ডাবগ্রাম, 13 এপ্রিল: দেশের অশান্ত পরিবেশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে তীব্র আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার জলপাইগুড়ি লোকসভা নির্বাচনের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়ের সমর্থনে ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভার জাবরাভিটায় জনসভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই জনসভা থেকে হাথরস থেকে মণিপুর, বিলকিস বানু ধর্ষণ কাণ্ড থেকে শীতলকুচিতে বিএসএফের গুলিতে মৃত সাধারণ মানুষের ঘটনাকে নিয়ে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন তৃণমূল নেত্রী।
এদিন তিনি বলেন, "বিজেপির দাঙ্গার ফর্মুলা ধর্ম। ধর্মে ধর্মে ভেদ করে দাঙ্গার সৃষ্টি করে। ভোটপাখির মতো এখন যাত্রা করছে। এখন প্রচারে বেরিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলছেন সবাইকে জেলে ঢোকাবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলছেন সবাইকে লটকে দেবেন। আমি বলি ঝটকা দেবো। একটা ছোট সন্দেশ পেয়েছে। সেটা নিয়েই লাফাচ্ছে। আর সেটাও প্ল্যান করা। কোথায় ছিল যখন বিলকিস বানুর ধর্ষণ কাণ্ড হয়েছিল। অসমে যখন 19 লক্ষ লোকের নাম কেটে দিয়েছিল কোথায় ছিল ? আপনারা জ্বলতে দেখেছেন। আপনারা জ্বলতে দেখতে খুব ভালোবাসেন। জ্বলাতে জ্বলাতে যখন নিজে জ্বলে যাবেন তখন কাউকে বলতে পারবেন না।"
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন যে ভুয়ো সোশাল মিডিয়া টিম দিয়ে নাটক করে বিজেপি। জাতিতে জাতিয়ে দাঙ্গা লাগায়। উল্লেখ্য, 2019 সালে লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের প্রায় সবকটি আসনে জিতে গিয়েছিল বিজেপি ৷ কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, রায়গঞ্জ সব জায়গাতেই ফুটেছিল পদ্ম ৷ এদিনের সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী প্রশ্ন তোলেন জনগণের উদ্দেশ্যে, কেন বিজেপিকে ভোট দেন তাঁরা ৷
প্রায় 13 দিন ধরে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় প্রচার সারছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কোচবিহার থেকে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারের জেলায় জেলায় সভা করছেন তিনি ৷ তুলে ধরছেন সরকারের একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ ৷ 19 এপ্রিল লোকসভার প্রথম দফার ভোট বাংলায় ৷ হারিয়ে যাওয়া আসন পুনঃরুদ্ধার করতে পারবেন কি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা জানা যাবে 4 জুন ৷
আরও পড়ুন
1. 'কী দোষ করেছিল তৃণমূল ?', ঊনিশের হার নিয়ে জলপাইগুড়িতে আক্ষেপ মমতার
2. অনুব্রতহীন বীরভূমে নির্বাচনী রণকৌশল ঠিক করতে 'রুদ্ধদ্বার' সভা তৃণমূলের
3. অভিষেকের চ্যালেঞ্জের জবাব, ভোটের মুখে উন্নয়নের শ্বেতপত্র প্রকাশ বিজেপির