কলকাতা, 17 মে: বঙ্গ রাজনীতিতে কু-কথার চলন ঠিক কবে থেকে তা মনে করে বলা কঠিন। তবে তার পরিমাণ যে ক্রমশ বাড়ছে, তা নিয়ে সংশয়ের কারণ নেই। সম্প্রতি সেই তালিকায় নাম তুলেছেন বিচারপতির পদ ছেড়ে রাজনীতিতে আসা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নির্বাচনী সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করে বসেন তিনি। তার জেরে নির্বাচন কমিশন তাঁকে শো-কজ পর্যন্ত করেছে। এ নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে অতীতে ডুব দিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। পুরনো মন্তব্য হাতিয়ার করে সেলিম বলেন, বুদ্ধবাবু সম্পর্কে মমতা যে লাগাতার আক্রমণ করে গিয়েছেন, তার জন্য আগে ক্ষমা চাওয়া উচিত।
সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের বিজেপি প্রার্থী একটি সভায় সন্দেশখালি প্রসঙ্গে বক্তব্য পেশ করেন। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। সেই বিষয় তৃণমূলের তরফে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। তার ভিত্তিতে কমিশন বিজেপি প্রার্থীকে শো-কজ করেছে।
এই বিষয় সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে লাগাতার কুরুচিপূর্ণ কথা বলছেন, তাঁর বিরুদ্ধে কমিশনার ভূমিকা কী? মমতার উচিত সবার আগে বুদ্ধবাবুর কাছে ক্ষমা চাওয়া। শ্রীরামপুর কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী দীপ্সিত ধরকে লাগাতার কুরুচিকর কথা বলে চলেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিক থেকে কল্যাণেরও উচিত দীপ্সিতার কাছে ক্ষমা চাওয়া। এখানেই সেলিমের কাছে জানতে চাওয়া হয় তাঁরা কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন না ? এই প্রশ্নের উত্তরে সেলিমের দাবি, "আমরা জনগণের আদালতে এঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করব, কমিশনে নয়।"
পাশাপাশি এদিন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের বক্তব্য নিয়েও স্পষ্ট উত্তর দেন সেলিম। সংবাদ মাধ্যমের কাছে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, "বিজেপি নয় লোকসভা নির্বাচনে ভোট বাড়বে বামেদের। একাধিক আসনে তারা দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসবে। যাদবপুর থেকে শুরু করে দমদমের মতো আসনে বামেদের ফল ভালো হবে।"
এই বিষয় সেলিমের সাফ জবাব, "সিপিএম কোন স্থানে থাকবে, তা নিয়ে তৃণমূলকে চিন্তা করতে হবে না। আসল কথা গণতন্ত্রের উপর হামলার জবাব দিচ্ছেন মানুষ। পঞ্চায়েত ও পৌরসভায় তৃণমূল যা করেছে তার পর মানুষ নিজেদের হক ফিরে পেতে চাইছে। তৃণমূল অর্ধ সত্য বলছে। তৃণমূলের ভোটও ফিরবে বামেদের ঝুলিতেই। মানুষ বুঝেছে যে দেশে সংবিধান ও গনতন্ত্র সঙ্কটে ফেলা বিজেপির সাহস তৃণমূল বাড়িয়েছে। বিজেপিকে ডেকে এনেছে বাংলার মাটিতে।"
আরও পডুন: