চাপড়া, 2 মে: রেজাল্ট ভালো হবে না, সেই আশঙ্কা করেই মাধ্যমিকে ফলাফল বেরোনোর আগে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী । ওই পরীক্ষার্থীর বাড়ি নদীয়ার চাপড়া থানা এলাকায় ৷ সে স্থানীয় দইয়ের বাজার হাইস্কুলের ছাত্র ছিল ৷ যদিও পরে দেখা যায় যে ছেলেটি 50 শতাংশ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক পাশ করেছে ৷
স্থানীয়দের থেকে জানা গিয়েছে, বুধবার এক আত্মীয়ের শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় হাসপাতালে এসেছিলেন ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মা-বাবা । তাঁরা রাতে বাড়িতে ফেরেন । বাড়িতে ফিরে তাঁরা ছেলেকে জিজ্ঞাসা করেন পরীক্ষার ফলাফল কেমন হতে পারে ? অন্তত পরিবারের মুখ রাখতে পারবে কি না !
এই বলেই প্রতিদিনের মতো রাতের খাওয়া দাওয়া করে তাঁরা নিজেদের ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন । অন্য একটি ঘরে ওই কিশোর একাই থাকতো । প্রতিদিনের মতো সেও ঘরে দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ে । সে ঘুম থেকে কিছুটা বেলা করেই প্রতিদিন ওঠে । সেই কারণে প্রথম দিকে পরিবারের কারও সন্দেহ হয়নি । পরে কিছুটা বেলা গড়াতে পরিবারের লোক ডাকাডাকি শুরু করে । তবে ভিতর থেকে কোনও উত্তর তারা পাচ্ছিল না ।
জানা গিয়েছে, এরপর জানালার ফাঁক দিয়ে দেখা যায় ওই কিশোর ঘরের মধ্যেই ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে । চিৎকার চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীরাও ঘটনাস্থলে আসেন । এরপর দরজা ভেঙে ওই কিশোরকে সেখান থেকে উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা । খবর পেয়ে আত্মীয়রাও ছুটে আসেন ।
মৃতের পিসতুতো দাদা দীপঙ্কর বিশ্বাস জানান, মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল ভালো হওয়া নিয়ে আশঙ্কায় ছিল ওই কিশোর । তার জেরেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে ৷ তবে ফল বের হওয়ার পর দেখা যায় ছেলেটি 50 শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করেছে ৷
আরও পড়ুন: