ঝাড়গ্রাম, 31 অগস্ট: রাতের বেলায় হঠাৎ এক বাড়িতে ঢুকে দুই নাবালিকার উপর এলোপাথাড়ি কুড়ুলের কোপ মারার অভিযোগ এক যুবদের ৷ উত্তেজিত গ্রামবাসীর মারে মৃত্যু হয়েছে অভিযুক্ত যুবকের । ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনী থানার অন্তর্গত কেশরীপুর গ্রামে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন 2 নাবালিকা ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম সনাতন হাঁসদা ওরফে রাহুল (32) ৷ জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ন'টা নাগাদ কুড়ুল নিয়ে প্রতিবেশী ওই যুবক পাশের একটি বাড়িতে ঢুকে যায় ৷ সেই সময় দুই নাবালিকা ও তাঁদের মা ছিলেন বাড়িতে ৷ তাঁরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই এলোপাথারি কুড়ুল চালাতে শুরু করেন মদ্যপ ওই যুবক ৷ চিৎকার শুনে সেখানে তাঁদের বাঁচাতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন গ্রামবাসীরা ৷ বাড়ির দরজা ভেঙে অভিযুক্ত ওই যুবককে বাইরে বের করে বেধড়ক মারধর করা হয় ৷ গ্রামবাসীদের মারে মৃত্যু হয় অভিযুক্তের ৷
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত তথা মৃত সনাতনকে ওই 2 নাবালিকা মামা বলতে ডাকত ৷ আরও জানা গিয়েছে, এদিন সনাতন প্রথমে তাঁর বাড়িতে নিজের বৌদিকে মারধর করেন ৷ তারপর প্রতিবেশীর বাড়িতে চড়াও হন ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জামবনী থানার পুলিশ ৷ দুই নাবালিকা-সহ অভিযুক্ত যুবকের বৌদিকে উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । দুই নাবালিকার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় ।
ঘটনার পিছনে ঠিক কী কারণ রয়েছে, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ ঘটনায় ইতিমধ্যেই মুড়াকাটি গ্রামের বাসিন্দা আদিত্য দিগার নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয় । ঝাড়গ্রামের এসডিপিও শামীম বিশ্বাস বলেন, "একজন মদ্যপ যুবক কুড়ুল নিয়ে একজনের বাড়িতে ঢুকে তাণ্ডব চালায় । ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে । ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে । ঘটনার তদন্ত চলছে ৷"