ETV Bharat / state

রেললাইন থেকে উদ্ধার বালুরঘাট পৌরসভার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলরের খণ্ডিত দেহ - TMC councilor body recovered - TMC COUNCILOR BODY RECOVERED

TMC councilor body recovered: তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর দেবজিৎরঞ্জন রুদ্র । 2013-18 সালে বালুরঘাট পৌরসভার তৃণমূলের কাউন্সিলর ছিলেন । গাজোল স্টেশনের কাছে তাঁর দ্বিখণ্ডিত দেহ উদ্ধার করেছে রেল পুলিশ ।

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Apr 9, 2024, 8:08 PM IST

তৃণমূল কাউন্সিলরের খণ্ডিত দেহ

মালদা, 9 এপ্রিল: সোমবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান বালুরঘাট পৌরসভার 24 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর দেবজিৎরঞ্জন রুদ্র । মঙ্গলবার সকালে মালদার গাজোল স্টেশন সংলগ্ন সৈয়দপুরে তাঁর দ্বিখণ্ডিত দেহ উদ্ধার করেছে রেল পুলিশ । এই ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে । দেবজিৎ কি নিছকই দুর্ঘটনার শিকার, নাকি তাঁকে খুন করা হয়েছে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা ।

বালুরঘাট শহরের খাদিমপুরে বাড়ি দেবজিৎরঞ্জন রুদ্রের । তিনি 2013-18 সালে বালুরঘাট পৌরসভার তৃণমূলের কাউন্সিলর ছিলেন । পেশায় ছিলেন কেবল ব্যবসায়ী । তাঁর বাড়ি থেকে সামান্য দূরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বাড়ি । রায়গঞ্জের বিদায়ী বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর বাড়িও ওই এলাকাতেই । এ দিন সকালে রেললাইনে তাঁর দ্বিখণ্ডিত দেহ পড়ে থাকার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা । রেল পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।

গাজোল স্টেশনে জিআরপি ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক প্রদীপ কর্মকার বলেন, "মৃতদেহের প্যান্টের পকেট থেকে একটি ভোটার আইকার্ড পাওয়া গিয়েছে । সম্ভবত মৃত ব্যক্তি বালুরঘাটের বাসিন্দা । প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, বালুরঘাট থেকে কলকাতাগামী তেভাগা এক্সপ্রেসে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে । মৃত ব্যক্তি ট্রেন থেকে পড়েও যেতে পারেন । আমরা অজ্ঞাত পরিচয় দেহ হিসাবেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট পাঠাচ্ছি ।"

এ দিকে ঘটনার কথা জানাজানি হতেই শোকের ছায়া নেমে আসে বালুরঘাটের রুদ্র পরিবারে । বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন মৃতের স্ত্রী চন্দনা রুদ্র । কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে তাঁদের মেয়েও । দেবজিতের ভাই দেবরঞ্জন রুদ্র বলেন, "দাদা না-বলে বাইরে কোথাও যেত না । কারওকে না বললেও আমাকে বলে যেত । পরশু রাত পর্যন্ত আমাকে তেমন কিছু বলেনি । সব কিছু স্বাভাবিকই ছিল । গতকাল ভোর পৌনে চারটে নাগাদ প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে যায় । তারপর থেকে ওর আর কোনও খবর পাইনি । আমার দাদা যে পরিমাণ চাপ সহ্য করেছে, তেমন চাপ থাকলে অনেকেই আত্মহত্যা করত। কিন্তু দাদা করেনি । সব চাপ সামলে স্বাভাবিক অবস্থায় এসেছিল । তাছাড়া মেয়ে ওর জীবন । দাদা আত্মহত্যা করতে পারে না। আমি প্রশাসনের কাছে সঠিক তদন্তের দাবি জানাচ্ছি ।"

বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা বলেন, "এই ঘটনায় আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে । তখন সেইমতো তদন্ত করা হবে ।"

আরও পড়ুন

ভিড় সামলাতে শিয়ালদা উত্তর শাখায় এবার সব ট্রেনই 12 কোচের

বড়বাজারে ফায়ার এক্সিট আটকে বেআইনি নির্মাণ, কাজ বন্ধের নোটিশ পৌরনিগমের

তৃণমূল কাউন্সিলরের খণ্ডিত দেহ

মালদা, 9 এপ্রিল: সোমবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান বালুরঘাট পৌরসভার 24 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর দেবজিৎরঞ্জন রুদ্র । মঙ্গলবার সকালে মালদার গাজোল স্টেশন সংলগ্ন সৈয়দপুরে তাঁর দ্বিখণ্ডিত দেহ উদ্ধার করেছে রেল পুলিশ । এই ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে । দেবজিৎ কি নিছকই দুর্ঘটনার শিকার, নাকি তাঁকে খুন করা হয়েছে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা ।

বালুরঘাট শহরের খাদিমপুরে বাড়ি দেবজিৎরঞ্জন রুদ্রের । তিনি 2013-18 সালে বালুরঘাট পৌরসভার তৃণমূলের কাউন্সিলর ছিলেন । পেশায় ছিলেন কেবল ব্যবসায়ী । তাঁর বাড়ি থেকে সামান্য দূরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বাড়ি । রায়গঞ্জের বিদায়ী বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর বাড়িও ওই এলাকাতেই । এ দিন সকালে রেললাইনে তাঁর দ্বিখণ্ডিত দেহ পড়ে থাকার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা । রেল পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।

গাজোল স্টেশনে জিআরপি ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক প্রদীপ কর্মকার বলেন, "মৃতদেহের প্যান্টের পকেট থেকে একটি ভোটার আইকার্ড পাওয়া গিয়েছে । সম্ভবত মৃত ব্যক্তি বালুরঘাটের বাসিন্দা । প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, বালুরঘাট থেকে কলকাতাগামী তেভাগা এক্সপ্রেসে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে । মৃত ব্যক্তি ট্রেন থেকে পড়েও যেতে পারেন । আমরা অজ্ঞাত পরিচয় দেহ হিসাবেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট পাঠাচ্ছি ।"

এ দিকে ঘটনার কথা জানাজানি হতেই শোকের ছায়া নেমে আসে বালুরঘাটের রুদ্র পরিবারে । বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন মৃতের স্ত্রী চন্দনা রুদ্র । কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে তাঁদের মেয়েও । দেবজিতের ভাই দেবরঞ্জন রুদ্র বলেন, "দাদা না-বলে বাইরে কোথাও যেত না । কারওকে না বললেও আমাকে বলে যেত । পরশু রাত পর্যন্ত আমাকে তেমন কিছু বলেনি । সব কিছু স্বাভাবিকই ছিল । গতকাল ভোর পৌনে চারটে নাগাদ প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে যায় । তারপর থেকে ওর আর কোনও খবর পাইনি । আমার দাদা যে পরিমাণ চাপ সহ্য করেছে, তেমন চাপ থাকলে অনেকেই আত্মহত্যা করত। কিন্তু দাদা করেনি । সব চাপ সামলে স্বাভাবিক অবস্থায় এসেছিল । তাছাড়া মেয়ে ওর জীবন । দাদা আত্মহত্যা করতে পারে না। আমি প্রশাসনের কাছে সঠিক তদন্তের দাবি জানাচ্ছি ।"

বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা বলেন, "এই ঘটনায় আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে । তখন সেইমতো তদন্ত করা হবে ।"

আরও পড়ুন

ভিড় সামলাতে শিয়ালদা উত্তর শাখায় এবার সব ট্রেনই 12 কোচের

বড়বাজারে ফায়ার এক্সিট আটকে বেআইনি নির্মাণ, কাজ বন্ধের নোটিশ পৌরনিগমের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.