দাহোদ (গুজরাত), 1 ফেব্রুয়ারি: দেশজুড়ে যখন নারী নিরাপত্তা ও নারী অধিকারের কথা সর্বত্র চলছে, তখন নারী নির্যাতনের ঘটনাও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ৷ সম্প্রতি, গুজরাতের দাহোদ জেলায় যা ঘটেছে তা অত্যন্ত লজ্জাজনক ৷ এক মহিলাকে পরকীয়ার অভিযোগে প্রথমে প্রেমিকের বাড়ি থেকে টেনে বার করা হয় ৷ তারপর তাঁকে মারতে মারতে অর্ধনগ্ন করে বাইকে বসিয়ে ঘোরানো হয় গ্রামের রাস্তায় ৷ সেই দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করে ভাইরাল করা হয় সোশাল মিডিয়ায় ৷
সোশাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো দেখে পুলিশ তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করে ৷ ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর ওই এলাকায় গিয়ে পুলিশ মহিলাকে উদ্ধার করে ৷ 15 জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় ৷ পুলিশ 12 জনকে গ্রেফতার করে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি 28 জানুয়ারির ৷ ওই মহিলাকে তাঁর শ্বশুরবাড়ি লোকজন ও গ্রামবাসীরা মিলে অর্ধনগ্ন করে বাইকে চাপান ৷ তার আগে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় ৷ দাহোদ জেলার সানজেলি তালুক এলাকায় তাঁকে বাইকে করে ঘোরানো হয় ওই অবস্থায় ৷ সেখানে থাকা ব্যক্তিরা ক্যামেরায় ওই ঘটনার দৃশ্যবন্দি করে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন ৷
এরপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্যে শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক শোরগোল। নড়েচড়ে পুলিশ প্রশাসন ৷ ঘটনায় 4 জন মহিলা, 4 জন পুরুষ ও 4 নাবালকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশি তদন্তে জানা যায়, ওই মহিলার অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। 35 বছর বয়সি এক মহিলা প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন। আচমকা সেই ঘরে ঢোকেন মহিলার শ্বশুর এবং দেওর। তাঁদের সঙ্গে ছিল বেশ কয়েকজন পুরুষ এবং মহিলা।
তাঁরা চিৎকার-চেঁচামেচি করতে করতে মহিলাকে হিড়হিড় করে টেনে ঘরের বাইরে আনেন। শুরু হয় মহিলার উপর অকথ্য নির্যাতন। গ্রেফতার হওয়া 12 জনের মধ্যে 4 নাবালককে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে পাঠানো হয়েছে। বাকি 8 জন পুলিশি হেফাজতে রয়েছে ৷ বাকিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।