ETV Bharat / state

ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটা হয় গলা, গল্ফগ্রিনের ঘটনায় গ্রেফতার মৃতার জামাইবাবু - GOLF GREEN MURDER CASE

ধৃতের নাম আতিকুর রহমান ৷ তিনি দক্ষিণ 24 পরগনার বাসিন্দা ৷ তাঁকে জেরা করে বাকি দেহাংশ খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ ৷

Severed head found in Golf Green
গল্ফগ্রিনে মহিলার কাটামুণ্ড উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার জামাইবাবু (ফাইল ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 2 hours ago

ডায়মন্ড হারবার, কলকাতা, 14 ডিসেম্বর: গল্ফগ্রিনে মহিলার কাটামুণ্ড উদ্ধারের ঘটনায় হাড়হিম করা তথ্য পুলিশের হাতে ৷ প্রথমে মহিলাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় । পরে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য তাঁর গলা একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিপুণভাবে কাটা হয় । এরপর ওই মহিলার কাটামুণ্ড একটি বস্তায় ভরে গল্ফগ্রিনের নির্জন এলাকায় আবর্জনার স্তুপে ফেলে আসে ধৃত ব্যক্তি ।

ধৃতকে প্রাথমিকভাবে জেরা করে এমনটাই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা ৷ গল্ফগ্রিনে মহিলার কাটামুণ্ড উদ্ধারের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে লালবাজার ৷ ধৃতের নাম আতিকুর রহমান ৷ তিনি সম্পর্কে মৃতার জামাইবাবু ৷ ধৃত ব্যক্তি পেশায় রং মিস্ত্রি ৷

দক্ষিণ 24 পরগনার ডায়মন্ড হারবারের পঞ্চগ্রাম এলাকা থেকে আতিকুর রহমানকে প্রথমে আটক করা হয় ৷ এরপর ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ ধৃতকে লালবাজারের হাতে তুলে দেয় । যেহেতু মহিলার মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করছে কলকাতা পুলিশ ৷ তাই তাঁকে লালবাজার গ্রেফতার করে ৷

এরই পাশাপাশি কাটামুণ্ড উদ্ধারের ঘটনায় এবার নিহত মহিলার পরিচয় হাতে এল লালবাজারের । পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মহিলা দক্ষিণ 24 পরগনার বাসিন্দা । তাঁর নাম খাতেজা বিবি । জানা গিয়েছে, এই মহিলা বিবাহিত ৷ তবে বর্তমানে স্বামীর সঙ্গে থাকতেন না তিনি । তিনি মূলত কলকাতায় পরিচারিকার কাজ করতে এসেছিলেন । কলকাতার বাঘাযতীনে একটি জায়গায় একাই থাকতেন । তবে তাঁর জামাইবাবুর সঙ্গে সম্পর্কের কী সমীকরণ ছিল, তা এখনও জানা যায়নি । তদন্ত করছে পুলিশ ৷ কী কারণে তাঁর এই পরিণতি হল, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা ।

এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান রূপেশ কুমার বলেন, "গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে । ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে ।" ইতিমধ্যেই লালবাজারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ওই মহিলার ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী হোমিসাইডাল নেচার পাওয়া গিয়েছে । তদন্তে নেমে গোয়েন্দাদের প্রাথমিক অনুমান, ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটাতেই ওই মহিলাকে খুন করা হয় । এরপর তাঁর দেহ বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেওয়া হয় ৷

শুক্রবার সকালে গল্ফগ্রিনে আবর্জনার স্তূপে প্লাস্টিকে মোড়া অবস্থায় এক মহিলার রক্তাক্ত কাটামুণ্ড উদ্ধার হয় ৷ তবে বাকি দেহাংশ কোথায় রয়েছে, তা খুঁজে বার করার চেষ্টা চলছে ৷ তার জন্য শনিবারও ঘটনাস্থলের আশেপাশে স্নিফার ডগ নিয়ে যাওয়া হয় ।

লালবাজারের তরফে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই নিহত মহিলার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে । মূলত ওই মহিলা একটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন । তবে ঘটনার পর থেকে ওই মোবাইল ফোনটি রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে । তাঁর ফোনের লোকেশান ট্রাক করা হচ্ছে ।

