ETV Bharat / state

তিনদিন পরও কেউ এল না রাজভবনের সেফ হোমে, তরজায় শাসক-বিরোধী - undefined

Safe Home in Raj Bhavan: তিনদিন পরও কেউ এল না রাজভবনের সেফ হোমে ৷ আর য়া নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক ৷ শাসক-বিরোধী দুই শিবিরের তরফেই আক্রমণ সানানো হয়েছে ৷

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 22, 2024, 10:47 PM IST

কলকাতা, 22 ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালির নির্যাতিতা মহিলাদের জন্য রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তিনটি সেফ হোম খুলেছিলেন। রাজভবনের মার্বেল হাউজের পাশে পরপর তিনটি ঘরে সেফ হোমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু, তিনদিন পরও কেউ এল না রাজভবনের সেই সেফ হোমগুলিতে। যা নিয়ে রাজ্যের শসক-বিরোধী উভয় রাজনৈতিক দলগুলো প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। কেউ বলছে নাটক চলছে, কেউ বলছে রাজ্যপালকে বিশ্বাস করতে পারছেন না সন্দেশখালির মহিলারা ৷

যদিও বিজেপির দাবি, সন্দেশখালির পরিস্থিতি শান্ত হলে সেখানকার মহিলারা আসবেন। অন্যদিকে তৃণমূল বলছে, বিজেপিই বাইরের লোক দিয়ে সন্দেশখালিকে অশান্ত করছে। এদিকে আবার রাজভবনের দাবি, প্রাথমিকভাবে তিনটি সেফ হোম খোলা হয়েছে। প্রয়োজনের খাতিরে সেফ হোমের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে। কংগ্রেস নেতা আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "রাজ্যপালের একটা টিভি চ্যানেল খোলা উচিত। রাজভবনে অনেক জায়গা ৷ টিভি চ্যানেল খুলতে অসুবিধা হবে না। বিজেপি-তণমূলের চাপে সন্দেশখালি তো বটেই, বাংলার মানুষরা স্যান্ডউইচ হয়ে যাচ্ছে। বিজেপি-তৃণমূল সন্দেশখালিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করেছিল। অধীর চৌধুরী আগেই তা স্পষ্ট বলেছেন। আইপিএস পুলিশ অফিসারকে অপমান করার বিষয়টাও নিন্দা জানাই। কিন্তু, এসব বিষয়ে রাজ্যপাল কী করছেন ? প্যান্ডেল তৈরি, সব তৈরি, ঠাকুর মশাই পর্যন্ত চলে এসেছেন কিন্তু, ঠাকুর আর আসছে না। সব হচ্ছে মূল অভিযুক্ত ধরা পড়ছে না। তাই, রাজ্যপালের উচিত একটা টিভি চ্যানেল খোলা।"

সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য ও আদিবাসী জনজাতি মঞ্চের নেতা পুলিন বিহারী বাস্কে বলেন, "সন্দেশখালির মহিলারা রাজ্যপালকে বিশ্বাস করতে পারছেন না বলেই আসছেন না তারা। আসবে কী করে ? তাঁরা ভরসা পাচ্ছেন না। তৃণমূল-বিজেপি তাঁদের নিয়ে রাজনীতি করছে। যা বন্ধ হওয়া উচিত। সন্দেশখালির মা-বোনদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। দোষী শেখ শাহাজানাকে গ্রেফতার করতে পারলেই মহিলারা বিচার পাবে।" যদিও বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার দাবি, "সন্দেশখালিতে যেভাবে পুলিশ ঘুরে বেড়াচ্ছে তাতে মহিলারা ভয়ে আছেন। সেকারণেই সন্দেশখালি থেকে রাজভবনে আসতে পারছেন না। একটু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ওখান থেকে মহিলারা নিশ্চয় আসবে। চিন্তার কিছু নেই।"

কিন্তু, তৃণমূলের শান্তনু সেনের বক্তব্য, "পুরোটাই নাটক চলছে। বাস্তবে সন্দেশখালি শান্ত আছে। বিজেপি বাইরের থেকে লোক নিয়ে গিয়ে পরিকল্পনা করে চক্রান্ত চালাচ্ছে। মিথ্যা কথা বলাচ্ছে। প্রকৃত ঘটনা ঘটলে এতদিনে সমদেশখালি থেকে লোকজন আসত। ফলে, যা বলা হচ্ছে পুরোটায় রটনা। বাস্তবের সঙ্গে মিল নেই।"

আরও পড়ুন:

