কলকাতা, 3 এপ্রিল: ওয়াটগঞ্জের ঘটনায় এখনও মেলেনি যুবতির টুকরো করা দেহের একাধিক অংশ। লালবাজার সূত্রের খবর, গলার নীচের দেহাংশ এবং কোমড়ের নীচের অংশ পাওয়া যায়নি। সেগুলি কোথায় তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। তদন্তে নেমে ঘটনাস্থলের একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা খতিয়ে দেখছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ।
মঙ্গলবার দুপুরে ওয়াটগঞ্জে একটি পরিত্যক্ত বাড়ির সামনে থেকে কালো প্লাসটিকে মোড়া এক মহিলার দেহাংশ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। ওয়াটগঞ্জে রোজই ওই এলাকায় পণ্য সরবরাহের জন্য রাজ্যের একাধিক প্রান্ত এবং রাজ্যের বাইরে থেকেও অনেক পণ্যবাহী গাড়ি সেখানে আসে। ফলে এই দেহাংশ কীভাবে এহেন জায়গায় এসে পৌঁছল তা জানার জন্য ওই এলাকার বিভিন্ন লরি চালক ও খালাসিদের সঙ্গেও কথা বলছেন তদন্তকারীরা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লালবাজারের গোয়েন্দারা অনুধাবন করছেন যে ওই মহিলাকে নৃশংসভাবে এবং অত্যন্ত ক্ষোভের সঙ্গে হত্যা করা হয়েছে । পরে তার দেহের একাধিক অংশকে নিপুণভাবে কেটে সেগুলি কালো প্লাসটিকে মুড়ে বিভিন্ন জায়গায় ফেলা হয়েছে । যে বা যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা ঘটনাস্থল সম্পর্কে ভালোভাবেই ওয়াকিবহল ছিল যে, ওই এলাকায় সাধারণভাবে কেউ যাতায়াত করে না । তাই সেখানে দেহাংশ ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অনুমান ৷
এলাকার বাসিন্দারা জানান, প্রথমে এই কুকুর ওই কালো প্লাসটিকগুলি টানাটানি করছিল । এরপরেই ওই কালো প্লাস্টিকের মধ্যে থেকে এক মহিলার দেহাংশ বেরিয়ে আসায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ৷ সঙ্গে সঙ্গে ডাকা হয় ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিশকে । পাশাপাশি ঘটনাস্থলে চলে আসে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দারা ৷ আনা হয় স্নিফার ডগ । পরে এই ঘটনাস্থল থেকেই কালো প্লাস্টিকের মোড়া দেহাংশগুলি নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেগুলি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে লালবাজার সূত্রে খবর ।
তদন্ত নেমে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অনুমান, ওই মহিলাকে অন্যত্র কোথাও খুন করে ঠান্ডা মাথায় তার দেহগুলি বিভিন্ন অংশে ভাগ করা হয়েছে ৷ তারপর ওই নির্জন এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়েছে । ইতিমধ্যেই লালবাজারে তরফে অন্যান্য জেলা পুলিশ এবং জেলার বাইরেও যে সকল কমিশনারেটগুলি আছে সেখানেও একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে ৷ খোঁজ নিতে বলা হয়েছে, আনুমানিক 30 থেকে 40 বছর বয়সি কোনও মহিলা রহস্যজনকভাবে এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়েছেন কি না, তা জানতে ৷
আরও পড়ুন :