কলকাতা, 26 জুলাই: খাল বুজে টইটুম্বুর জল । বর্ষা হলে খালের জল উপচে ভাসছে আশপাশের এলাকা । কলকাতার একাধিক খালের ছবি ঠিক এমনটাই । সেই খাল সংস্কার না করার জেরে বৃষ্টি হলেই বহু জায়গায় জমে যায় জল । জল নামতে কেটে যায় দীর্ঘসময় ।
তবে খাল সংস্কার করে পলি তোলার জায়গাই নেই খাল পাড়ে । খালের ধার বরাবর টানা ঝুপড়ি থেকে পাকা ঘর । সেচ দফতরের জমি এখন কার্যত দখলদারদের দখলে । লাখ লাখ টন তুলতে হবে পলি । রাখা হবে কোথায় ? সব জায়গায় ঘর, দোকান, গ্যারাজ । তাই কলকাতার নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ তারক সিং দাবি তুললেন হকারদের লাগাম দিতে যেমন হকারনীতি আছে, তেমনই খাল পারের দখলদারদের নিয়ে রাজ্যে সরকার একটি সুস্পষ্ট নীতি তৈরি করুক ।
সম্প্রতি বেলাগাম হকারদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ । হকারদের আইন মাফিক বসতে বলা হয়েছে । উচ্ছেদ না করে পুনর্বাসনের নীতি আছে । ঠিক একই ভাবে খাল ধার দখলমুক্ত করে সেই সব গরিব মানুষকে পুনর্বাসন দেওয়ার মতো কোনও একটি নীতি নিলে খাল লাগোয়া জমি ফাঁকা রাখা যাবে । সেখানে পলি তোলার কাজ করতে অসুবিধা হবে না । গরিব মানুষগুলোর সমস্যার মুখে পড়তে হবে না ।
শুক্রবার কলকাতার গুনিয়াগাছি, সিসি 1 খাল এলাকায় ড্রোন উড়িয়ে সার্বিক অবস্থা দেখেন মেয়র পারিষদ । সঙ্গে ছিলেন নিকাশি বিভাগের ডিজি শান্তনু ঘোষ ও বাকি আধিকারিকরা । ড্রোনের মাধ্যমে ছবি ও ভিডিয়ো করা হয় পুরো খালের । ভিডিয়ো করা হয় পাম্পিং স্টেশনের । লক গেটের ।
এই প্রসঙ্গে তারক সিং বলেন, এটা অস্বীকার করার কিছু নেই যে খাল পার দখল করে লোকজন ঘর বাড়ি করেছেন । যার জন্য আমরা কিছু করতে পারছি না । আমাদের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে রাজ্যের কাছে একটা প্রস্তাব পাঠাবো । যেখানে রাজ্যের হস্তক্ষেপ লাগবে দখলদারদের তুলে তাদের পুনর্বাসন দিয়ে খাল পাড় মুক্ত করতে হবে সেটা ।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘হকার নীতির মতো একটা নীতি করতে হবে । শহর তো দিন দিন বাড়ছে । পলি তোলা না হলে পাম্পিং স্টেশনের ক্যাপাসিটি না বাড়ালে হবে না । ব্রিটিশদের পরিকল্পনা ভালো ছিল ৷ তাই কলকাতার জনসংখ্যা বেড়েছে, আড়ে বহরে বেড়েছে, তাতেও কোনও মতে চলছে । কিন্তু এখন যেভাবে বাড়ছে, ভবিষ্যতে তো আর হবে না । তাই পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে ।’’