লালবাজার সূত্রে আরও খবর, ধৃত ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ওই নিখোঁজ মোবাইল সম্পর্কে জানতে আরও জেরা করা হবে ৷ পাশাপাশি আতিকুর রহমানকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে গোটা ঘটনার পুনর্নির্মাণ করবেন তদন্তকারীরা । এরপরেই বাকি দেহাংশগুলো খুঁজে পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে ৷

ডায়মন্ড হারবার, কলকাতা, 14 ডিসেম্বর: গল্ফগ্রিনে মহিলার কাটামুণ্ড উদ্ধারের ঘটনায় হাড়হিম করা তথ্য পুলিশের হাতে ৷ প্রথমে মহিলাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় । পরে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য তাঁর গলা একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিপুণভাবে কাটা হয় । এরপর ওই মহিলার কাটামুণ্ড একটি বস্তায় ভরে গল্ফগ্রিনের নির্জন এলাকায় আবর্জনার স্তুপে ফেলে আসে ধৃত ব্যক্তি ।

ধৃতকে প্রাথমিকভাবে জেরা করে এমনটাই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা ৷ গল্ফগ্রিনে মহিলার কাটামুণ্ড উদ্ধারের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে লালবাজার ৷ ধৃতের নাম আতিকুর রহমান ৷ তিনি সম্পর্কে মৃতার জামাইবাবু ৷ ধৃত ব্যক্তি পেশায় রং মিস্ত্রি ৷

দক্ষিণ 24 পরগনার ডায়মন্ড হারবারের পঞ্চগ্রাম এলাকা থেকে আতিকুর রহমানকে প্রথমে আটক করা হয় ৷ এরপর ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ ধৃতকে লালবাজারের হাতে তুলে দেয় । যেহেতু মহিলার মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করছে কলকাতা পুলিশ ৷ তাই তাঁকে লালবাজার গ্রেফতার করে ৷

এরই পাশাপাশি কাটামুণ্ড উদ্ধারের ঘটনায় এবার নিহত মহিলার পরিচয় হাতে এল লালবাজারের । পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মহিলা দক্ষিণ 24 পরগনার বাসিন্দা । তাঁর নাম খাতেজা বিবি । জানা গিয়েছে, এই মহিলা বিবাহিত ৷ তবে বর্তমানে স্বামীর সঙ্গে থাকতেন না তিনি । তিনি মূলত কলকাতায় পরিচারিকার কাজ করতে এসেছিলেন । কলকাতার বাঘাযতীনে একটি জায়গায় একাই থাকতেন । তবে তাঁর জামাইবাবুর সঙ্গে সম্পর্কের কী সমীকরণ ছিল, তা এখনও জানা যায়নি । তদন্ত করছে পুলিশ ৷ কী কারণে তাঁর এই পরিণতি হল, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা ।

এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান রূপেশ কুমার বলেন, "গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে । ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে ।" ইতিমধ্যেই লালবাজারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ওই মহিলার ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী হোমিসাইডাল নেচার পাওয়া গিয়েছে । তদন্তে নেমে গোয়েন্দাদের প্রাথমিক অনুমান, ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটাতেই ওই মহিলাকে খুন করা হয় । এরপর তাঁর দেহ বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেওয়া হয় ৷

শুক্রবার সকালে গল্ফগ্রিনে আবর্জনার স্তূপে প্লাস্টিকে মোড়া অবস্থায় এক মহিলার রক্তাক্ত কাটামুণ্ড উদ্ধার হয় ৷ তবে বাকি দেহাংশ কোথায় রয়েছে, তা খুঁজে বার করার চেষ্টা চলছে ৷ তার জন্য শনিবারও ঘটনাস্থলের আশেপাশে স্নিফার ডগ নিয়ে যাওয়া হয় ।

লালবাজারের তরফে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই নিহত মহিলার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে । মূলত ওই মহিলা একটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন । তবে ঘটনার পর থেকে ওই মোবাইল ফোনটি রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে । তাঁর ফোনের লোকেশান ট্রাক করা হচ্ছে ।

লালবাজার সূত্রে আরও খবর, ধৃত ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ওই নিখোঁজ মোবাইল সম্পর্কে জানতে আরও জেরা করা হবে ৷ পাশাপাশি আতিকুর রহমানকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে গোটা ঘটনার পুনর্নির্মাণ করবেন তদন্তকারীরা । এরপরেই বাকি দেহাংশগুলো খুঁজে পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.