  1. সন্দেশখালি থানার অবস্থান থেকে টেনে-হিঁচড়ে সরিয়ে গ্রেফতার করা হল সুকান্তকে
  2. পিস রুমের পর সেফ হোম, সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের জন্য রাজভবনে থাকার ব্যবস্থা

কলকাতা, 22 ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালির নির্যাতিতা মহিলাদের জন্য রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তিনটি সেফ হোম খুলেছিলেন। রাজভবনের মার্বেল হাউজের পাশে পরপর তিনটি ঘরে সেফ হোমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু, তিনদিন পরও কেউ এল না রাজভবনের সেই সেফ হোমগুলিতে। যা নিয়ে রাজ্যের শসক-বিরোধী উভয় রাজনৈতিক দলগুলো প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। কেউ বলছে নাটক চলছে, কেউ বলছে রাজ্যপালকে বিশ্বাস করতে পারছেন না সন্দেশখালির মহিলারা ৷

যদিও বিজেপির দাবি, সন্দেশখালির পরিস্থিতি শান্ত হলে সেখানকার মহিলারা আসবেন। অন্যদিকে তৃণমূল বলছে, বিজেপিই বাইরের লোক দিয়ে সন্দেশখালিকে অশান্ত করছে। এদিকে আবার রাজভবনের দাবি, প্রাথমিকভাবে তিনটি সেফ হোম খোলা হয়েছে। প্রয়োজনের খাতিরে সেফ হোমের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে। কংগ্রেস নেতা আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "রাজ্যপালের একটা টিভি চ্যানেল খোলা উচিত। রাজভবনে অনেক জায়গা ৷ টিভি চ্যানেল খুলতে অসুবিধা হবে না। বিজেপি-তণমূলের চাপে সন্দেশখালি তো বটেই, বাংলার মানুষরা স্যান্ডউইচ হয়ে যাচ্ছে। বিজেপি-তৃণমূল সন্দেশখালিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করেছিল। অধীর চৌধুরী আগেই তা স্পষ্ট বলেছেন। আইপিএস পুলিশ অফিসারকে অপমান করার বিষয়টাও নিন্দা জানাই। কিন্তু, এসব বিষয়ে রাজ্যপাল কী করছেন ? প্যান্ডেল তৈরি, সব তৈরি, ঠাকুর মশাই পর্যন্ত চলে এসেছেন কিন্তু, ঠাকুর আর আসছে না। সব হচ্ছে মূল অভিযুক্ত ধরা পড়ছে না। তাই, রাজ্যপালের উচিত একটা টিভি চ্যানেল খোলা।"

সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য ও আদিবাসী জনজাতি মঞ্চের নেতা পুলিন বিহারী বাস্কে বলেন, "সন্দেশখালির মহিলারা রাজ্যপালকে বিশ্বাস করতে পারছেন না বলেই আসছেন না তারা। আসবে কী করে ? তাঁরা ভরসা পাচ্ছেন না। তৃণমূল-বিজেপি তাঁদের নিয়ে রাজনীতি করছে। যা বন্ধ হওয়া উচিত। সন্দেশখালির মা-বোনদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। দোষী শেখ শাহাজানাকে গ্রেফতার করতে পারলেই মহিলারা বিচার পাবে।" যদিও বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার দাবি, "সন্দেশখালিতে যেভাবে পুলিশ ঘুরে বেড়াচ্ছে তাতে মহিলারা ভয়ে আছেন। সেকারণেই সন্দেশখালি থেকে রাজভবনে আসতে পারছেন না। একটু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ওখান থেকে মহিলারা নিশ্চয় আসবে। চিন্তার কিছু নেই।"

কিন্তু, তৃণমূলের শান্তনু সেনের বক্তব্য, "পুরোটাই নাটক চলছে। বাস্তবে সন্দেশখালি শান্ত আছে। বিজেপি বাইরের থেকে লোক নিয়ে গিয়ে পরিকল্পনা করে চক্রান্ত চালাচ্ছে। মিথ্যা কথা বলাচ্ছে। প্রকৃত ঘটনা ঘটলে এতদিনে সমদেশখালি থেকে লোকজন আসত। ফলে, যা বলা হচ্ছে পুরোটায় রটনা। বাস্তবের সঙ্গে মিল নেই।"

আরও পড়ুন:

  1. সন্দেশখালি থানার অবস্থান থেকে টেনে-হিঁচড়ে সরিয়ে গ্রেফতার করা হল সুকান্তকে
  2. পিস রুমের পর সেফ হোম, সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের জন্য রাজভবনে থাকার ব্যবস্থা

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.