংলায় ঢুকেছিল প্রায় হাজার লিটার সিকিমের মদ ৷ সেই সময় কার্শিয়াংয়ের মকাইবাড়ি চা-বাগান এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই পাচারকারী-সহ প্রায় দশ লক্ষ টাকার অবৈধ মদ বাজেয়াপ্ত করেছিল আবগারি দফতর ৷