বোলপুর, 24 সেপ্টেম্বর: অনুব্রত বাড়ি ফেরার দিনই বীরভূম জেলা সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ মঙ্গলবার প্রশাসনিক বৈঠক করে বন্যায় মৃতদের পরিবার-পিছু আর্থিক সাহায্যের কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ এদিন তিনি বলেন, "বন্যায় যে 28 জনের মৃত্যু হয়েছে , তাদের পরিবারপিছু 2 লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হবে ৷ বন্যায় ভেঙে গিয়েছে এমন 1-2 লক্ষ বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে ৷ এছাড়া, জল সরে গেলে কৃষকদের যে ফসলের ক্ষতি হয়েছে, তা খতিয়ে দেখে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার ৷ এছাড়াও যারা কেন্দ্রের আবাস যোজনার ঘর পাননি তাঁদেরও বাড়ি তৈরির জন্য 11 লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে ৷"
তবে, এদিন বীরভূম ও মালদার পরিযায়ী শ্রমিক নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এই বিষয়ে তাঁর অভিযোগ, "মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ থেকে হত্যা করে ডেডবডি বাংলায় পাঠিয়ে দিচ্ছে । মালদায় একটা মৃতদেহ আনা যায়নি ৷ মাথা ও দেহ আলাদা করে দিয়েছিল ৷ পরিযায়ী শ্রমিক যারা মারা গিয়েছে, তাদের পরিবারকে 2 লক্ষ টাকা করে দেবে সরকার । টাকাটা বড় কথা নয়, টাকা দিয়ে সব হয় না ৷ তবে ওই পরিবারগুলোর পাশে থাকা যায় কিছুটা ।"
এদিকে, বীরভূমের লাভপুরের 15টি গ্রাম বানভাসি হয়েছে । কুয়ে নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়ে বিস্তীর্ণ এলাকা । সেই সংক্রান্ত বিষয় নিয়েই মূলত আজকের বৈঠক ছিল । বোলপুরের গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে প্রশাসনিক বৈঠক করে বন্যা কবলিত এলাকাগুলির রাস্তা নির্মাণের জন্য বিধায়ক তহবিল ও গ্রামীণ স্কুলগুলি সংস্কারের জন্য সাংসদ তহবিল থেকে বরাদ্দ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি ৷
আরও একবার 'ম্যান মেড বন্যা' ও ডিভিসির ভূমিকা নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ইতিমধ্যেই ডিভিসি থেকে রাজ্যের চিফ ইঞ্জিনিয়ার ও পাওয়ার সেক্রেটারি ইস্তফা দিয়েছেন বলে জানান তিনি ৷
এদিন, 1 ঘণ্টার প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী । বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ শতাব্দী রায়, অসিত মাল, জেলাশাসক বিধান রায়, জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়, জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ, বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, বিকাশ রায়চৌধুরী ও বিধান মাঝি প্রমুখ ৷