মিনাখাঁ, 12 ফেব্রুয়ারি: কেরল সফর কাটছাঁট করে সোমবার সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমেই সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । কিন্তু, সেখানে যেতে গিয়ে তাল কাটল । সন্দেশখালি যাওয়ার পথে দফায় দফায় গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যপাল । 100 দিনের বকেয়া টাকা-সহ নানা দাবি পূরণে প্ল্যাকার্ড হাতে তাঁর কনভয় ঘিরে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন স্থানীয়রা ।
এ দিনই যে রাজ্যপাল সন্দেশখালি যাবেন, সেই পরিকল্পনা আগেই ছিল । সকালে বিমানবন্দরে নামার পর নির্ধারিত রাস্তা দিয়েই এগিয়ে যাচ্ছিল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কনভয় । সেই পথেই দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখানো হল রাজ্যপালের কনভয় ঘিরে । বেলা ১১টা নাগাদ যখন রাজ্যপালের গাড়ি উত্তর 24 পরগনার মিনাখাঁর বাসন্তী হাইওয়ের উপর দিয়ে যাচ্ছিল, সেই সময় হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে কনভয়ের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন একদল লোক । মূলত 100 দিনের কাজের বকেয়া টাকা, আবাস যোজনার ঘরের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয় । একবার নয়, একাধিকবার এ দিন বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে । পরে অবশ্য পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ।
সূত্রের খবর, মিনাখাঁর বামনপুকুরের বিক্ষোভ কাটিয়ে রাজ্যপালের কনভয় যখন মালঞ্চের দিকে এগোতে থাকে, তখন সেখানেও আবার বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় সিভি আনন্দ বোসকে । রাস্তার দু'ধারে জমায়েত হয়ে থাকা গ্রামবাসীরা সেই সময়ে রাজ্যপালের কনভয়ের একেবারে সামনে চলে আসেন । কোনওক্রমে সেই পরিস্থিতির সামাল দেন রাজ্যপালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় জওয়ানরা ।
এ দিন বিক্ষোভরত গ্রামবাসীদের প্রত্যেকের হাতেই ছিল প্ল্যাকার্ড । তাতে লেখা ছিল 100 দিনের কাজ এবং আবাস যোজনার বকেয়া টাকা মেটাতে হবে অবিলম্বে । এ জন্য রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের হস্তক্ষেপেরও দাবি জানানো হয়েছে গ্রামবাসীদের একাংশের তরফ থেকে ।
এ দিকে, রাজ্যপালের পূর্ব পরিকল্পিত সন্দেশখালি সফর থাকা সত্বেও কেন পুলিশ প্রশাসন আগে থেকে রাস্তার জমায়েত সরাল না ? কেনই বা পুলিশ রাস্তার দু'ধারে এত লোকের জমায়েত হতে দিল ? রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিক্ষোভ ঘিরে এমনই সব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে । তবে,জমায়েত হটাতে পুলিশ এ দিন যতটা না সক্রিয় ছিল, তার চেয়ে বেশি ব্যস্ত ছিল সংবাদমাধ্যমের গাড়ি আটকাতে । পরে, রাজ্যপালের হস্তক্ষেপে সংবাদমাধ্যমের গাড়ি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ । ধামাখালি থেকে মধ্যাহ্নভোজ সেরে এ দিন আবার সন্দেশখালির দিকে যাত্রা শুরু করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । সেখানকার পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখার পাশাপাশি গ্রামের মহিলাদের সঙ্গে আলোচনা করার কথা রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের।
অন্যদিকে, নারী নির্যাতনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এ দিনই রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দুই সদস্যের টিম গিয়েছে সন্দেশখালি ।
আরও পড়ুন: