নদিয়া, 8 নভেম্বর: জোড়া খুন নদিয়ার কালীগঞ্জে ৷ স্ত্রী ও তাঁর দিদাকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে নাতজামাইয়ের বিরুদ্ধে ৷ বৃহস্পতিবার রাত 12টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে কালীগঞ্জের পলাশি স্টেশনের 1 নম্বর প্ল্যাটফর্ম সংলগ্ন ঝুপড়িতে ৷ অভিযুক্ত দীনেশ হালদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, পলাশি স্টেশনের পাশে ঝুপড়িতে একাই বসবাস করতেন 70 বছরের সারথী হালদার নামে ওই বৃদ্ধা ৷ তিনি পরিচারিকার কাজ করতেন ৷ দিন কুড়ি আগে, মুর্শিদাবাদ থেকে বৃদ্ধার নাতনি কালী হালদার এবং নাতজামাই দীনেশ হালদার তাঁদের দুই সন্তানকে নিয়ে পলাশিতে আসেন ৷ বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎই তাঁদের ঝুপড়ি থেকে চিৎকার-চেঁচামেচির শব্দ পান প্রতিবেশীরা ৷ অভিযোগ, দীনেশ তাঁর স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করতে যান ৷ সেই সময় সারথী হালদার নাতজামাইকে বাধা দেন ৷
প্রতিবেশীদের দাবি, সেই সময় দীনেশ বৃদ্ধাকে কুপিয়ে খুন করেন ৷ এরপর স্ত্রী কালী হালদারকেও খুন করেন তিনি ৷ সেই সময় চিৎকারের শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা বেরিয়ে আসেন ৷ কিন্তু, ততক্ষণে অভিযুক্ত দীনেশ হালদার ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ ৷ প্রতিবেশীরাই পুলিশে খবর দেন ৷ পুলিশ দু’জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷
অন্যদিকে, রাতেই পলাতক দীনেশ হালদারের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ ৷ আজ সকালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ কিন্তু, ঠিক কী কারণে স্ত্রী এবং তাঁর দিদাকে খুন করলেন অভিযুক্ত ? সেই কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে ৷ সূত্রের খবর, প্রাথমিক তদন্তে পারিবারিক কোনও বিবাদের জেরেই এই ঘটনা বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা ৷ সঠিক কারণ জানতে দীনেশকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায় পুলিশ ৷ মৃতদের আত্মীয়দের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে ৷
এই ঘটনায় কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার কে অমরনাথ বলেন, "ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ কী কারণে এই ঘটনা, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা ৷ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে ৷ আজ ধৃতকে কৃষ্ণনগর আদালতে তোলা হবে ৷"