ETV Bharat / state

পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর বাড়িকে 'হেরিটেজ' করার দাবি, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি নৈহাটির বিধায়কের - PANDIT HARPRASAD SHASTRI HOUSE

জরাজীর্ণ অবস্থায় বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন চর্যাপদের আবিষ্কর্তা হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর বাড়ি ৷ এই বাড়িতে এসেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ৷

PANDIT HARPRASAD SHASTRI HOUSE
পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর বাড়িকে 'হেরিটেজ' ঘোষণার আবেদন ৷ (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 13, 2025, 2:42 PM IST

নৈহাটি, 13 জানুয়ারি: বাংলার ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম নৈহাটি ৷ বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও তার কৃষ্টির জন্য পরিচিত এই শহর ৷ এখানেই রয়েছে সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মভিটে ৷ শুধু কী তাই ! বাংলার বহু গুণিজনের পদধূলি পড়েছে প্রাচীন এই শহরে ৷ পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী থেকে সাহিত্যিক সমরেশ বসু, সঙ্গীত শিল্পী শ্যামল মিত্রের বসতবাড়িও একসময় ছিল এখানে ৷

যদিও সমরেশ বসু ও শ্যামল মিত্রের আদি বাড়ির অস্তিত্ব এখন আর নেই ৷ শুধুমাত্র টিকে রয়েছে পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর আদি বাড়িটি ৷ সেই বাড়িটির অবস্থাও জরাজীর্ণ ৷ নৈহাটির শাস্ত্রীপাড়া রোডে পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর সেই ভিটে বাঁচাতে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের শরণাপন্ন হলেন নৈহাটির বিধায়ক সনৎ দে ৷

Pandit Harprasad Shastri House
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা বিধায়ক সনৎ দে-র চিঠি ৷ (ইটিভি ভারত)

সম্প্রতি তিনি হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর বাড়িটিকে 'হেরিটেজ' ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে আবেদন জানিয়েছেন ৷ সেই চিঠি নিজে ফেসবুকে পোস্টও করেছেন নৈহাটির বিধায়ক ৷ আর সেই পোস্ট সামনে আসতেই বিধায়ককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নৈহাটিবাসী ৷

Pandit Harprasad Shastri House
নৈহাটিতে পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর বাড়ি ৷ (ইটিভি ভারত)

বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন চর্যাপদ ৷ বাংলা সাহিত্যের ধারক ও বাহক এই চর্যাপদের আবিষ্কর্তা হলেন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ৷ তিনি একাধারে ছিলেন সংস্কৃত পণ্ডিত, ঔপন্যাসিক ও পুঁথি সংগ্রাহক ৷ তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনাগুলির মধ্যে অন‍্যতম বাল্মীকির জয়, মেঘদূত ব্যাখ্যা, বেনের মেয়ে, কাঞ্চনমালা, সচিত্র রামায়ণ, প্রাচীন বাংলার গৌরব, বৌদ্ধধর্ম ইত্যাদি ৷ যা সমৃদ্ধ করেছে বাংলা সাহিত্য ও তার পাঠককে ৷ একসময় তিনি এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতিও ছিলেন ৷

Pandit Harprasad Shastri House
সোশাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠি পোস্ট নৈহাটির বিধায়ক সনৎ দে-র ৷ (ইটিভি ভারত)

শুধু তাই নয়, দীর্ঘ বারো বছর বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সভাপতি পদে ছিলেন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ৷ 1911 সালে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে কোম্পানিয়ন অফ দ্য ইন্ডিয়ান এম্পায়ার (সিআইই) উপাধি দেয় ৷ কৃতী এই বঙ্গসন্তানের নৈহাটির বাড়িতে এসেছিলেন পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ৷ বহু স্মৃতি বিজড়িত সেই বসতবাড়িটি বর্তমানে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে ৷ বাংলা সাহিত্যের এই ঐতিহ্যকে বাঁচাতে, সেটিকে হেরিটেজ ঘোষণা করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন নৈহাটির বিধায়ক ৷

এই প্রসঙ্গে নৈহাটির বিধায়ক সনৎ দে বলেন, "আমরা আগেই হারিয়েছি সমরেশ বসু, শ্যামল মিত্র, ব্যারিস্টার পি মিত্র, কেশব সেনের স্মৃতিচিহ্ন ৷ এই মুহূর্তে রয়েছে শুধু পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর বাড়ি ৷ সেটি রক্ষা করার উদ্যোগ নিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি ৷ আশা করছি সরকার এই বিষয়ে সদর্থক ভূমিকা নেবে ৷"

নৈহাটি, 13 জানুয়ারি: বাংলার ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম নৈহাটি ৷ বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও তার কৃষ্টির জন্য পরিচিত এই শহর ৷ এখানেই রয়েছে সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মভিটে ৷ শুধু কী তাই ! বাংলার বহু গুণিজনের পদধূলি পড়েছে প্রাচীন এই শহরে ৷ পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী থেকে সাহিত্যিক সমরেশ বসু, সঙ্গীত শিল্পী শ্যামল মিত্রের বসতবাড়িও একসময় ছিল এখানে ৷

যদিও সমরেশ বসু ও শ্যামল মিত্রের আদি বাড়ির অস্তিত্ব এখন আর নেই ৷ শুধুমাত্র টিকে রয়েছে পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর আদি বাড়িটি ৷ সেই বাড়িটির অবস্থাও জরাজীর্ণ ৷ নৈহাটির শাস্ত্রীপাড়া রোডে পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর সেই ভিটে বাঁচাতে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের শরণাপন্ন হলেন নৈহাটির বিধায়ক সনৎ দে ৷

Pandit Harprasad Shastri House
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা বিধায়ক সনৎ দে-র চিঠি ৷ (ইটিভি ভারত)

সম্প্রতি তিনি হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর বাড়িটিকে 'হেরিটেজ' ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে আবেদন জানিয়েছেন ৷ সেই চিঠি নিজে ফেসবুকে পোস্টও করেছেন নৈহাটির বিধায়ক ৷ আর সেই পোস্ট সামনে আসতেই বিধায়ককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নৈহাটিবাসী ৷

Pandit Harprasad Shastri House
নৈহাটিতে পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর বাড়ি ৷ (ইটিভি ভারত)

বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন চর্যাপদ ৷ বাংলা সাহিত্যের ধারক ও বাহক এই চর্যাপদের আবিষ্কর্তা হলেন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ৷ তিনি একাধারে ছিলেন সংস্কৃত পণ্ডিত, ঔপন্যাসিক ও পুঁথি সংগ্রাহক ৷ তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনাগুলির মধ্যে অন‍্যতম বাল্মীকির জয়, মেঘদূত ব্যাখ্যা, বেনের মেয়ে, কাঞ্চনমালা, সচিত্র রামায়ণ, প্রাচীন বাংলার গৌরব, বৌদ্ধধর্ম ইত্যাদি ৷ যা সমৃদ্ধ করেছে বাংলা সাহিত্য ও তার পাঠককে ৷ একসময় তিনি এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতিও ছিলেন ৷

Pandit Harprasad Shastri House
সোশাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠি পোস্ট নৈহাটির বিধায়ক সনৎ দে-র ৷ (ইটিভি ভারত)

শুধু তাই নয়, দীর্ঘ বারো বছর বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সভাপতি পদে ছিলেন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ৷ 1911 সালে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে কোম্পানিয়ন অফ দ্য ইন্ডিয়ান এম্পায়ার (সিআইই) উপাধি দেয় ৷ কৃতী এই বঙ্গসন্তানের নৈহাটির বাড়িতে এসেছিলেন পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ৷ বহু স্মৃতি বিজড়িত সেই বসতবাড়িটি বর্তমানে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে ৷ বাংলা সাহিত্যের এই ঐতিহ্যকে বাঁচাতে, সেটিকে হেরিটেজ ঘোষণা করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন নৈহাটির বিধায়ক ৷

এই প্রসঙ্গে নৈহাটির বিধায়ক সনৎ দে বলেন, "আমরা আগেই হারিয়েছি সমরেশ বসু, শ্যামল মিত্র, ব্যারিস্টার পি মিত্র, কেশব সেনের স্মৃতিচিহ্ন ৷ এই মুহূর্তে রয়েছে শুধু পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর বাড়ি ৷ সেটি রক্ষা করার উদ্যোগ নিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি ৷ আশা করছি সরকার এই বিষয়ে সদর্থক ভূমিকা নেবে ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.