ETV Bharat / state

মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিলি ! অভিযোগ মালদার সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে

কয়েকদিন আগে টাকা নিয়ে রক্ত পরীক্ষার অভিযোগ উঠেছিল ৷ এবার সেই হাসপাতালের কর্মীর বিরুদ্ধে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিলি করার অভিযোগ উঠল ৷

MALDA RURAL HOSPITAL
মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিলি (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 3 hours ago

মালদা, 6 নভেম্বর: সম্প্রতি টাকার বিনিময়ে রক্ত পরীক্ষা করানোর অভিযোগ উঠেছিল ৷ এবার মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিলি করার অভিযোগ উঠল পুরাতন মালদার মৌলপুর গ্রামীণ হাসপাতালের কর্মীর বিরুদ্ধে ৷

টাকার বিনিময়ে রক্ত পরীক্ষা করানোর অভিযোগের তদন্ত কতদূর এগিয়েছে, কেউ জানে না ৷ আশ্বাস দিলেও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অভিযুক্ত কর্মীর বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করেছেন, সেটাও জানা যায়নি ৷ এই আবহে ফের অভিযোগ উঠল একই সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ৷ অভিযোগ, মৌলপুর গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে রোগীকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়া হয়েছে ৷ এই নিয়ে জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন স্থানীয় মঙ্গলবাড়ি সংলগ্ন সারদা কলোনির বাসিন্দা বসুদেব ঘোষ ৷

মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিলির অভিযোগ মালদার সরকারি হাসপাতালে (ইটিভি ভারত)

বসুদেব ঘোষ সত্তরোর্ধ বৃদ্ধ ৷ কয়েকদিন আগে বাম পায়ে আঘাত লাগে তাঁর ৷ সেই নিয়ে দু’দিন ঘরোয়া চিকিৎসা করার পর গত সোমবার মৌলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে যান ৷ চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা করে প্রেসক্রিপশন লিখে দেন ৷ হাসপাতাল থেকেই বিনামূল্যে সেই ওষুধ নিয়েছিলেন বসুদেববাবু ৷ দু’দিন ওষুধ খাওয়ার পর সকলের নজরে পড়ে, হাসপাতাল থেকে তাঁকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়া হয়েছে ৷ প্রতিবাদ জানাতে তিনি প্রথমে হাসপাতাল যান ৷ কিন্তু, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের গুরুত্ব দিতে চায়নি বলে অভিযোগ ৷ শেষ পর্যন্ত জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি ৷

বসুদেব ঘোষের অভিযোগ, "মৌলপুর হাসপাতালে গিয়েছিলাম ৷ চিকিৎসক পরীক্ষা করে ওষুধ লিখে দেন ৷ কিন্তু, হাসপাতাল থেকে আমাকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়া হয় ৷ সেই ওষুধ খেয়ে পায়ের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গিয়েছে ৷ এই ওষুধ খেলে আমার আরও ক্ষতি হবে ৷ আমি জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি ৷ সরকারি হাসপাতাল থেকে যে এমন ওষুধ দেওয়া হবে, ভাবতে পারিনি ৷"

অভিযুক্তের ভাইপো দীপঙ্কর ঘোষ বলেন, "পা কেটে যাওয়ায় কাকাকে মৌলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাই ৷ সেখানে কাকার পায়ে সেলাই দেওয়া হয় ৷ চিকিৎসক প্রেসক্রিপশনে কিছু ওষুধ লিখে দেন ৷ ইনডোরে সব ওষুধ না থাকায় আমাদের আউটডোর থেকে ওষুধ নিতে বলা হয় ৷ আমরা আউটডোর থেকেই ওষুধ নিয়েছি ৷ সেখান থেকে আমাদের মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়া হয়েছে ৷"

ঘটনা প্রসঙ্গে পুরাতন মালদার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়দীপ মজুমদার বলেন, "মঙ্গলবার রাতে আমি বিষয়টি জানতে পেরেছি ৷ আমাদের হাসপাতালে দু’জন ফার্মাসিস্ট রয়েছেন ৷ তাঁরাই স্টোরের দায়িত্ব সামলান ৷ আমি শুনেছি, ওই রোগীকে আউটডোর থেকে ওষুধ দেওয়া হয়েছিল ৷ ঘটনাটি ভীষণ গুরুতর ৷ বিএমওএইচ হিসাবে আমি এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করব ৷ ফার্মাসিস্টদের দোষ প্রমাণিত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে ৷"

পড়ুন: সুকান্তর নামে থানায় অভিযোগ, মানহানির হুঁশিয়ারি মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের

মালদা, 6 নভেম্বর: সম্প্রতি টাকার বিনিময়ে রক্ত পরীক্ষা করানোর অভিযোগ উঠেছিল ৷ এবার মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিলি করার অভিযোগ উঠল পুরাতন মালদার মৌলপুর গ্রামীণ হাসপাতালের কর্মীর বিরুদ্ধে ৷

টাকার বিনিময়ে রক্ত পরীক্ষা করানোর অভিযোগের তদন্ত কতদূর এগিয়েছে, কেউ জানে না ৷ আশ্বাস দিলেও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অভিযুক্ত কর্মীর বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করেছেন, সেটাও জানা যায়নি ৷ এই আবহে ফের অভিযোগ উঠল একই সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ৷ অভিযোগ, মৌলপুর গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে রোগীকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়া হয়েছে ৷ এই নিয়ে জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন স্থানীয় মঙ্গলবাড়ি সংলগ্ন সারদা কলোনির বাসিন্দা বসুদেব ঘোষ ৷

মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিলির অভিযোগ মালদার সরকারি হাসপাতালে (ইটিভি ভারত)

বসুদেব ঘোষ সত্তরোর্ধ বৃদ্ধ ৷ কয়েকদিন আগে বাম পায়ে আঘাত লাগে তাঁর ৷ সেই নিয়ে দু’দিন ঘরোয়া চিকিৎসা করার পর গত সোমবার মৌলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে যান ৷ চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা করে প্রেসক্রিপশন লিখে দেন ৷ হাসপাতাল থেকেই বিনামূল্যে সেই ওষুধ নিয়েছিলেন বসুদেববাবু ৷ দু’দিন ওষুধ খাওয়ার পর সকলের নজরে পড়ে, হাসপাতাল থেকে তাঁকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়া হয়েছে ৷ প্রতিবাদ জানাতে তিনি প্রথমে হাসপাতাল যান ৷ কিন্তু, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের গুরুত্ব দিতে চায়নি বলে অভিযোগ ৷ শেষ পর্যন্ত জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি ৷

বসুদেব ঘোষের অভিযোগ, "মৌলপুর হাসপাতালে গিয়েছিলাম ৷ চিকিৎসক পরীক্ষা করে ওষুধ লিখে দেন ৷ কিন্তু, হাসপাতাল থেকে আমাকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়া হয় ৷ সেই ওষুধ খেয়ে পায়ের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গিয়েছে ৷ এই ওষুধ খেলে আমার আরও ক্ষতি হবে ৷ আমি জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি ৷ সরকারি হাসপাতাল থেকে যে এমন ওষুধ দেওয়া হবে, ভাবতে পারিনি ৷"

অভিযুক্তের ভাইপো দীপঙ্কর ঘোষ বলেন, "পা কেটে যাওয়ায় কাকাকে মৌলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাই ৷ সেখানে কাকার পায়ে সেলাই দেওয়া হয় ৷ চিকিৎসক প্রেসক্রিপশনে কিছু ওষুধ লিখে দেন ৷ ইনডোরে সব ওষুধ না থাকায় আমাদের আউটডোর থেকে ওষুধ নিতে বলা হয় ৷ আমরা আউটডোর থেকেই ওষুধ নিয়েছি ৷ সেখান থেকে আমাদের মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়া হয়েছে ৷"

ঘটনা প্রসঙ্গে পুরাতন মালদার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়দীপ মজুমদার বলেন, "মঙ্গলবার রাতে আমি বিষয়টি জানতে পেরেছি ৷ আমাদের হাসপাতালে দু’জন ফার্মাসিস্ট রয়েছেন ৷ তাঁরাই স্টোরের দায়িত্ব সামলান ৷ আমি শুনেছি, ওই রোগীকে আউটডোর থেকে ওষুধ দেওয়া হয়েছিল ৷ ঘটনাটি ভীষণ গুরুতর ৷ বিএমওএইচ হিসাবে আমি এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করব ৷ ফার্মাসিস্টদের দোষ প্রমাণিত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে ৷"

পড়ুন: সুকান্তর নামে থানায় অভিযোগ, মানহানির হুঁশিয়ারি মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.