ETV Bharat / state

বাংলাদেশ-পাকিস্তান থেকে সাক্ষীদের এনে ফাঁসানো হয়েছে, শিলদাকাণ্ডে বিস্ফোরক দাবি মাওবাদী নেতার - মাওবাদী স্কোয়াড লিডার

Silda EFR Camp Maoist Attack: শিলদাকাণ্ডে 13 জন দোষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল মোদিনীপুর আদালত ৷ আগামিকাল আরেক দফায় বাকি দোষীদের সাজা ঘোষণা করবেন বিচারক । রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করে সাজাপ্রাপ্ত মাওবাদী নেতা ৷

Silda EFR Camp Maoist Attack
মাওবাদী স্কোয়াড লিডার
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 28, 2024, 2:39 PM IST

শিলদাকাণ্ডে বিস্ফোরক দাবি মাওবাদী নেতার

মেদিনীপুর, 28 ফেব্রুয়ারি: সাজানো সাক্ষী দিয়ে মিথ্যে ফাঁসানো হয়েছে ৷ আদালতে থেকে বোরনোর সময় বিস্ফোরক দাবি করল শিলদাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত দুই মাওবাদী স্কোয়াড লিডার ৷ বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভও উগরে দিল তারা ৷ দোষী সাব্যস্ত মনসারাম হেমব্রম ওরফে (বিকাশ) বলে, "বিচারের নামে প্রহসন হয়েছে । বাংলাদেশ-পাকিস্তান থেকে সাক্ষী জোগাড় করেছে প্রশাসন এবং সেই সাক্ষী দিয়েই আমাদেরকে মিথ্যেভাবে ফাঁসানো হয়েছে । আমরা এই বিচার মানি না । আর্মস, এক্সপ্লোসিভ নিয়ম মেনে অনুমোদন করা হয়নি । সিপিএম গ্রেফতার করল দিদি সাজা দিল ।"

আরেক মাওবাদী স্কোয়াড লিডার ঠাকুরমণি হেমব্রম ওরফে (তারা) বলে, "এই ঘটনার সমস্ত সাক্ষীদের সাজানো হয়েছে । যদি রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা থেকে থাকে তাহলে সত্যিকারের বিচারের মতন বিচার হওয়া দরকার । আমরা সঠিক বিচারের আশায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব ।"

14 বছর আগে শিলদার ইএফআর ক্যাম্পে হামলার ঘটনা ঘটেছিল ৷ এই ঘটনায় মঙ্গলবার 23 জন মাওবাদীকে দোষী সাব্যস্ত করে মেদিনীপুর আদালত ৷ তাদের মধ্যে প্রথম দফায় বুধবার 13 জনের সাজা ঘোষণা হল ৷ সকলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ৷ সাজাপ্রাপ্ত 13 জন হল- মনসারাম হেমব্রম ওরফে(বিকাশ), ঠাকুরমণি হেমব্রম ওরফে (তারা),কল্পনা মাইতি, মানস মাহাতো, কাজল মাহাতো, মঙ্গল সোরেন, সনাতন সোরেন, শুকলাল সোরেন, কানাই হাঁসদা, রাজেশ হাঁসদা ওরফে ভাঁটু, শ্যামচরণ হাঁসদা, রাজেশ মুণ্ডা ও ইন্দ্রজিৎ কর্মকার । বাকি 10 জনের বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণা করবে আদালত ৷

সালটা 2020 ৷ 15 ফেব্রুয়ারি অবিভক্ত পশ্চিম মেদিনীপুরে শিলদায় ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রাইফেলসের ক্যাম্পে মাওবাদী হামলা হয় ৷ এই ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা রাজ্যকে। তখন মাওবাদীদের রমরমা ছিল গোটা পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ জঙ্গলমহল জুড়ে। মাওবাদীদের কার্যকলাপ রুখতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল জেলার বিভিন্ন প্রান্তে । কিন্তু এরপরেও 15 ফেব্রুয়ারি শিলদা ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রাইফেলসের ক্যাম্পে সশস্ত্র আক্রমণ চালায় মাওবাদীরা। মাওবাদীদের সেই আক্রমণে 24 জন জওয়ানের মৃত্যু হয় ৷ চুরি হয়ে যায় জওয়ানদের অস্ত্রশস্ত্রও। যদিও জওয়ানদের পালটা আক্রমণে পাঁচ মাওবাদীরও মৃত্যু হয়েছিল ৷

আরও পড়ুন:

