কলকাতা ৮ ফেব্রুয়ারি: সাত মাস ধরে নিখোঁজ নাবালিকা। পুলিশের কাজে চরম ক্ষুব্ধ বিচারপতি। অসন্তোষ প্রকাশ করে বর্ধমানের খন্ডঘোষের নাবালিকা নিখোঁজের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এমন নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর। অভিযোগ, গোটা ঘটনার পিছনে শাসক দলের বিধায়ক-সহ প্রভাবশালীরা যুক্ত।
প্রথমে পুলিশের তদন্তে উদাসীন মনোভাব দেখে 15 জানুয়ারি সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পুলিশের হাতে মামলা থাকাকালীন দুজন গ্রেফতার হলেও 90 দিনের মধ্যে চার্জ সিট না দেওয়ায় পরেরদিন জামিন পেয়ে যান দু'জন অভিযুক্ত। সিআইডি এখনও পর্যন্ত কয়েকজনকে শুধু জেরা করেছে।
অভিযোগ, জামিন পেয়ে যাওয়া দু'জন স্থানীয় বিধায়কের ঘনিষ্ঠ। গোটা ঘটনার পিছনে শাসক দলের প্রভাব শালীদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। আদালত মনে করছে, গোটা ঘটনায় রাজ্য পুলিশের গাফিলতি রয়েছে। তাছাড়া মেয়েটিকে ভিন রাজ্যে বা প্রতিবেশী দেশে পাচার করা হয়ে থাকলে সেই দিকটাও সিবিআইকে তদন্ত করতে হবে বলে মনে করছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত । আগামী 13 মার্চ শুনানিতে সিবিআইকে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে। এমনই নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির।
উল্লেখ্য, করোনার পর থেকে পূর্ব বর্ধমানে নাবালিকাদের উপর শারীরিক নির্যাতন ও পাচারের ঘটনা উদ্বেগজনক ভাবে বেড়ে গিয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের তরফেই জানানো হয়েছিল। এই সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। জেলা প্রশাসন কীভাবে তা প্রতিরোধ করবে সেই নিয়ে আলোচনাও হয়। সেখানে মূলত পুলিশের গাফিলতিই ধরা পড়েছে বলে আইনজীবীদের সূত্রে জানা গিয়েছে । ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী 2020 সালে প্রায় 451টি মেয়ে পাচার, শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন:
1. শাহজাহান ঘনিষ্ঠদের গ্রেফতারির দাবি, গ্রামবাসীদের ক্ষোভে অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি
2. দেবের সিনেমা ভালো লেগেছে, 'প্রধান' দেখে আপ্লুত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
3. তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার তৃণমূলের দাপুটে নেতা আরাবুল ইসলাম