ETV Bharat / state

উত্তপ্ত বাংলাদেশে সক্রিয়তা বাড়ছে জঙ্গিদের, পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর লালবাজারের

বাংলাদেশে উত্তেজনার আড়ালে সক্রিয় জঙ্গিরা ৷ এরাজ্যেও জাল বিস্তারের আশঙ্কা রয়েছে ৷ এই নিয়ে ভি সলেমন নেশাকুমারের সঙ্গে কথা বলেছেন ইটিভি ভারত-এর অয়ন নিয়োগী ৷

MILITANT OUTFITS IN BANGLADESH
উত্তপ্ত বাংলাদেশে সক্রিয়তা বাড়ছে জঙ্গিদের, পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর লালবাজারের (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 29, 2024, 5:03 PM IST

Updated : Nov 29, 2024, 5:12 PM IST

কলকাতা, 29 নভেম্বর: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দিয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে ৷ অগস্টে হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে আসার পরও পরিস্থিতি শান্ত হয়নি ৷ বরং উত্তরোত্তর বাড়ছে ৷ বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ ও সনাতনী নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির ইস্যুতে ফের জ্বলছে বাংলাদেশ ৷ কাঠগড়ায় সেদেশের সংখ্যাগুরু সম্প্রদায় ৷ মৌলবাদীদের মদতেই বাংলাদেশের পরিস্থিতি ক্রমশ অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ ৷

ভারত সরকার পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে ৷ পাশাপাশি বাংলাদেশ লাগোয়া ভারতের যে রাজ্যগুলি রয়েছে, সেখানকার পুলিশ-গোয়েন্দারাও এই পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে চলেছে ৷ ব্যতিক্রম নয় পশ্চিমবঙ্গও ৷ কারণ, বাংলাদেশের এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে পাচারচক্র ও জঙ্গি সংগঠনগুলি ফের মাথাচাড়া দিতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা ৷ তেমনটা হলে সেই পাচারচক্র ও সন্ত্রাসবাদের জাল সীমান্তের এপারেও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে গোয়েন্দারা আশঙ্কা করছেন ৷

বৃহস্পতিবার সকালেই ধর্মতলা থেকে জালনোট-সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ ৷ সেই ব্যক্তির কাছে থাকা ব্যাগ থেকে ভারতীয় টাকার হিসেবে তিন লক্ষ টাকা মূল্যের জালনোট উদ্ধার হয় ৷ সেই জালনোট বাংলাদেশ থেকে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন গোয়েন্দারা ৷ এই আশঙ্কা যে আগে থেকেই লালবাজারের শীর্ষকর্তাদের কাছে ছিল, তা স্পষ্ট হয়েছে কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত নগরপাল (5) ও বর্তমানে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ-এর দায়িত্বে থাকা আইপিএস ভি সলেমন নেশাকুমারের কথায় ৷ ইটিভি ভারতকে তিনি বলেন, "আমাদের কাছে এই রকম খবর রয়েছে যে একাধিক জালনোট কারবারী বাংলাদেশে জালনোট বানিয়ে, তা এই রাজ্যে প্রবেশ করাতে চাইছে ।’’

শুধু জালনোট নয়, জঙ্গি সংগঠনগুলোর স্লিপার সেলগুলিও ফের সক্রিয় হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন গোয়েন্দারা ৷ কারণ, জামা'আতুল মুজাহিদিন (জেএমবি), হরকাতুল জিহাদ (হুজি), আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এটিবি), শাহাদত-ই-আল হিকমা ও হিযবুত তাহ্রীর মতো বাংলাদেশের একাধিক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন দেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে ব্যবহার করে ফের সক্রিয় হতে শুরু করেছে ৷ আর এক্ষেত্রে তাদের মূল মদতদাতা পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই, এমনটাই মনে করছেন ভি সলেমন নেশাকুমার ৷

ইটিভি ভারতকে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের গুপ্তচর আইএসআই জঙ্গি সংগঠন এই রাজ্যে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে বিভিন্ন কাজ শুরু করেছে । মূলত, পাকিস্তানের আইএসআই জঙ্গি সংগঠনগুলি বাংলাদেশের একাধিক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাংলায় তাদের প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে ।’’

সম্প্রতি গুজরাত থেকে ধরা পড়া বেশ কয়েকজন আল কায়দা জঙ্গি নিউমার্কেট ও বেনিয়াপুকুর এলাকায় আত্মগোপন করেছিল বলে এনআইএ তদন্তে উঠেছে ৷ ওই জঙ্গিরা সকলেই বাংলাদেশের নাগরিক ৷ এই ঘটনায় বেনিয়াপুকুর-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালায় এনআইএ ৷ সেখানেও প্রতিবেশী দেশের গুপ্তচর সংস্থার মদতের তথ্যই সামনে আসে বলে এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে ৷ সেকথা এনআইএ-র তরফে কলকাতা পুলিশকেও জানানো হয়েছে বলে লালবাজার সূত্রে খবর ৷

তাছাড়া, এর আগে একাধিক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের এই রাজ্য থেকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এসটিএফ । মূলত, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তাদের আত্মগোপন করে থাকতে দেখা গিয়েছে অতীতে ৷ এমনকী, কলকাতা শহরেও আত্মগোপন করে থাকার ঘটনাও এর আগে সামনে এসেছে ৷

2022 সালে মে মাসে পাকিস্তানের গুপ্তচর সন্দেহে জাফর রিয়াজ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল পঞ্জাব পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ । ভারতের খবর পাকিস্তানে পাচার করাই ছিল তার কাজ ৷ তাকে জেরা করে কিছু তথ্যও পাওয়া যায় ৷ সেখানেই জাফরের কলকাতা-যোগ মেলে ৷ এক্ষেত্রেও বেনিয়াপুকুরের নাম জড়িয়ে যায় ৷ বেনিয়াপুকুরেই আত্মগোপন করেছিল এই জাফর ৷ এর পর এক পাকিস্তানি মহিলাকে বিয়ে করে সে লাহোরে চলে যায় ৷

এছাড়াও গতবছর অগস্ট মাসে দিল্লি কলকাতা-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গার ছবি তুলে পাকিস্তানে বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে সেই ছবি পাচার করে দেওয়ার অভিযোগে কলকাতা পুলিশের এসটিএফের হাতে পাকিস্তানি গুপ্তচর সন্দেহে গ্রেফতার হয়েছিল ভক্তবংশী ঝা নামে এক ব্যক্তি । এছাড়াও 2022 সালে উত্তরবঙ্গের কালিম্পং এলাকা থেকে এক ব্যক্তিকে পাকিস্তানি গুপ্তচর সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় । ধৃতের নাম সমীর দাঁ । কালিম্পংয়ের একাধিক সেনা ছাউনির ছবি তুলে সে পাকিস্তানে পাঠিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে ।

যদিও রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলির উপর করা ব্যবস্থা গ্রহণ করার ফলে এই রাজ্যের তাদের স্লিপার সেলের সদস্যদের গতিবিধি অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে । কখনও রাজমিস্ত্রি হিসেবে, আবার কখন কোনও সংস্থার কর্মী সেজে এই রাজ্যে অবাধ বিচরণ করত, এখানকার খবর অন্য জায়গায় পাঠানোর কাজে যুক্ত থাকত, এই সন্দেহে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার পর অনেকটা ব্যাকফুটে চলে যায় জঙ্গি সংগঠনগুলি ।’’

গোয়েন্দারা বলছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতিকে ব্যবহার করে ফের সক্রিয় হতে চাইছে সেদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলি ৷ তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র ও জালনোট সীমান্ত পার করে এপারের স্লিপার সেলের হাতে তুলে দেওয়া ৷ জালনোটের জাল পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে ছড়িয়ে দিতে মালদা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গার ছোটখাট ব্যবসায়ীদের টার্গেট করছে তারা ।

আর সেই কাজে যাতে সফল না-হয় জঙ্গি সংগঠনগুলি, সেই দিকে নজর রয়েছে গোয়েন্দাদের ৷ এই নিয়ে কলকাতা পুলিশের ভি সলেমন নেশাকুমার বলেন, "তাদের গতিবিধির উপর আমরা নজর রাখছি । আমরা সকল বিষয়ের উপর বিশেষভাবে নজর রাখছি । এছাড়াও একাধিক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সাথেও আমরা যোগাযোগ রাখছি ।"

কলকাতা, 29 নভেম্বর: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দিয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে ৷ অগস্টে হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে আসার পরও পরিস্থিতি শান্ত হয়নি ৷ বরং উত্তরোত্তর বাড়ছে ৷ বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ ও সনাতনী নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির ইস্যুতে ফের জ্বলছে বাংলাদেশ ৷ কাঠগড়ায় সেদেশের সংখ্যাগুরু সম্প্রদায় ৷ মৌলবাদীদের মদতেই বাংলাদেশের পরিস্থিতি ক্রমশ অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ ৷

ভারত সরকার পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে ৷ পাশাপাশি বাংলাদেশ লাগোয়া ভারতের যে রাজ্যগুলি রয়েছে, সেখানকার পুলিশ-গোয়েন্দারাও এই পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে চলেছে ৷ ব্যতিক্রম নয় পশ্চিমবঙ্গও ৷ কারণ, বাংলাদেশের এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে পাচারচক্র ও জঙ্গি সংগঠনগুলি ফের মাথাচাড়া দিতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা ৷ তেমনটা হলে সেই পাচারচক্র ও সন্ত্রাসবাদের জাল সীমান্তের এপারেও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে গোয়েন্দারা আশঙ্কা করছেন ৷

বৃহস্পতিবার সকালেই ধর্মতলা থেকে জালনোট-সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ ৷ সেই ব্যক্তির কাছে থাকা ব্যাগ থেকে ভারতীয় টাকার হিসেবে তিন লক্ষ টাকা মূল্যের জালনোট উদ্ধার হয় ৷ সেই জালনোট বাংলাদেশ থেকে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন গোয়েন্দারা ৷ এই আশঙ্কা যে আগে থেকেই লালবাজারের শীর্ষকর্তাদের কাছে ছিল, তা স্পষ্ট হয়েছে কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত নগরপাল (5) ও বর্তমানে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ-এর দায়িত্বে থাকা আইপিএস ভি সলেমন নেশাকুমারের কথায় ৷ ইটিভি ভারতকে তিনি বলেন, "আমাদের কাছে এই রকম খবর রয়েছে যে একাধিক জালনোট কারবারী বাংলাদেশে জালনোট বানিয়ে, তা এই রাজ্যে প্রবেশ করাতে চাইছে ।’’

শুধু জালনোট নয়, জঙ্গি সংগঠনগুলোর স্লিপার সেলগুলিও ফের সক্রিয় হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন গোয়েন্দারা ৷ কারণ, জামা'আতুল মুজাহিদিন (জেএমবি), হরকাতুল জিহাদ (হুজি), আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এটিবি), শাহাদত-ই-আল হিকমা ও হিযবুত তাহ্রীর মতো বাংলাদেশের একাধিক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন দেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে ব্যবহার করে ফের সক্রিয় হতে শুরু করেছে ৷ আর এক্ষেত্রে তাদের মূল মদতদাতা পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই, এমনটাই মনে করছেন ভি সলেমন নেশাকুমার ৷

ইটিভি ভারতকে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের গুপ্তচর আইএসআই জঙ্গি সংগঠন এই রাজ্যে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে বিভিন্ন কাজ শুরু করেছে । মূলত, পাকিস্তানের আইএসআই জঙ্গি সংগঠনগুলি বাংলাদেশের একাধিক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাংলায় তাদের প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে ।’’

সম্প্রতি গুজরাত থেকে ধরা পড়া বেশ কয়েকজন আল কায়দা জঙ্গি নিউমার্কেট ও বেনিয়াপুকুর এলাকায় আত্মগোপন করেছিল বলে এনআইএ তদন্তে উঠেছে ৷ ওই জঙ্গিরা সকলেই বাংলাদেশের নাগরিক ৷ এই ঘটনায় বেনিয়াপুকুর-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালায় এনআইএ ৷ সেখানেও প্রতিবেশী দেশের গুপ্তচর সংস্থার মদতের তথ্যই সামনে আসে বলে এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে ৷ সেকথা এনআইএ-র তরফে কলকাতা পুলিশকেও জানানো হয়েছে বলে লালবাজার সূত্রে খবর ৷

তাছাড়া, এর আগে একাধিক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের এই রাজ্য থেকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এসটিএফ । মূলত, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তাদের আত্মগোপন করে থাকতে দেখা গিয়েছে অতীতে ৷ এমনকী, কলকাতা শহরেও আত্মগোপন করে থাকার ঘটনাও এর আগে সামনে এসেছে ৷

2022 সালে মে মাসে পাকিস্তানের গুপ্তচর সন্দেহে জাফর রিয়াজ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল পঞ্জাব পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ । ভারতের খবর পাকিস্তানে পাচার করাই ছিল তার কাজ ৷ তাকে জেরা করে কিছু তথ্যও পাওয়া যায় ৷ সেখানেই জাফরের কলকাতা-যোগ মেলে ৷ এক্ষেত্রেও বেনিয়াপুকুরের নাম জড়িয়ে যায় ৷ বেনিয়াপুকুরেই আত্মগোপন করেছিল এই জাফর ৷ এর পর এক পাকিস্তানি মহিলাকে বিয়ে করে সে লাহোরে চলে যায় ৷

এছাড়াও গতবছর অগস্ট মাসে দিল্লি কলকাতা-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গার ছবি তুলে পাকিস্তানে বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে সেই ছবি পাচার করে দেওয়ার অভিযোগে কলকাতা পুলিশের এসটিএফের হাতে পাকিস্তানি গুপ্তচর সন্দেহে গ্রেফতার হয়েছিল ভক্তবংশী ঝা নামে এক ব্যক্তি । এছাড়াও 2022 সালে উত্তরবঙ্গের কালিম্পং এলাকা থেকে এক ব্যক্তিকে পাকিস্তানি গুপ্তচর সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় । ধৃতের নাম সমীর দাঁ । কালিম্পংয়ের একাধিক সেনা ছাউনির ছবি তুলে সে পাকিস্তানে পাঠিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে ।

যদিও রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলির উপর করা ব্যবস্থা গ্রহণ করার ফলে এই রাজ্যের তাদের স্লিপার সেলের সদস্যদের গতিবিধি অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে । কখনও রাজমিস্ত্রি হিসেবে, আবার কখন কোনও সংস্থার কর্মী সেজে এই রাজ্যে অবাধ বিচরণ করত, এখানকার খবর অন্য জায়গায় পাঠানোর কাজে যুক্ত থাকত, এই সন্দেহে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার পর অনেকটা ব্যাকফুটে চলে যায় জঙ্গি সংগঠনগুলি ।’’

গোয়েন্দারা বলছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতিকে ব্যবহার করে ফের সক্রিয় হতে চাইছে সেদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলি ৷ তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র ও জালনোট সীমান্ত পার করে এপারের স্লিপার সেলের হাতে তুলে দেওয়া ৷ জালনোটের জাল পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে ছড়িয়ে দিতে মালদা, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গার ছোটখাট ব্যবসায়ীদের টার্গেট করছে তারা ।

আর সেই কাজে যাতে সফল না-হয় জঙ্গি সংগঠনগুলি, সেই দিকে নজর রয়েছে গোয়েন্দাদের ৷ এই নিয়ে কলকাতা পুলিশের ভি সলেমন নেশাকুমার বলেন, "তাদের গতিবিধির উপর আমরা নজর রাখছি । আমরা সকল বিষয়ের উপর বিশেষভাবে নজর রাখছি । এছাড়াও একাধিক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সাথেও আমরা যোগাযোগ রাখছি ।"

Last Updated : Nov 29, 2024, 5:12 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.