কলকাতা, 22 অক্টোবর: মঙ্গলবার নেই কোনও স্বাস্থ্য ধর্মঘট । সাধারণ মানুষের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্য ধর্মঘট করা থেকে পিছু হটেছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা ৷ এর ফলে মঙ্গলবার রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে স্বাভাবিকভাবেই চলছে রোগী পরিষেবা ৷
জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদারের কথায়, "মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক থেকে আমরা বুঝতে পারলাম প্রশাসনের শারীরিক ভাষা কখনই সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে নয় । তাদের শারীরিক ভাষায় আজকে আমরা অবাক হলাম । কিন্তু প্রশাসন সাধারণ মানুষকে গুরুত্ব না দিলেও আমরা তাঁদের কথা চিন্তা করি । রোগী স্বার্থে আমরা একাধিক দাবি করেছি । তাই সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই স্বাস্থ্য ধর্মঘট আমরা করছি না ।"
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন করে সিনিয়র-সহ সমস্ত চিকিৎসক সমাজ স্বাস্থ্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন । মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে কোনও সুরাহা না-হলে মঙ্গলবার রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে এই স্বাস্থ্য ধর্মঘট করা হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছিল ৷ তবে সোমবার রাতে সাংবাদিক বৈঠক করে স্বাস্থ্য ধর্মঘটের পথ থেকে সরে এসেছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা । এর পাশাপাশি তাঁরা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তাঁদের 17 দিন ধরে চলা অনশন আন্দোলনও । তবে দাবি পূরণ না-হলে ফের অনশনে বসতে পারেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা ।
সোমবার নবান্নের সভাঘরে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । প্রায় দু'ঘণ্টা ধরে দু'পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলে ৷ কিন্তু সেই বৈঠকের পর রাতে জুনিয়র চিকিৎসকেরা জানান, খুব একটা আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি । রাজ্য সরকারের তরফে তাঁদের কিছু দাবি মানা হলেও, এখনও অর্ধেক দাবি অধরা রয়েছে । তা সত্ত্বেও আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের মা-বাবার অনুরোধে অনশন তুলে নেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা ।
জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার বলেন, "সরকার যেন না ভাবেন আমরা ভয় পেয়ে অনশন তুলছি । সাধারণ মানুষ এবং আমাদের দিদির মা-বাবা বারবার বলছেন, তাঁরা একজন সন্তানকে হারিয়েছেন । আর কাউকে হারাতে চান না । সেই জায়গা থেকেই আমরা অনশন তুলছি ।"