সরকারের লক্ষ্য আগামী পাঁচ বছরে 75000 আসন বাড়ানো । এই পদক্ষেপের ফলে বিশেষ করে গ্রামে ও যেখানে সুযোগ-সুবিধা কম সেই এলাকায় চিকিৎসকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে ।
বাজেটে নজর সু‘স্বাস্থ্যে’ ৷ স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে বাজেটে একাধিক ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ৷ 2025-26 বাজেটে কী কী প্রতিশ্রুতি দিল সরকার ? দেখে নিন...
1) চিকিৎসা শিক্ষার সম্প্রসারণ: স্বাস্থ্যসেবায় পেশাদারদের (ডাক্তার, চিকিৎসাকর্মী) ঘাটতি পূরণের জন্য, সরকার আগামী বছরে 10, 000 মেডিক্যাল আসন বাড়ানোর ঘোষণা করেছে ৷ একই সঙ্গে সরকারের লক্ষ্য আগামী পাঁচ বছরে 75000 আসন বাড়ানো । এই পদক্ষেপের ফলে বিশেষ করে গ্রামে ও যেখানে সুযোগ-সুবিধা কম সেই এলাকায় চিকিৎসকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে ।
2) জেলা হাসপাতালে ডে কেয়ার ক্যানসার সেন্টার: ক্যানসার চিকিৎসার উন্নতির লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ৷ বাজেটে সমস্ত জেলা হাসপাতালে ডে কেয়ার ক্যানসার সেন্টার প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করা হয়েছে । এই উদ্যোগের ফলে ক্যানসার রোগীদের, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকার রোগীদের সুবিধা হবে ৷ তাঁরা অতি সহজেই কম খরচে চিকিৎসা করাতে পারবেন ৷
3) জীবন রক্ষাকারী ওষুধ: বাজেটে 36টি জীবন রক্ষাকারী ওষুধকে শুল্ক থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে ৷ 6টি ওষুধকে 5% শুল্ক হারের শ্রেণিতে রাখা হয়েছে । এছাড়াও 37টি ওষুধ এবং 13টি নতুন রোগী সহায়তা কর্মসূচিকে শুল্ক অব্যাহতির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে । এরফলে ক্যানসার ও বিরল ব্যাধি এবং গুরুতর ও দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য চিকিৎসা আরও সাশ্রয়ী হবে ৷
4) প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি প্রকল্পের সংস্কার: পথ বিক্রেতাদের আর্থিক সহায়তার উন্নতির জন্য প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি প্রকল্পের সংস্কার করা হয়েছে ৷ যাতে ঋণ বৃদ্ধি, ইউপিআই-সংযুক্ত ক্রেডিট কার্ড এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির সহায়তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে । এটি কেবল পথ বিক্রেতাদের জীবিকা উন্নত করবে না বরং তাঁদের এবং পরিবারের জন্য স্বাস্থ্যখাতে আরও ভালো পরিষেবা প্রদান করবে ৷
5) অনলাইন প্ল্যাটফর্ম কর্মীদের সুরক্ষা: ক্রমবর্ধমান গিগ অর্থনীতির স্বীকৃতিস্বরূপ ৷ বাজেটে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম কর্মীদের সহায়তা করার জন্য ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে । এই কর্মীরা এখন ই-শ্রম পোর্টালে নিবন্ধন এবং প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার অধীনে স্বাস্থ্যসেবা কভারেজের জন্য যোগ্য হবেন । এই পদক্ষেপের লক্ষ্য দেশজুড়ে লক্ষ লক্ষ গিগ কর্মীকে সামাজিক সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করা ।
6) বিহারে জাতীয় খাদ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট: খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতকে উৎসাহিত করতে এবং পুষ্টির উন্নতির জন্য, সরকার বিহারে একটি জাতীয় খাদ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার ঘোষণা করেছে । এই উদ্যোগ কেবল কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করবে না বরং তরুণদের জন্য দক্ষতা, উদ্যোক্তা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়াতে সাহায্য় করবে ৷
7) প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির জন্য ব্রডব্যান্ড সংযোগ: গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা প্রদান উন্নত করার লক্ষ্যে, বাজেটে সমস্ত প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য ব্রডব্যান্ড সংযোগের প্রস্তাব করা হয়েছে । এরফলে টেলিমেডিসিন পরিষেবা, উন্নত ডেটা ব্যবস্থাপনা এবং গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষজ্ঞ পরামর্শের উন্নত অ্যাক্সেস সম্ভব হবে ।
8) বিরল রোগের উপর মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন: বাজেটে বিরল রোগ এবং দীর্ঘস্থায়ী অবস্থার রোগীদের সহায়তার জন্য নির্দিষ্ট ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে । অব্যাহতির তালিকায় 13টি নতুন রোগী সহায়তা কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ৷ ফলে ভালো মানের চিকিৎসা ফলে স্বস্তি মিলবে ।
9) উন্নত স্বাস্থ্যসেবা পরিকাঠামো: সরকার স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামোর উন্নয়নের জন্য তহবিল বরাদ্দ করেছে ৷ যারমধ্যে রয়েছে নতুন মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন এবং বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণ । এটি স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামোর, বিশেষ করে গ্রামীণ এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে, ব্যবধান পূরণ করতে সাহায্য করবে ।
10) স্বাস্থ্যসেবায় প্রযুক্তির একীকরণ: বাজেটে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান উন্নত করার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারের উপর জোর দেওয়া হয়েছে । গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির জন্য ব্রডব্যান্ড সংযোগ এবং শিক্ষার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি উৎকর্ষ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মতো উদ্যোগ দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য় করবে ৷