ETV Bharat / state

বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে গেল পাওয়ার হাউসের একাংশ, দেখুন ভিডিয়ো - Fire Breaks Out at Power House

Fire at Power House: পাওয়ার হাউসে আগুন লেগে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি ৷ বিদ্যুৎ দফতরের বিরুদ্ধে চরম গাফিলতির অভিযোগ এলাকাবাসীদের। তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে এলাকাবাসীদের মধ্যে।

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Mar 30, 2024, 8:13 AM IST

বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে গেল পাওয়ার হাউসের একাংশ

শান্তিপুর, 30 মার্চ: পাওয়ার হাউসে আগুন লেগে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি ৷ বিদ্যুৎ দফতরের বিরুদ্ধে চরম গাফিলতির অভিযোগ এলাকাবাসীদের। পাওয়ার হাউসে আগুন লাগার জেরে তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে এলাকাবাসীদের মধ্যেও। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে নদিয়ার শান্তিপুরের বাবলা পাওয়ার হাউসে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধ্যা আনুমানিক সাতটা নাগাদ পাওয়ার হবে দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেন এলাকাবাসীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় দমকলের একটি ইঞ্জিন। আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে অল্প সময়ের মধ্যে আগুন ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। দমকল বাহিনীর একটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ শুরু করলেও সময়মতো দ্বিতীয় ইঞ্জিন না-পৌঁছানোর কারণে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এলাকাবাসীদের মধ্যে। পাশাপাশি পাওয়ার হাউসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের বিরুদ্ধে চরম উদাসীনতার অভিযোগ উঠে ৷ এই প্রসঙ্গে, স্থানীয় বাসিন্দা পলি পাল জানান, হঠাৎ করে সন্ধ্যায় পাওয়ার হাউসের পিছনের স্টোররুমে আগুন ধরে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়লেও সময় মতো দমকল বাহিনীকে খবর দেওয়ার কোনও সদিচ্ছা দেখায়নি বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা।

বেশ কিছুক্ষণ পর খবর পেয়ে একটি দমকল বাহিনীর ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও মাঝপথে ইঞ্জিনের জল ফুরিয়ে যায়। এরপর আগুন জ্বলতে থাকলেও দীর্ঘক্ষণ দ্বিতীয় ইঞ্জিন না এসে পৌঁছানোর কারণে স্বাভাবিকভাবেই আগুনে তীব্রতা বাড়তে থাকে বলে দাবি স্থানীয়দের। এছাড়াও পাওয়ার হাউসে আগুন লেগে যাওয়ার ফলে গোটা এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পাওয়ার হাউসে অগ্নিনির্বাহের কোনও ব্যবস্থা রাখা হয়নি বলেই এই অগ্নিকাণ্ড বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা।

পাওয়ার হাউসের শ্রমিক দীনেশ ঠাকুর বলেন, "সন্ধ্যেবেলায় আগুন লাগার ঘটনাটি লোক মারফত খবর পাই। সেই সময় আমি কাছাকাছি ছিলাম না। খবর পেয়ে ঘটনাটি দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই। আমার কাছে দমকলবাহিনীর নম্বর না থাকার কারণে সেই মুহূর্তে আমি দমকলকে খবর দিতে পারিনি। কিন্তু সম্পূর্ণ ঘটনাটি বিস্তারিতভাবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।" পাওয়ার হাউসের পিছনের ট্রান্সফরমার-সহ বৈদ্যুতিক কাজে ব্যবহৃত বহু মূল্যের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছিল। শর্ট সার্কিটের কারণেই মূলত এই অগ্নিকাণ্ড বলে প্রাথমিক অনুমান দমকলের ৷

আরও পড়ুন

ঢাকুরিয়ার বস্তিতে বিধ্বংসী আগুন, গৃহহীনদের জটলায় বন্ধ ট্রেন চলাচল

ভস্মারতির সময় মহাকাল মন্দিরের গর্ভগৃহে আগুন, দগ্ধ 14 পুরোহিত

বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে গেল পাওয়ার হাউসের একাংশ

শান্তিপুর, 30 মার্চ: পাওয়ার হাউসে আগুন লেগে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি ৷ বিদ্যুৎ দফতরের বিরুদ্ধে চরম গাফিলতির অভিযোগ এলাকাবাসীদের। পাওয়ার হাউসে আগুন লাগার জেরে তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে এলাকাবাসীদের মধ্যেও। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে নদিয়ার শান্তিপুরের বাবলা পাওয়ার হাউসে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধ্যা আনুমানিক সাতটা নাগাদ পাওয়ার হবে দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেন এলাকাবাসীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় দমকলের একটি ইঞ্জিন। আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে অল্প সময়ের মধ্যে আগুন ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। দমকল বাহিনীর একটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ শুরু করলেও সময়মতো দ্বিতীয় ইঞ্জিন না-পৌঁছানোর কারণে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এলাকাবাসীদের মধ্যে। পাশাপাশি পাওয়ার হাউসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের বিরুদ্ধে চরম উদাসীনতার অভিযোগ উঠে ৷ এই প্রসঙ্গে, স্থানীয় বাসিন্দা পলি পাল জানান, হঠাৎ করে সন্ধ্যায় পাওয়ার হাউসের পিছনের স্টোররুমে আগুন ধরে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়লেও সময় মতো দমকল বাহিনীকে খবর দেওয়ার কোনও সদিচ্ছা দেখায়নি বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা।

বেশ কিছুক্ষণ পর খবর পেয়ে একটি দমকল বাহিনীর ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও মাঝপথে ইঞ্জিনের জল ফুরিয়ে যায়। এরপর আগুন জ্বলতে থাকলেও দীর্ঘক্ষণ দ্বিতীয় ইঞ্জিন না এসে পৌঁছানোর কারণে স্বাভাবিকভাবেই আগুনে তীব্রতা বাড়তে থাকে বলে দাবি স্থানীয়দের। এছাড়াও পাওয়ার হাউসে আগুন লেগে যাওয়ার ফলে গোটা এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পাওয়ার হাউসে অগ্নিনির্বাহের কোনও ব্যবস্থা রাখা হয়নি বলেই এই অগ্নিকাণ্ড বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা।

পাওয়ার হাউসের শ্রমিক দীনেশ ঠাকুর বলেন, "সন্ধ্যেবেলায় আগুন লাগার ঘটনাটি লোক মারফত খবর পাই। সেই সময় আমি কাছাকাছি ছিলাম না। খবর পেয়ে ঘটনাটি দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই। আমার কাছে দমকলবাহিনীর নম্বর না থাকার কারণে সেই মুহূর্তে আমি দমকলকে খবর দিতে পারিনি। কিন্তু সম্পূর্ণ ঘটনাটি বিস্তারিতভাবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।" পাওয়ার হাউসের পিছনের ট্রান্সফরমার-সহ বৈদ্যুতিক কাজে ব্যবহৃত বহু মূল্যের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছিল। শর্ট সার্কিটের কারণেই মূলত এই অগ্নিকাণ্ড বলে প্রাথমিক অনুমান দমকলের ৷

আরও পড়ুন

ঢাকুরিয়ার বস্তিতে বিধ্বংসী আগুন, গৃহহীনদের জটলায় বন্ধ ট্রেন চলাচল

ভস্মারতির সময় মহাকাল মন্দিরের গর্ভগৃহে আগুন, দগ্ধ 14 পুরোহিত

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.