ETV Bharat / sports

শিবির এখনও হাসপাতাল, তবু কেরালার বিরুদ্ধে পয়েন্টের আশায় 'অসহায়' ব্রুজোঁ - ISL 2024 25

রিচার্ড সেলিসকে সামনে রেখে গোল খুঁজছেন ব্রুজোঁ ৷ ঘরের মাঠে নতুন বছরে কাল প্রথম জয়ের অপেক্ষায় লাল-হলুদ ৷

EAST BENGAL
রিচার্ড সেলিস (EAST BENGAL MEDIA)
author img

By ETV Bharat Sports Team

Published : Jan 23, 2025, 8:06 PM IST

কলকাতা, 23 জানুয়ারি: "আমাদের দলের হাসপাতালের অবস্থা একটু করে ভালো হচ্ছে।" কেরালা ব্লাস্টার্স ম্যাচের আগেরদিন মার্ক জোথানপুইয়াকে পাশে নিয়ে মুচকি হেসে জানালেন অস্কার ব্রুজোঁ। যদিও শুক্রবার ম্যাচের আগেরদিন ইস্টবেঙ্গল কোচের এই কথা মোটেই আশাব্যঞ্জক নয়, বরং অসহায়তার ছবি ফুটিয়ে তোলে। সউল ক্রেসপো চোটের জন্য কেরালা ম্যাচেও নামবেন না। হেক্টর ইউস্তের চোট সারলেও মাঠে নামার মত পরিস্থিতি নেই। আনোয়ার আলির ফিরতে আরও দিন পনেরো। নেই প্রভাত লাকরা, মহম্মদ রাকিপও।

প্রথম একাদশের অর্ধেকের বেশি ফুটবলার চোটে গ্যালারিতে বসে থাকলে যে কোনও কোচের পক্ষেই দল নামানো কঠিন হয়। অস্কার ব্রুজোঁ ব্যতিক্রম নন। তার উপর দলের বেশ কয়েকজন ফুটবলার (মার্ক জোথানপুইয়া, মহেশ নওরেম সিং) ভুল পজিশনে খেলে এসেছেন। নতুন ভূমিকায় ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট ফুটবলারদের খেলায় নতুন একটা দিক খোলার চেষ্টা করছেন অস্কার। চোট-আঘাত এবং কার্ড সমস্যায় স্প্যানিশ ভদ্রলোকের অবস্থা এতটাই সঙ্গীন যে চারজনের ডিফেন্স কাঠামো প্রত্যেক ম্যাচে বদলাতে হচ্ছে। যা কোনও দলের পক্ষেই স্বস্তিদায়ক নয়। গোয়ার বিরুদ্ধে নন্দকুমার শেকরকে রাইট-ব্যাকে খেলিয়েছিলেন। কিন্তু কার্ড সমস্যায় কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে তিনি নেই। ডার্বিতে হলুদ কার্ড দেখে ছিটকে যাওয়া সৌভিক চক্রবর্তী ফিরছেন। ফলে রাইট-ব্যাক সমস্যা মেটাতে জিকসন সিংকে খেলানোর পরিকল্পনা অস্কারের।

প্রতিপক্ষের আক্রমণে আদ্রিয়ান লুনা, কোয়ামে পেপরাহর মত ফুটবলার রয়েছেন। যাঁদের সামলাতে মাঝমাঠ এবং রক্ষণে প্রাচীর তুলে পয়েন্টের খোঁজৈ নামতে চান অস্কার। নতুন বছরে এখনও জয়ের মুখ দেখেনি ইস্টবেঙ্গল। ভালো খেলেও ছোট্ট ভুলে বারবার পয়েন্ট হাতছাড়া হয়েছে। হারলেও ইতিবাচক দিক খুঁজছেন অস্কার। তাঁর মতে, দল ধীরে হলেও উন্নতি করছে। কিন্তু একাধিক চোট দলের এগিয়ে যাওয়ার পথে বারবার বাধার সৃষ্টি করছে। পরিস্থিতি এতটাই কঠিন যে পরীক্ষামূলকভাবে নতুন প্রতিভাবান দেশীয় ফুটবলারদের খেলানোর ঝুঁকি নিতে পারছেন না। বলা হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলের প্রথম ছয়ে জায়গা করে নেওয়ার সুযোগ শেষ। কিন্তু প্রতিযোগিতায় থাকা প্রতিদ্বন্দ্বীরা পয়েন্ট খোয়ানোয় ক্ষীণ আশা রয়েছে বলে মনে করেন লাল-হলুদ কোচ। সেই লক্ষ্যপূরণে আগামী তিনটি ম্যাচ জয়ের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছেন। যার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে কেরালা ম্যাচ জিততে চান যে কোনও মূল্যে।

নতুন বিদেশি রিচার্ড সেলিস আশা জাগিয়েছেন। তাঁকে রেখেই গোলের পথ খুলতে চান অস্কার। কিন্তু এক নম্বর স্ট্রাইকার দিয়ামানতোকোস তাঁর স্কোরিং বুটটা হারিয়ে ফেলেছেন। ফলে গোলমুখে তাঁর ভয় ধরানো উপস্থিতি শুধুই খাতায়-কলমে। যদিও গ্রিসের স্ট্রাইকারের পাশে দাঁড়িয়েছেন অস্কার বলছেন, "কেরালা ম্যাচে নতুন দিয়ামানতোকোসকে দেখা যাবে।"

