ETV Bharat / state

ভেড়াকে উদ্ধার করতে গিয়ে বন্যার জলে তলিয়ে গেলেন বৃদ্ধ - Old Man Drowned

Old Man Drowned: বানভাসি ভূতনি চরে ভেসে যাওয়া ভেড়াকে উদ্ধার করতে গিয়ে বন্যার জলে তলিয়ে গেলেন বৃদ্ধ ৷ যদিও এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি ৷ ঘটনাটি উত্তর চণ্ডীপুর অঞ্চলের পুলিনটোলার এলাকায় ৷

Old Man Drowned
বন্যার জলে তলিয়ে গেলেন বৃদ্ধ (নিজস্ব ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 21, 2024, 7:11 PM IST

মালদা, 21 সেপ্টেম্বর: বাড়ির গবাদি পশুগুলিকে রক্ষা করতে গিয়ে তলিয়ে গেলেন 61 বছরের এক বৃদ্ধ ৷ এখনও তাঁকে উদ্ধার করা যায়নি ৷ তাঁর নাম সৌমেন মণ্ডল ৷ শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে ভূতনি চরে উত্তর চণ্ডীপুর অঞ্চলের পুলিনটোলার এলাকায় ৷ ভূতনি থানার ওসি পবিত্র মাহাতো বলেন, "গবাদি পশুকে রক্ষা করতে গিয়ে আজ এক বৃদ্ধ জলে তলিয়ে গিয়েছেন ৷ তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে ৷ যদিও এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি ৷"

জমে থাকা বন্যার জল বের করতে প্রশাসনিক নির্দেশ অমান্য করে গঙ্গার বাঁধ কেটে দিয়েছিল ভূতনিবাসীর একাংশ ৷ গঙ্গার জলস্তর নামতে শুরু করলে বাঁধের সেই কাটা অংশ দিয়ে জমে থাকা জল বেরোতেও শুরু করে ৷ দুর্গত মানুষজনের একাংশ বাঁধ কেটে দেওয়াকে সমর্থনও করেন ৷ কিন্তু সেই কাটা বাঁধই কাল হয় কয়েকদিন পর ৷ ফুলহরের জলস্তর বাড়তেই সেই জায়গা দিয়ে ফের নদীর জল ঢুকতে শুরু করে ভূতনি চরে ৷ দু'দিন পর বাড়তে শুরু করে গঙ্গার জলস্তরও ৷ ফলে বাঁধের একদিক দিয়ে গঙ্গা, অন্যদিক দিয়ে ফুলহরের জল ফের বান ডেকেছে চরে ৷ ফের বিপন্ন মানুষজন ৷ ভেসে যাওয়া ভেড়াকে উদ্ধার করতে গিয়ে বন্যার জলে তলিয়ে গেলেন বৃদ্ধ ৷

এক মাসেরও বেশি আগে গঙ্গার জলের চাপে ভেঙে যায় ভূতনি চরের উত্তর চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কেশরপুর বাঁধ ৷ বাঁধভাঙা জল ভাসিয়ে দেয় গোটা চর ৷ জমা জল বের করতে দক্ষিণ চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গঙ্গার বাঁধ কেটে দেয় বানভাসি উত্তর চণ্ডীপুরের মানুষজনের একাংশ ৷ সেখান দিয়ে বন্যার জল বেরোতে শুরু করে ৷ কারণ, তখন গঙ্গার জলস্তর কমছিল ৷ কিন্তু ফুলহরের জলস্তর হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় দক্ষিণ চণ্ডীপুরের কাটা বাঁধ দিয়ে জল ঢুকতে শুরু করে ৷ দু’দিন যেতে না যেতেই ফের জল বাড়তে শুরু করে গঙ্গারও ৷ এ দিন বেলা 12টায় গঙ্গার জলস্তর ছিল 25.21 মিটার ৷ যা বিপদসীমা 24.69 মিটার থেকে 52 সেন্টিমিটার বেশি ৷ অন্যদিকে, একই সময় ফুলহর বইছে 26.50 মিটার উচ্চতায় ৷ তবে এই নদী এখনও বিপদসীমা 27.43 মিটার থেকে বেশ খানিকটা নীচে রয়েছে ৷

দুই নদীর জল যে ফের জনজীবন বিপন্ন করে দেবে, তা বুঝতে পেরে এ দিন সকাল আটটা নাগাদ ঘরের গবাদি পশুগুলিকে নিয়ে ভূতনি ব্রিজ সংলগ্ন শংকরটোলা গ্রামে যাচ্ছিলেন বানভাসি উত্তর চণ্ডীপুর অঞ্চলের পুলিনটোলার বাসিন্দা সৌমেন মণ্ডল ৷ সঙ্গে ছিলেন 26 বছর বয়সি ছেলে নিখিলও ৷ দু’জন মিলেই গবাদি পশুগুলিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ পুলিনটোলার জলমগ্ন রাস্তা পেরোনোর সময় হঠাৎ একটি ভেড়া জলের তোড়ে ভেসে যেতে থাকে ৷

ভেড়াটিকে রক্ষা করতে রাস্তা ছেড়ে জলে নেমে যান সৌমেন ৷ কিন্তু জলের প্রবল স্রোতে তিনিও তলিয়ে যেতে থাকেন ৷ বাবাকে রক্ষা করতে নিখিল জলে নামলে তিনিও জলে তলিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ তা দেখে সেখানে উপস্থিত মানুষজন বাবা-ছেলেকে উদ্ধার করতে জলে ঝাঁপিয়ে পড়েন ৷ কোনোরকমে তাঁরা নিখিলকে উদ্ধার করতে পারলেও সৌমেনকে বাঁচাতে পারেননি ৷ স্থানীয়রা নৌকা নিয়ে বৃদ্ধের খোঁজ শুরু করেন ৷ খবর পেয়ে চলে আসে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের জওয়ানরাও ৷ স্পিড বোট নামিয়ে সৌমেনকে উদ্ধারের চেষ্টা শুরু হয় ৷ কিন্তু এই খবর লেখা পর্যন্ত তাঁকে উদ্ধার করা যায়নি ৷

