কলকাতা, 24 ফেব্রুয়ারি: জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দল শনিবারও ঘুরে দেখছেন সন্দেশখালির পরিস্থিতি ৷ কথা বলছেন স্থানীয় মানুষের সঙ্গে ৷ সেখানকার বাসিন্দারা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের বিরুদ্ধে জমি দখল-সহ আর যা যা অভিযোগ করেছেন, সেগুলিই জানার চেষ্টা করছেন এই দলের প্রতিনিধিরা ৷
এর আগে শুক্রবার জাতীয় মানবাধিকার প্রথম সেখানে আসে ৷ কমিশনে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল যায় সন্দেশখালির একাধিক জায়গায় ৷ তবে শুরুতেই তারা যায় সন্দেশখালি থানায় ৷ সেখানে পুলিশ সুপারের সঙ্গে বৈঠক করেন মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ৷ গ্রামবাসীরা পুলিশের কাছে কী কী অভিযোগ জমা করেছেন, সেই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা ৷
এর আগে গত 15 ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালিতে আসে জাতীয় তফসিলি কমিশন ৷ কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ হালদারের সামনে স্থানীয় মহিলারা একাধিক অভিযোগ করেছিলেন ৷ দিল্লি ফিরে রাষ্ট্রপতির কাছে রিপোর্ট জমা দেয় কমিশন ৷ পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সুপারিশও করা হয় ৷ এরপর জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার নেতৃত্বাধীন একটি দল সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন ৷ রেখা শর্মাও পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি তোলেন ৷ এর জাতীয় এসটি কমিশনও পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন ৷
এবার শুক্র ও শনি দু’দিন ধরে সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ৷ এর আগে রাজ্য সরকারের কাছে এই নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছিল কমিশন ৷ তার পর কমিশনের সদস্যরা একেবারে সরেজমিনে খতিয়ে দেখছেন উত্তর 24 পরগনার এই এলাকার পরিস্থিতি ৷
এ দিন ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সভাপতি মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সিপিএমের একটি প্রতিনিধি দল সন্দেশখালি গিয়েছে ৷ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দিনকয়েক আগে ঘুরে এসেছেন সন্দেশখালি থেকে ৷ শনিবার তিনি সন্দেশখালির পরিস্থিতির সঙ্গে নন্দীগ্রামের তুলনা করেছেন ৷
এদিকে স্থানীয় মানুষ যেহেতু বারবার বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে রয়েছে, তাই সন্দেশখালির বিভিন্ন জায়গায় টহল দিচ্ছেন রাজ্য পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা ৷ শনিবার এলাকার পরিস্থিতি ঘুরে দেখেন এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার ৷ শুক্রবার গ্রামে গ্রামে ঘুরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে ৷
(পিটিআই ইনপুট-সহ)
আরও পড়ুন: