বর্ধমান, 30 মার্চ: বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে একটা সময় রুদ্রনীল ঘোষের নাম শোনা গিয়েছিল ৷ কিন্তু, সেখানে বিজেপি তথা সংঘের ঘনিষ্ঠ এবং প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে প্রার্থী করেছে গেরুয়া শিবির ৷ এমনকি অন্য আসনেও নাম ছিল না রুদ্রনীলের ৷ যা নিয়ে মন খারাপের কথা ইটিভি ভারতকে জানিয়ে ছিলেন তিনি ৷ তবে, সেই অভিমান ভুলে প্রচারে নেমেছেন রুদ্রনীল ৷ যা নিয়ে দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দিলেন, "সবাই দলে আসেন, প্রার্থী হতে চান, কিন্তু, সবাইকে তো আর টিকিট দেওয়া যায় না !"
দিলীপ ঘোষের বক্তব্যে স্পষ্ট বিজেপি কারও ব্যক্তিগত পছন্দের জায়গা নয় ৷ সেখানে সংগঠন ও শীর্ষ নেতৃত্বের কথাই শেষ ৷ তাই তিনি বলেন, "সবাই দলের কর্মী, সবাই দলের হয়ে কাজ করবে ৷ সবার একটা ইচ্ছে থাকেই ৷ কিন্তু, সবার ইচ্ছা তো আর সবসময় পূরণ হয় না ৷ কিন্তু, দলের কাজ সবাইকে করতে হবে ৷ বহু লোক এসেছিলেন, ভোটে দাঁড়াতে ৷ তাই বলে সবাইকে টিকিট দেওয়া সম্ভব নয় ৷ তাঁকে দল কোনও না কোনও কাজ দেবে ৷ তিনি তো দলের কাজের জন্যই এসেছেন ৷"
দিলীপ ঘোষের বক্তব্যে শেষ থেকে শুরু, পুরোটাই ছিল দল বিজেপি ৷ উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা ভোটে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে নির্বাচনে লড়েছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ ৷ সেই সময় শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রায় 29 হাজারের কাছাকাছি ভোটে হেরেছিলেন তিনি ৷
তবে, বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রচার জমিয়ে দিয়েছেন মেদিনীপুরের বিদায়ী সাংসদ ৷ প্রাতঃভ্রমণ দিলীপ ঘোষের প্রচারের একটা বড় অংশ ৷ আর সেটা দেখা গেল বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী হয়েও ৷ আজ সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে বর্ধমানের লোকো ব্লিজ মাঠে ক্রিকেটও খেললেন তিনি ৷
আর প্রতিপক্ষ কীর্তি আজাদ নিয়ে তিনি বললেন, "আমার বিপরীতে কে আছে আমি দেখি না ৷ আমি বোলার দেখি না, আমি বল দেখি ৷ সবে তো শুরু হল, এদিন প্রথম বলে ছক্কা মেরেছি ৷ " তবে, মেদিনীপুরের চেনা পিচ ছেড়ে বর্ধমানের অচেনা কেন্দ্রে প্রার্থী তিনি ৷ এনিয়ে দিলীপের বক্তব্য, "মেদিনীপুরে আমি টিম তৈরি করেছি, পিচ তৈরি করেছি ৷ আমার হাতেই দল ছিল, চিন্তা ছিল না ৷ আর এখানে টিম যাই হোক, ব্যাটসম্যান কিন্তু আমিই আছি ৷ আর আমার টিমের ফিল্ডাররা রীতিমত তৈরি জেতার জন্য ৷"
তাই আজ চার-ছয় হাঁকানোর পর তৃণমূলের প্রার্থীর নাম-না নিয়েই বার্তা দিলেন, তিনি সব পিচেই খেলেন ৷ ময়দানে এখন তিনি ছাড়া আর কেউ নেই ৷ আর কাউকে মাঝে ডাকার দরকারও নেই ৷
আরও পড়ুন: