কলকাতা, 28 ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালিতে চাষের জমি দখল করে, সেখানে নোনা জল ঢুকিয়ে মাছ চাষের ভেড়ি তৈরি করা পরিবেশ গত অপরাধ। বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট হওয়া থেকে শুরু করে পানীয় জলের সঙ্কট, এমনকী পরিবেশগত শরণার্থী হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলেও মনে করছেন পরিবেশবিদরা। জমির চরিত্র ফিরিয়ে দেওয়া ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও করছেন পরিবেশ কর্মীরা। পাশাপশি, রাজ্যের পরিবেশ দফতরের কাছে জানতে চাওয়া হবে, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। উত্তর না পাওয়া গেলে পরিবেশ আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও দাবি করেন পরিবেশ বিজ্ঞানী সোমেন্দ্র মোহন ঘোষ।
জমি দখল-সহ আরও একাধিক অভিযোগ তৃণমূলের ফেরার নেতা শেখ শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে। জমি লুঠ থেকে শুরু করে অত্যাচার- অভিযোগের ক্ষোভ নিয়ে কার্যত উত্তপ্ত সন্দেশখালি। তবে এই পরিস্থিতি পরিবেশের উপর ও জনজীবনের উপরে ভয়ঙ্কর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে দাবি পরিবেশ আন্দোলন কর্মীদের।
চাষের জমিতে খাল কেটে নোনা জল ঢোকানোর জেরে জমির গুণগত মান শুধু নষ্ট হয় না, ভূগর্ভস্থ জলে লবনের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও মত পরিবেশ বিজ্ঞানীদের। যার জেরে সেখানে পানীয় জলের সঙ্কটও তৈরি হবে। এই পরিস্থিতি একের পর এক জমি ভেড়ি হতে থাকলে ভবিষ্যতে খাদ্য সঙ্কট এমনকী দুর্যোগে এলাকা জলের তলায় চলে যাওয়া প্রবণতা আরও বেশি বাড়বে বলেও জানাচ্ছেন তিনি।
পরিবেশ বিজ্ঞানী সোমেন্দ্র মোহন ঘোষ বলেন, "সরকার দখল হয়ে যাওয়া জমি ফিরিয়েছে অনেককে। কিন্তু জমির চরিত্র বদল কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে ? সুন্দরবন লাগোয়া এই এলাকা পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ৷ সেখানে নোনা জলে জীববৈচিত্র্য ভয়ঙ্করভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। সেসব রক্ষা করতে কী কী পদক্ষেপ নেবে রাজ্যের সরকার ? আমরা গোটা বিষয়টি জানিয়ে রাজ্যের পরিবেশ দফতরের কাছে অভিযোগ জানাচ্ছি। তারা কী পদক্ষেপ নেবে তা আইনত 15 দিনের মধ্যে না জানালে পরিবেশ আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করব আমরা।"
আরও পড়ুন
'তদন্তে স্থগিতাদেশ, শাহজাহানকে গ্রেফতারিতে নয়', স্পষ্ট নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
1000 কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু হচ্ছে রো রো পরিষেবা, কোন রুটে পাওয়া যাবে এই সার্ভিস?