মালদা, 21 সেপ্টেম্বর: বাড়ির গবাদি পশুগুলিকে রক্ষা করতে গিয়ে তলিয়ে গেলেন 61 বছরের এক বৃদ্ধ ৷ এখনও তাঁকে উদ্ধার করা যায়নি ৷ তাঁর নাম সৌমেন মণ্ডল ৷ শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে ভূতনি চরে উত্তর চণ্ডীপুর অঞ্চলের পুলিনটোলার এলাকায় ৷ ভূতনি থানার ওসি পবিত্র মাহাতো বলেন, "গবাদি পশুকে রক্ষা করতে গিয়ে আজ এক বৃদ্ধ জলে তলিয়ে গিয়েছেন ৷ তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে ৷ যদিও এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি ৷"

জমে থাকা বন্যার জল বের করতে প্রশাসনিক নির্দেশ অমান্য করে গঙ্গার বাঁধ কেটে দিয়েছিল ভূতনিবাসীর একাংশ ৷ গঙ্গার জলস্তর নামতে শুরু করলে বাঁধের সেই কাটা অংশ দিয়ে জমে থাকা জল বেরোতেও শুরু করে ৷ দুর্গত মানুষজনের একাংশ বাঁধ কেটে দেওয়াকে সমর্থনও করেন ৷ কিন্তু সেই কাটা বাঁধই কাল হয় কয়েকদিন পর ৷ ফুলহরের জলস্তর বাড়তেই সেই জায়গা দিয়ে ফের নদীর জল ঢুকতে শুরু করে ভূতনি চরে ৷ দু'দিন পর বাড়তে শুরু করে গঙ্গার জলস্তরও ৷ ফলে বাঁধের একদিক দিয়ে গঙ্গা, অন্যদিক দিয়ে ফুলহরের জল ফের বান ডেকেছে চরে ৷ ফের বিপন্ন মানুষজন ৷ ভেসে যাওয়া ভেড়াকে উদ্ধার করতে গিয়ে বন্যার জলে তলিয়ে গেলেন বৃদ্ধ ৷

এক মাসেরও বেশি আগে গঙ্গার জলের চাপে ভেঙে যায় ভূতনি চরের উত্তর চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কেশরপুর বাঁধ ৷ বাঁধভাঙা জল ভাসিয়ে দেয় গোটা চর ৷ জমা জল বের করতে দক্ষিণ চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গঙ্গার বাঁধ কেটে দেয় বানভাসি উত্তর চণ্ডীপুরের মানুষজনের একাংশ ৷ সেখান দিয়ে বন্যার জল বেরোতে শুরু করে ৷ কারণ, তখন গঙ্গার জলস্তর কমছিল ৷ কিন্তু ফুলহরের জলস্তর হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় দক্ষিণ চণ্ডীপুরের কাটা বাঁধ দিয়ে জল ঢুকতে শুরু করে ৷ দু’দিন যেতে না যেতেই ফের জল বাড়তে শুরু করে গঙ্গারও ৷ এ দিন বেলা 12টায় গঙ্গার জলস্তর ছিল 25.21 মিটার ৷ যা বিপদসীমা 24.69 মিটার থেকে 52 সেন্টিমিটার বেশি ৷ অন্যদিকে, একই সময় ফুলহর বইছে 26.50 মিটার উচ্চতায় ৷ তবে এই নদী এখনও বিপদসীমা 27.43 মিটার থেকে বেশ খানিকটা নীচে রয়েছে ৷

দুই নদীর জল যে ফের জনজীবন বিপন্ন করে দেবে, তা বুঝতে পেরে এ দিন সকাল আটটা নাগাদ ঘরের গবাদি পশুগুলিকে নিয়ে ভূতনি ব্রিজ সংলগ্ন শংকরটোলা গ্রামে যাচ্ছিলেন বানভাসি উত্তর চণ্ডীপুর অঞ্চলের পুলিনটোলার বাসিন্দা সৌমেন মণ্ডল ৷ সঙ্গে ছিলেন 26 বছর বয়সি ছেলে নিখিলও ৷ দু’জন মিলেই গবাদি পশুগুলিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ পুলিনটোলার জলমগ্ন রাস্তা পেরোনোর সময় হঠাৎ একটি ভেড়া জলের তোড়ে ভেসে যেতে থাকে ৷

ভেড়াটিকে রক্ষা করতে রাস্তা ছেড়ে জলে নেমে যান সৌমেন ৷ কিন্তু জলের প্রবল স্রোতে তিনিও তলিয়ে যেতে থাকেন ৷ বাবাকে রক্ষা করতে নিখিল জলে নামলে তিনিও জলে তলিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ তা দেখে সেখানে উপস্থিত মানুষজন বাবা-ছেলেকে উদ্ধার করতে জলে ঝাঁপিয়ে পড়েন ৷ কোনোরকমে তাঁরা নিখিলকে উদ্ধার করতে পারলেও সৌমেনকে বাঁচাতে পারেননি ৷ স্থানীয়রা নৌকা নিয়ে বৃদ্ধের খোঁজ শুরু করেন ৷ খবর পেয়ে চলে আসে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের জওয়ানরাও ৷ স্পিড বোট নামিয়ে সৌমেনকে উদ্ধারের চেষ্টা শুরু হয় ৷ কিন্তু এই খবর লেখা পর্যন্ত তাঁকে উদ্ধার করা যায়নি ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.