আরও পড়ুন:

কলকাতা, 23 জানুয়ারি: "আমাদের দলের হাসপাতালের অবস্থা একটু করে ভালো হচ্ছে।" কেরালা ব্লাস্টার্স ম্যাচের আগেরদিন মার্ক জোথানপুইয়াকে পাশে নিয়ে মুচকি হেসে জানালেন অস্কার ব্রুজোঁ। যদিও শুক্রবার ম্যাচের আগেরদিন ইস্টবেঙ্গল কোচের এই কথা মোটেই আশাব্যঞ্জক নয়, বরং অসহায়তার ছবি ফুটিয়ে তোলে। সউল ক্রেসপো চোটের জন্য কেরালা ম্যাচেও নামবেন না। হেক্টর ইউস্তের চোট সারলেও মাঠে নামার মত পরিস্থিতি নেই। আনোয়ার আলির ফিরতে আরও দিন পনেরো। নেই প্রভাত লাকরা, মহম্মদ রাকিপও।

প্রথম একাদশের অর্ধেকের বেশি ফুটবলার চোটে গ্যালারিতে বসে থাকলে যে কোনও কোচের পক্ষেই দল নামানো কঠিন হয়। অস্কার ব্রুজোঁ ব্যতিক্রম নন। তার উপর দলের বেশ কয়েকজন ফুটবলার (মার্ক জোথানপুইয়া, মহেশ নওরেম সিং) ভুল পজিশনে খেলে এসেছেন। নতুন ভূমিকায় ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট ফুটবলারদের খেলায় নতুন একটা দিক খোলার চেষ্টা করছেন অস্কার। চোট-আঘাত এবং কার্ড সমস্যায় স্প্যানিশ ভদ্রলোকের অবস্থা এতটাই সঙ্গীন যে চারজনের ডিফেন্স কাঠামো প্রত্যেক ম্যাচে বদলাতে হচ্ছে। যা কোনও দলের পক্ষেই স্বস্তিদায়ক নয়। গোয়ার বিরুদ্ধে নন্দকুমার শেকরকে রাইট-ব্যাকে খেলিয়েছিলেন। কিন্তু কার্ড সমস্যায় কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে তিনি নেই। ডার্বিতে হলুদ কার্ড দেখে ছিটকে যাওয়া সৌভিক চক্রবর্তী ফিরছেন। ফলে রাইট-ব্যাক সমস্যা মেটাতে জিকসন সিংকে খেলানোর পরিকল্পনা অস্কারের।

প্রতিপক্ষের আক্রমণে আদ্রিয়ান লুনা, কোয়ামে পেপরাহর মত ফুটবলার রয়েছেন। যাঁদের সামলাতে মাঝমাঠ এবং রক্ষণে প্রাচীর তুলে পয়েন্টের খোঁজৈ নামতে চান অস্কার। নতুন বছরে এখনও জয়ের মুখ দেখেনি ইস্টবেঙ্গল। ভালো খেলেও ছোট্ট ভুলে বারবার পয়েন্ট হাতছাড়া হয়েছে। হারলেও ইতিবাচক দিক খুঁজছেন অস্কার। তাঁর মতে, দল ধীরে হলেও উন্নতি করছে। কিন্তু একাধিক চোট দলের এগিয়ে যাওয়ার পথে বারবার বাধার সৃষ্টি করছে। পরিস্থিতি এতটাই কঠিন যে পরীক্ষামূলকভাবে নতুন প্রতিভাবান দেশীয় ফুটবলারদের খেলানোর ঝুঁকি নিতে পারছেন না। বলা হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলের প্রথম ছয়ে জায়গা করে নেওয়ার সুযোগ শেষ। কিন্তু প্রতিযোগিতায় থাকা প্রতিদ্বন্দ্বীরা পয়েন্ট খোয়ানোয় ক্ষীণ আশা রয়েছে বলে মনে করেন লাল-হলুদ কোচ। সেই লক্ষ্যপূরণে আগামী তিনটি ম্যাচ জয়ের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছেন। যার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে কেরালা ম্যাচ জিততে চান যে কোনও মূল্যে।

নতুন বিদেশি রিচার্ড সেলিস আশা জাগিয়েছেন। তাঁকে রেখেই গোলের পথ খুলতে চান অস্কার। কিন্তু এক নম্বর স্ট্রাইকার দিয়ামানতোকোস তাঁর স্কোরিং বুটটা হারিয়ে ফেলেছেন। ফলে গোলমুখে তাঁর ভয় ধরানো উপস্থিতি শুধুই খাতায়-কলমে। যদিও গ্রিসের স্ট্রাইকারের পাশে দাঁড়িয়েছেন অস্কার বলছেন, "কেরালা ম্যাচে নতুন দিয়ামানতোকোসকে দেখা যাবে।"

আরও পড়ুন:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.