বারুইপুর, 30মে: নাবালকের বিরুদ্ধে চুরির অপরাধের অভিযোগ ৷ সবক শেখাতে সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়াকে পিটিয়ে হত্যা ৷ অভিযোগের তির স্থানীয় একটি আশ্রমের বিরুদ্ধে ৷ বৃহস্পতিবার দক্ষিণ 24 পরগনার বারুইপুর থানা এলাকার উত্তরভাগের ঘটনা ৷ সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনার পরই এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া ৷
জানা গিয়েছে, ওই পড়ুয়া তার মামার বাড়িতে ঘুরতে এসেছিল ৷ অভিযোগ, আশ্রমে ঢুকে সে বিভিন্ন জিনিস চুরি করে। এরপরই তাকে আশ্রমে ডেকে পাঠিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে নাবালককে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকরা ।
ভাগ্নেকে মারধরের খবর পেয়েই আশ্রমে পৌঁছন মৃত নাবালকের মামা সাধু সরদার ৷ তাঁর অভিযোগ, ভাগ্নেকে হাত-পা বেঁধে মারধর খেতে দেখে তিনি বাঁচাতে যান ৷ তার উপর চড়াও হন আশ্রমের লোকজন ৷ এমনকী মাতাজী বিরুদ্ধে তাঁকে মারধরের অভিযোগ করেছন তিনি ৷ মৃতের মামা সাধু সরদার বলেন, "ভাগ্নাকে মারধরের খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই ৷ গিয়ে দেখি ওকে বেঁধে মারছে ৷ আমি ওদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে মাতাজি আমাকেও মারধর করে ৷ গ্রামের কয়েকজনের জন্য আমি রক্ষা পাই ৷ আমার ভাইপো বলল ভাগ্নেকে খুন করেছে ৷"
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই আশ্রমে বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কাজকর্ম চলতে থাকে। সেই বিষয়টি ধামাচাপা দিতেই এই ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই মৃত ছাত্রের মা বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। ঘটনার জেরে চাপা উত্তেজনা রয়েছে গোটা এলাকায়।