গাজল, 20 এপ্রিল: কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে তিনি গেয়ে উঠেছিলেন 'রং দে তু মোহে গেরুয়া...'। এবার সেই অরিজিৎ সিংকে কাজ লাগানোর কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গাজলের সভা থেকে শনিবার তিনি বলেন, "অরিজিৎ সিংয়ের নাম সবাই শুনেছেন । তাঁর বাড়ি মুর্শিদাবাদে। এই মালদা-মুর্শিদাবাদে বহু কৃতি মানুষ থাকেন। তাঁদের নিয়ে এসে কাজে লাগাতে হবে আমাদের।" মমতার এই বক্তব্যে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কাজে লাগানো বলতে মমতা কী বলতে চেয়েছেন তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি। আর তাতেই জল্পনা আরও বেড়েছে ।
এই সভা থেকেই অন্য একটি প্রসঙ্গে তিনি আরও একবার বলেন, "বাংলায় আমরা এনআরসি, সিএএ এবং ইউসিসি করতে দেব না। আমি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। আপনাদের জন্য লড়ে যাব। " একইভাবে রায়গঞ্জের দলীয় সভা থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, "দিল্লির কুকুর হয়ে বাঁচার চেয়ে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার হয়ে বাঁচা অনেক ভালো।"
নির্বাচনের শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রী-সহ বিজেপির সব নেতাই বলছেন এবার তাঁদের আসন সংখ্যা চারশোর চেয়ে বেশি হবে। মহারাষ্ট্রের নান্দেররে সভা থেকে এদিন আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেন, "একপেশে নির্বাচন হযেছে। বিজেপি ঐতিহাসিক ফল করবে ।" গাজলের সভা থেকে এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে মমতা বলেন, "বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি বলেছিল ইসবার দোশো পার। ৮০-ও পেরতে পারিনি। আগের বার ৩০৩টি আসন পেয়েছিল। এবার বলছে চারশো আসন পাবে । আগে দুশোটি আসন পেয়ে দেখাক। বাংলায় ওদের ভোট নেই। পঞ্জাবে ভোট নেই। দিল্লিতে ভোট নেই। দক্ষিণ ভারতে ভোট নেই। রাজস্থান- মধ্যপ্রদেশে ভোট ভাগাভাগি হয়ে যাবে। তাহলে আসনটা পাবে কোথায়?
ভাষণের একটি অংশে সরাসরি মালদা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ এবং প্রার্থী খগেন মুর্মুকে আক্রমণ করেন মমতা। তিনি বলেন, "খগেনবাবুকে ভোট দিতাম। কিন্তু বাংলার জন্য কোনও কাজ করেননি । কেন্দ্র যখন একশো দিনের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয় তখন তিনি কোথায় ছিলেন? মালদার লোকেরা বিপদে পড়লে খগেন কোথায় থাকেন ? "
আরও পড়ুন: