কলকাতা, 22 জুলাই: সদ্য হয়ে যাওয়া উপ-নির্বাচনে যে চারজন জয়ী হয়েছেন, সেই বিধায়কদের শপথ হবে আগামিকাল মঙ্গলবার ৷ সোমবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিজনেস অ্যাডভাইজারি কমিটির বৈঠক ছিল । সেই বৈঠকেই এই নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে ৷ লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে যে দুই আসনে উপ-নির্বাচন হয়েছিল, সেখানে জয়ীদের শপথ ঘিরে দীর্ঘ টালবাহানা হয় ৷ তবে সেই পরিস্থিতি যে এবার তৈরি হবে না, তা এ দিন স্পষ্ট হয়ে গেল ৷
চলতি মাসের 10 তারিখ বাংলার চারটি বিধানসভা আসনে উপ-নির্বাচন হয় ৷ 13 জুলাই প্রকাশিত হয় ফল ৷ চারটিতেই জয়ী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা ৷ সেই চার জন - সুপ্তি পাণ্ডে (মানিকতলা), মুকুটমণি অধিকারী (রানাঘাট দক্ষিণ), মধুপর্ণা ঠাকুর (বাগদা) ও কৃষ্ণ কল্যাণী (রায়গঞ্জ) আগামিকাল মঙ্গলবার শপথ নেবেন ৷ বিধানসভায় তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ দুপুর 1টায় চার বিধায়কের শপথ অনুষ্ঠিত হবে ৷
এই চার বিধায়কের শপথ নিয়ে রাজভবনকে চিঠি দিয়েছিল পরিষদীয় দফতর । চিঠি দেওয়া হয়েছিল বিধানসভার তরফ থেকেও । জবাবে রাজভবন থেকে একাধিক প্রশ্ন সম্বলিত একটি চিঠি আসে বিধানসভায় । তার জবাবও দেন অধ্যক্ষ । কিন্তু এরপর রাজভবনের তরফে এই চার বিধায়কের শপথ নিয়ে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে জানা গিয়েছে । এই অবস্থায় সোমবার বিধানসভার বিজনেস অ্যাডভাইজারি কমিটির বৈঠকে চার বিধায়কের শপথের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ সেই মতোই ওই চারজন শপথ নেবেন মঙ্গলবার ৷
বিধানসভার রুলবুকের 2 নম্বর চ্যাপ্টারের 5 নম্বর ধারায় অধ্যক্ষকে শপথবাক্য পাঠ করানোর অধিকার দেওয়া হয়েছে । বিধানসভা চলাকালীন অধ্যক্ষ বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করাতে পারেন ৷ দীর্ঘ টালবাহানার পর সেই নিয়ম মেনেই সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রিয়াদ হোসেন সরকারের শপথ হয়েছিল ৷ মনে করা হচ্ছে, এই চার বিধায়কের শপথের ক্ষেত্রেও রুলবুকের একই ধারা অনুসরণ করা হবে ।
যদিও বিধানসভার এই পদক্ষেপকে রাজভবন কিভাবে নেয়, তা দেখার অবকাশ রয়েছে । আগেরবার দুই বিধায়কের শপথ সংবিধান মেনে হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ এই নিয়ে তিনি অভিযোগ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে ৷ এবারও তিনি একই পথে হাঁটেন কি না, সেটাই এখন দেখার ।