ETV Bharat / state

আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের দেহের পাশে ব্লুটুথ হেডফোন! গ্রেফতার এক অভিযুক্ত - Female Doctor Mysterious Death - FEMALE DOCTOR MYSTERIOUS DEATH

Body of Female PGT Doctor Mysteriously Found: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক খুনের ঘটনায় গ্রেফতার এক অভিযুক্ত ৷ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া ব্লুটুথ হেডফোনের সূত্র ধরে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর ৷ ঘটনায় আরও কয়েকজন জড়িত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা ৷

RG KAR MEDICAL COLLEGE
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 10, 2024, 9:55 AM IST

Updated : Aug 10, 2024, 4:33 PM IST

কলকাতা, 10 অগস্ট: আরজি করের মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় গ্রেফতার এক অভিযুক্ত ৷ কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সঞ্জয় দাস নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে । শুক্রবার রাতে তাকে হাসপাতালে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ৷ তার উত্তরে অসঙ্গতি মেলায় শনিবার সকালে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ সেমিনার হল থেকে একটি ব্লুটুথ হেডফোন অংশ পাওয়া যায় ৷ অভিযুক্তের গ্রেফতারির নেপথ্যে রয়েছে সেই হেডফোন ৷

লালবাজার সূত্রে খবর

অভিযুক্তকে টালা থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে । লালবাজার সূত্রের খবর, সে হাসপাতালের কোনও কর্মচারী নয় ৷ তাই সঞ্জয় রায় একজন বহিরাগত ৷ কীভাবে সে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চার তলায় পৌঁছল ? তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তদন্তকারী থেকে শুরু করে হাসপাতালের চিকিৎসক-পড়ুয়ারা ৷

লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্নাতকোত্তর স্তরের মহিলা পড়ুয়া চিকিৎসকের দেহ সেমিনার হলে পড়েছিল ৷ ঠিক তার পাশেই ছিল ব্লুটুথ হেডফোন ৷ তবে তা ঠিক কার, তা নিশ্চিত করে জানা যায়নি ৷ কিন্তু ব্লুটুথ হেডফোনের সূত্র ধরেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷

এই ঘটনায় তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের তরফ থেকে একটি স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম অর্থাৎ সিট গঠন করা হয়েছে ৷ এই স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের মাথায় রয়েছেন কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত নগরপাল পদমর্যাদার এক পুলিশ আধিকারিক ৷

তদন্তে উঠে আসা প্রশ্ন

আপাতত তদন্তে গোয়েন্দাদের অনুমান, ধস্তাধস্তি এবং ধাক্কাধাক্কির ফলেই তা ভেঙে গিয়েছে ৷ এখানেই প্রশ্ন উঠেছে যে তাহলে কি নির্যাতিতা মহিলা পড়ুয়া চিকিৎসক রাত দু’টোর পর ফোনে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল ? এছাড়াও সবথেকে বড় প্রশ্ন, সেমিনার হলের মতো একটি জায়গায় কেন সিসিটিভি ক্যামেরা নেই ? তারই উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা ৷ পড়ুয়া-চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হলে, তা কীভাবে হয়েছে, তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের । এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অনুমান, সঞ্জয় দাস একা নন, তাঁর সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিলেন ৷

হাসপাতালের কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে ৷ পুলিশের দাবি, গ্রেফতার হওয়া সঞ্জয় রায় বহিরাগত। তাহলে প্রশ্ন, কীভাবে হাসপাতালের ভিতরে প্রবেশ করে এই প্রকারের একটি জঘন্য অপরাধের ঘটনা ঘটাতে পারল ? কেন একজন বহিরাগত হাসপাতালের অন্দরে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে ? কেউ কেন তাকে আটকাল না ? তাহলে কি সঞ্জয় দাস-সহ একাধিক বহিরাগতরা হাসপাতালে প্রবেশের অনুমতি পেত ?

শুক্রবার সকালে আরজি কর হাসপাতালের চার তলা থেকে হাসপাতালের পড়ুয়া মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয় ৷ এই ঘটনায় গোটা হাসপাতাল চত্বর উত্তাল হয়ে ওঠে ৷ অভিযোগ, ওই কর্তব্যরত মহিলা পড়ুয়া চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ৷ এই ঘটনায় স্থানীয় টালা থানায় এফআইআর রুজু করা হয় ৷

পরে ধর্ষণের মামলা সংযুক্ত করে কলকাতা পুলিশ ৷ গতকাল ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু চুল উদ্ধার করেছিলেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ৷ সেই সব চুলের নমুনা ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রাথমিকভাবে অনুমান, ওই মহিলা পড়ুয়া চিকিৎসকের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়েছিল ৷ ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারেন ৷ শনিবার ফের আরজি কর হাসপাতালে যাবেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ৷

কলকাতা, 10 অগস্ট: আরজি করের মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় গ্রেফতার এক অভিযুক্ত ৷ কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সঞ্জয় দাস নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে । শুক্রবার রাতে তাকে হাসপাতালে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ৷ তার উত্তরে অসঙ্গতি মেলায় শনিবার সকালে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ সেমিনার হল থেকে একটি ব্লুটুথ হেডফোন অংশ পাওয়া যায় ৷ অভিযুক্তের গ্রেফতারির নেপথ্যে রয়েছে সেই হেডফোন ৷

লালবাজার সূত্রে খবর

অভিযুক্তকে টালা থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে । লালবাজার সূত্রের খবর, সে হাসপাতালের কোনও কর্মচারী নয় ৷ তাই সঞ্জয় রায় একজন বহিরাগত ৷ কীভাবে সে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চার তলায় পৌঁছল ? তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তদন্তকারী থেকে শুরু করে হাসপাতালের চিকিৎসক-পড়ুয়ারা ৷

লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্নাতকোত্তর স্তরের মহিলা পড়ুয়া চিকিৎসকের দেহ সেমিনার হলে পড়েছিল ৷ ঠিক তার পাশেই ছিল ব্লুটুথ হেডফোন ৷ তবে তা ঠিক কার, তা নিশ্চিত করে জানা যায়নি ৷ কিন্তু ব্লুটুথ হেডফোনের সূত্র ধরেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷

এই ঘটনায় তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের তরফ থেকে একটি স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম অর্থাৎ সিট গঠন করা হয়েছে ৷ এই স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের মাথায় রয়েছেন কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত নগরপাল পদমর্যাদার এক পুলিশ আধিকারিক ৷

তদন্তে উঠে আসা প্রশ্ন

আপাতত তদন্তে গোয়েন্দাদের অনুমান, ধস্তাধস্তি এবং ধাক্কাধাক্কির ফলেই তা ভেঙে গিয়েছে ৷ এখানেই প্রশ্ন উঠেছে যে তাহলে কি নির্যাতিতা মহিলা পড়ুয়া চিকিৎসক রাত দু’টোর পর ফোনে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল ? এছাড়াও সবথেকে বড় প্রশ্ন, সেমিনার হলের মতো একটি জায়গায় কেন সিসিটিভি ক্যামেরা নেই ? তারই উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা ৷ পড়ুয়া-চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হলে, তা কীভাবে হয়েছে, তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের । এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অনুমান, সঞ্জয় দাস একা নন, তাঁর সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিলেন ৷

হাসপাতালের কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে ৷ পুলিশের দাবি, গ্রেফতার হওয়া সঞ্জয় রায় বহিরাগত। তাহলে প্রশ্ন, কীভাবে হাসপাতালের ভিতরে প্রবেশ করে এই প্রকারের একটি জঘন্য অপরাধের ঘটনা ঘটাতে পারল ? কেন একজন বহিরাগত হাসপাতালের অন্দরে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে ? কেউ কেন তাকে আটকাল না ? তাহলে কি সঞ্জয় দাস-সহ একাধিক বহিরাগতরা হাসপাতালে প্রবেশের অনুমতি পেত ?

শুক্রবার সকালে আরজি কর হাসপাতালের চার তলা থেকে হাসপাতালের পড়ুয়া মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয় ৷ এই ঘটনায় গোটা হাসপাতাল চত্বর উত্তাল হয়ে ওঠে ৷ অভিযোগ, ওই কর্তব্যরত মহিলা পড়ুয়া চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ৷ এই ঘটনায় স্থানীয় টালা থানায় এফআইআর রুজু করা হয় ৷

পরে ধর্ষণের মামলা সংযুক্ত করে কলকাতা পুলিশ ৷ গতকাল ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু চুল উদ্ধার করেছিলেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ৷ সেই সব চুলের নমুনা ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রাথমিকভাবে অনুমান, ওই মহিলা পড়ুয়া চিকিৎসকের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়েছিল ৷ ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারেন ৷ শনিবার ফের আরজি কর হাসপাতালে যাবেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ৷

Last Updated : Aug 10, 2024, 4:33 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.