শিলিগুড়ি, 26 নভেম্বর: সহযাত্রীর দেওয়া চা খেয়ে ট্রেনের মধ্যে ঢলে পড়লেন । ঘুমের মধ্যেই সর্বস্ব খোয়া গেল দুই বাংলাদেশি পর্যটকের। যখন জ্ঞান ফিরল তখন দেখলেন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ৷ কর্মরত চিকিৎসকদের জিজ্ঞেস করে জানতে পারেন তিনি ও তাঁর ভাই শিলিগুড়ির জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ বাংলাদেশ থেকে যা কিছু নিয়ে এসেছিলেন, তার সবটাই খুইয়েছেন তাঁরা । এসব জানতেই যেন আকাশ ভেঙে পড়ল । কী করবেন বুঝেই উঠতে পারছিলেন না ওপার বাংলার দুই পর্যটক । শেষে রেল পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা ।
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের বাসিন্দা ইয়ানা ও তাঁর ভাই 24 নভেম্বর শিয়ালদা থেকে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসে উঠে শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন । সেখান থেকে সিকিমে ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের ৷ আরএসি 63 সিট নম্বর ছিল । অভিযোগ, আরএসি 57তে দু'জন সহযাত্রী ওঠেন ৷ তারা এই ভাইবোনের সঙ্গে বেশ গল্প জমিয়ে দেন ৷ তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশের খোঁজখবর নেন ৷ ইয়ানার বক্তব্য অনুযায়ী, তারাও শিলিগুড়িতেই নেমে যাবে বলে জানায় । রাত খানিকটা গড়ালে ঘুমিয়ে পড়েন ইয়ানা ও তার ভাই । ভোর তখন প্রায় তিনটে ৷ তারা ইয়ানাদের ডেকে বলেন তাঁরা এবার নেমে যাবেন ৷
ইয়ানার কথায়, "তাদের সিটে আমাদের গিয়ে শুয়ে পড়তে বলেন । এরপরই তারা একটি কাপে চা দেয় । প্রথমটায় নিমরাজি হলেও তাদের জোরাজুরিতে সেই চা আমরা খাই । তারপর সিটে গিয়ে ব্যাগপত্র মাথার কাছে রেখে ঘুমিয়ে পড়ি । যখন জ্ঞান ফিরে আসল তখন শিলিগুড়ির জেলা হাসপাতালে শুয়ে রয়েছি ।"
ইয়ানা বলেন, "আমার হাতের সোনার ব্রেসলেট, আমার ব্যাগে থাকা প্রায় 7 হাজার টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা, আমার ভাইয়ের কাছে প্রায় দশ হাজার টাকা ছিল ৷ সবটাই লুট হয়ে গিয়েছে ৷ পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি । প্রশাসনের কাছে আমাদের আবেদন আমরা তো সর্বস্ব খুইয়েছি ৷ কোনও প্রকারে আমাদের বেনাপোল সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার বন্দোবস্ত করুক । তারপর আমরা চলে যাতে পারব ।"
অন্যদিকে, ঘটনাকে কেন্দ্র করে জিআরপির এসআরপি কুনওয়ার ভূষণ সিং বলেন, "বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি । খড়গপুর ও আমরা যৌথভাবে বিষয়টির তদন্ত করছি ।"