  1. শিলদায় মাওবাদী হামলার 14 বছর পর সাজা ঘোষণা, দোষী সাব্যস্ত 23
  2. শিলদায় মাওবাদী হামলার বিচার এক বছরের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ হাইকোর্টের
  3. শিলদায় মাওবাদী হানায় নিহত শহিদ জাওয়ানদের শ্রদ্ধা জানালেন এডিজি

শিলদাকাণ্ডে বিস্ফোরক দাবি মাওবাদী নেতার

মেদিনীপুর, 28 ফেব্রুয়ারি: সাজানো সাক্ষী দিয়ে মিথ্যে ফাঁসানো হয়েছে ৷ আদালতে থেকে বোরনোর সময় বিস্ফোরক দাবি করল শিলদাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত দুই মাওবাদী স্কোয়াড লিডার ৷ বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভও উগরে দিল তারা ৷ দোষী সাব্যস্ত মনসারাম হেমব্রম ওরফে (বিকাশ) বলে, "বিচারের নামে প্রহসন হয়েছে । বাংলাদেশ-পাকিস্তান থেকে সাক্ষী জোগাড় করেছে প্রশাসন এবং সেই সাক্ষী দিয়েই আমাদেরকে মিথ্যেভাবে ফাঁসানো হয়েছে । আমরা এই বিচার মানি না । আর্মস, এক্সপ্লোসিভ নিয়ম মেনে অনুমোদন করা হয়নি । সিপিএম গ্রেফতার করল দিদি সাজা দিল ।"

আরেক মাওবাদী স্কোয়াড লিডার ঠাকুরমণি হেমব্রম ওরফে (তারা) বলে, "এই ঘটনার সমস্ত সাক্ষীদের সাজানো হয়েছে । যদি রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা থেকে থাকে তাহলে সত্যিকারের বিচারের মতন বিচার হওয়া দরকার । আমরা সঠিক বিচারের আশায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব ।"

14 বছর আগে শিলদার ইএফআর ক্যাম্পে হামলার ঘটনা ঘটেছিল ৷ এই ঘটনায় মঙ্গলবার 23 জন মাওবাদীকে দোষী সাব্যস্ত করে মেদিনীপুর আদালত ৷ তাদের মধ্যে প্রথম দফায় বুধবার 13 জনের সাজা ঘোষণা হল ৷ সকলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ৷ সাজাপ্রাপ্ত 13 জন হল- মনসারাম হেমব্রম ওরফে(বিকাশ), ঠাকুরমণি হেমব্রম ওরফে (তারা),কল্পনা মাইতি, মানস মাহাতো, কাজল মাহাতো, মঙ্গল সোরেন, সনাতন সোরেন, শুকলাল সোরেন, কানাই হাঁসদা, রাজেশ হাঁসদা ওরফে ভাঁটু, শ্যামচরণ হাঁসদা, রাজেশ মুণ্ডা ও ইন্দ্রজিৎ কর্মকার । বাকি 10 জনের বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণা করবে আদালত ৷

সালটা 2020 ৷ 15 ফেব্রুয়ারি অবিভক্ত পশ্চিম মেদিনীপুরে শিলদায় ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রাইফেলসের ক্যাম্পে মাওবাদী হামলা হয় ৷ এই ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা রাজ্যকে। তখন মাওবাদীদের রমরমা ছিল গোটা পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ জঙ্গলমহল জুড়ে। মাওবাদীদের কার্যকলাপ রুখতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল জেলার বিভিন্ন প্রান্তে । কিন্তু এরপরেও 15 ফেব্রুয়ারি শিলদা ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রাইফেলসের ক্যাম্পে সশস্ত্র আক্রমণ চালায় মাওবাদীরা। মাওবাদীদের সেই আক্রমণে 24 জন জওয়ানের মৃত্যু হয় ৷ চুরি হয়ে যায় জওয়ানদের অস্ত্রশস্ত্রও। যদিও জওয়ানদের পালটা আক্রমণে পাঁচ মাওবাদীরও মৃত্যু হয়েছিল ৷

আরও পড়ুন:

  1. শিলদায় মাওবাদী হামলার 14 বছর পর সাজা ঘোষণা, দোষী সাব্যস্ত 23
  2. শিলদায় মাওবাদী হামলার বিচার এক বছরের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ হাইকোর্টের
  3. শিলদায় মাওবাদী হানায় নিহত শহিদ জাওয়ানদের শ্রদ্ধা জানালেন এডিজি
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.