কলকাতা, 5 সেপ্টেম্বর: শহরের একাধিক হাসপাতাল ঘুরে অবশেষে পাঁচ নম্বর হাসপাতালে ভর্তি হতে পারলেন টালা থানার ওসি ৷ বুধবার বুকে অস্বস্তি অনুভব করেন টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল ৷ তারপরই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বাইপাসের ধারের এক বেসরকারি হাসপাতালে ৷ কিন্তু তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে চায়নি হাসপাতালগুলি ৷ এরপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নিউ আলিপুরের একাধিক হাসপাতালে ৷ সেখানে একটি হাসপাতাল তাঁকে ভর্তি করতে চায়নি ৷ শেষে একবালপুরের একটি হাসপাতালে টালা থানার ওসিকে ভর্তি নেয় ৷
রোগী হেনস্তার ছবি কলকাতা শহরে নতুন নয় ৷ একাধিক হাসপাতাল ঘুরেও ভর্তি হতে পারেন না বহু সাধারণ মানুষ ৷ তবে এই সবকিছু দেখা যায় সরকারি হাসপাতালে ৷ কিন্তু এবার একের পর এক বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরলেন টালা থানার ওসি ৷ বেড থাকলেও সেখানে তাঁকে ভর্তি করা যায়নি ৷
কারণ হিসাবে হাসপাতালগুলি জানান, তাঁর শারীরিক অবস্থা ভর্তি করার মতো ছিল না ৷ তাই টালা থানার ওসিকে ভর্তি নেওয়া হয়নি ৷ যদিও জানা গিয়েছে, টালা থানার ওসি নিজে মনে করছিলেন, হাসপাতালে ভর্তি হলে তাঁর শারীরিক সমস্যার সমাধান হবে ৷
প্রসঙ্গত, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পড়ুয়া ও চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় প্রথম তদন্ত শুরু করেছিল টালা থানা ৷ পরে টালা থানার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেন নির্যাতিতার মা-বাবা ৷ টালা থানার পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁদের অভিযোগ, অভিযোগ দায়েরে দেরি করেছে ৷ এমনকী এই ঘটনাকে শুধুমাত্র একটা অস্বাভাবিক মৃত্যু বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলেই অভিযোগ ৷ ফলে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন তুলেছেন চিকিৎসকসহ সাধারণ মানুষ ৷