মালদা, 8 জুলাই: বন্যা হলেই নদীগ্রাসে যায় মালদার রতুয়া 1নম্বর ব্লকের মহানন্দটোলা ও বিলাইমারি গ্রাম ৷ গৃহহীন হতে হয় রতুয়ার এই দুই এলাকার গ্রামবাসীকে ৷ এই দুই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বন্যা দুর্গতদের বাঁচাতে সোমবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে দেখা করলেন উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ৷
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের কাছে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর আর্জি, বিহার সরকার তাদের নদীবাঁধ যদি আরও সাড়ে তিন কিলোমিটার প্রসারিত করে, তবে প্রতি বছর বন্যার হাত থেকে রক্ষা পাবেন মহানন্দটোলা ও বিলাইমারি গ্রাম পঞ্চায়েত ৷ এই এলাকায় 40 হাজারেরও বেশি মানুষের বসাবাস ৷ সাংসদের দাবি, তাঁর আবেদন গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ৷ দ্রুত ওই কাজের সার্ভে শুরু করার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি ৷
পটনায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ৷ ভাঙন ও বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন ৷ এরপর একটি ভিডিয়োবার্তায় খগেন বলেন, "নীতীশ কুমারের সঙ্গে আলোচনায় বিহারের সেচমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব রঞ্জন সিং উপস্থিত ছিলেন ৷ আমরা তাঁদের সমস্ত বিষয়টি বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করেছি ৷ বিহার সরকার ভবানীপুর পর্যন্ত গঙ্গার যে বাঁধের কাজ করেছে, সেই বাঁধটি সম্ভবত বিহারের শেষ সীমানা ৷ তবে সেটিকে মানিকচক ব্লকের গদাই চর পর্যন্ত যদি আরও সাড়ে তিন কিলোমিটার প্রসারিত করা যায়, তবে খানিকটা হলেও মহানন্দটোলা ও বিলাইমারির মানুষ বাঁচবেন ৷ নদী ভাঙনও কমতে পারে ৷"
এই বৈঠকের পরই বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু জানান, নীতীশ কুমার-সহ বিহারের সেচমন্ত্রী এবং দফতরের আধিকারিকরা আমাদের আবেদন শুনেছেন ৷ সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা গঙ্গার এলাকাটি খতিয়ে দেখবেন ৷ পুরো বিষয়টি সার্ভে করে দেখবেন ৷ তারপর যা পদক্ষেপ নেওয়ার নেবেন ৷ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী এই আবেদনে সাড়া দেওয়ায় আশ্বস্ত হয়েছেন তিনি ৷
পাশাপাশি সাংসদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বিষয়টি জানানোর কথা বলেছেন ৷ এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, "আমি আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও বলব, ঘুমিয়ে না থেকে তিনিও যেন নীতীশজি'র মতো দ্রুততার সঙ্গে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেন ৷ ভাঙন রোধের কাজে কেন্দ্র-রাজ্যের দূরত্ব কমাতে তিনি উদ্যোগ নিন ৷ এই প্রসঙ্গে রতুয়ার 300 দুর্গত পরিবারের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি ৷