মালদা, 24 মে: মাথায় ব্যান্ডেজ ৷ পিঠে চড়ে হাসপাতালের নির্দিষ্ট ওয়ার্ডে ভরতি হতে যাচ্ছেন রোগী ৷ আবার কোনও রোগী বাধ্য হয়েই পায়ে হেঁটে যাচ্ছেন জরুরি বিভাগে ৷ কারণ হিসেবে উঠে এসেছে স্ট্রেচারের অভাবের বিষয়টি ৷ সেই সুযোগে আবার জরুরি বিভাগ থেকে 100 মিটারের মধ্যে থাকা ট্রমা কেয়ার ইউনিটে নিতে যেতে বেশি দর হাঁকাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স কিংবা টোটো চালক ৷ পরিস্থিতি বেহাল মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ৷ দীর্ঘ সমস্যার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস সুপারের ৷
জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হবিবপুর থেকে মালদা মেডিক্যালে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন শিশির মণ্ডল। স্ট্রেচার না পেয়ে শিশিরবাবুকে পিঠে করে ট্রমা কেয়ার ইউনিটে নিয়ে যাওয়ার ছবি ধরা পড়ে। শিশিরবাবুর এক আত্মীয় অভিযোগ করেন, "রোগীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য জরুরি বিভাগ থেকে স্ট্রেচার দেওয়া হচ্ছে না। অনেকেই জরুরি বিভাগ থেকে স্ট্রেচার নিয়ে গিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন না। ফলে স্ট্রেচারের সমস্যা দেখা দিয়েছে ৷ পাশাপাশি, জরুরি বিভাগ থেকে 100 মিটার দূরে রোগীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স কিংবা টোটো মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করছে। বাধ্য হয়ে পিঠে করে রোগীকে ভরতি করতে নিয়ে যাচ্ছি।"
বিষয়টি জানতে পেরে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন সুপার প্রসেনজিৎ বর ৷ তিনি বলেন, "এ ধরনের কোনও লিখিত অভিযোগ আসেনি ৷ তবে এমন ঘটনা হওয়ার কথা নয় ৷ জরুরি বিভাগে পর্যাপ্ত স্ট্রেচার রয়েছে ৷ বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷"
আরও পড়ুন: শহরে ফের অঙ্গদানের নজির, নতুন জীবন পাচ্ছেন 3 জন
বছর খানেক আগে জমা জল থেকে মুক্তি পেতে মেডিক্যালের একাধিক ওয়ার্ডকে হাসপাতাল ভবন থেকে সরিয়ে খানিক দূরে থাকা ট্রমা কেয়ার ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ তবে জরুরি বিভাগ পুরনো হাসপাতাল ভবনেই থেকে যায় ৷ সেই কারণে, জরুরি বিভাগে দেখানোর পর ট্রমা কেয়ার ইউনিটে রোগীকে নিয়ে যেতে হয়। অভিযোগ, জরুরি বিভাগ থেকে রোগীকে নির্দিষ্ট বিভাগে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্ট্রেচার পাওয়া যায় না। পর্যাপ্ত স্ট্রেচার থাকলেও কর্মীরা ট্রমা কেয়ার ইউনিটে সেই স্ট্রেচার নিয়ে যেতে দেন না বলে অভিযোগ। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগী এবং তাঁর পরিবারকে ৷
আরও পড়ুন: 2,200 কোটি টাকায় মালিকানা বদল আমরির, জোর ক্যানসার-প্রতিস্থাপন বিভাগে