কলকাতা, 27 এপ্রিল: পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথম কোনও ঘটনায় ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড কিংবা এনএসজি কমান্ডোরা ঘটনাস্থলে নামাল তাদের পদস্থ অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ড্যান্ট সারমেয়কে। শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করতে একাধিক ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস শনাক্ত করার জন্য এই কাজে সিদ্ধহস্ত বেলজিয়ান ম্যালিনোইস প্রজাতির অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ড্যান্ট পদমর্যাদার এনএসডি কমান্ডার সারমেয় ব্যবহার করতে দেখা গেল ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনএসজির একজন কমান্ড্যান্ট পদমর্যাদার আধিকারিক বলেন, "ইজরায়েল থেকে আনা এই সারমেয় বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। এই প্রজাতির সারমেয় মূলত বোমা কিংবা বিস্ফোরক পদার্থ অর্থাৎ এমোনেশন চিহ্নিত করে তা প্রকাশ্যে আনে ৷ এদিন উত্তর 24 পরগনার সরবেড়িয়ার আবু তালেবের যে বাড়ি থেকে বোমা, কার্তুজ ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, তার পুরো কৃতিত্ব যায় এই বেলজিয়ান ম্যালিনোইস প্রজাতির সারমেয়টির উপর। এই প্রজাতির সারমেয়টি শুক্রবার সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় ওই অভিযুক্তের বাড়ির ভিতরে গিয়ে প্রথমে বোমা এবং এমোনেশনগুলি শনাক্ত করে ৷ তার সংকেত পাওয়ার পরেই ওই বিশেষ রোবট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।
সিবিআইয়ের তরফে একটি প্রেস রিলিজ জারি করে বলা হয়েছে, তল্লাশিতে তিনটি বিদেশি রিভলভার, একটি ভারতীয় রিভলভার, কোল্ট সংস্থার তৈরি পুলিশের ব্যবহার করার একটি রিভলভার, বিদেশে তৈরি একটি পিস্তল, একটি দেশি বন্দুক, 9 মিলিমিটারের 10টি বুলেট, পয়েন্ট 45 ক্যালিবারের 50টি কার্তুজ, 9 মিলিমিটার ক্যালিবারের 120টি কার্তুজ, পয়েন্ট 380 ক্যালিবারের কার্তুজ 50টি, পয়েন্ট 32 ক্যালিবারের 8টি কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে ।
ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকগুলি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। জানা গিয়েছে উদ্ধার হওয়া ওই বোমাগুলি ব্যবহার করা হয় যে কোনও নাশকতামূলক কাজে । সূত্রের খবর, এর মধ্যে রয়েছে গ্রেনেড, হ্যান্ডমেড বোমা ৷ এগুলো নাশকতা বা সন্ত্রাসমূলক কাজে ব্যবহার করা হয়। যদিও এ প্রসঙ্গে এখনও কিছু সরকারিভাবে বলছে না এনএসজি ৷ পাশ্চাত্য দেশে পাওয়া যায় এই ধরনের অস্ত্র।
আরও পড়ুন: